ইতিহাসের মূল কিছু জায়গা যদি পরিস্কার না থাকে, তবে একটা জাতি আসলে মাথা তুলে দাড়াতে পারেনা। যেমন আমরা পারছিনা। ইউনিটি বলে একটা ব্যাপার যে আছে, সেটা আমরা করতে পারতেছিনা। ইতিহাসকে অস্বীকার করা দানবরা বারবার দাঁত বসাতে পারছে।
মূলত,১৯৭৯ সালে সেই আত্বসমর্পনের নির্দিষ্ট স্থান মুছে ফেলে,সেখানে শিশু পার্ক করা হয়। শিশু পার্কের ১৫ একর জায়গার মধ্যেই ছিল সাতই মার্চের মঞ্চ, ইন্দিরা গান্ধী মঞ্চ, যে দুটোই শিশু পার্ক তৈরির অজুহাতে ভেঙে ফেলা হয়।
এ এক আশ্চর্য ব্যাপার। কোন দরকার ছিলনা শিশুদের ব্যবহার করে এগুলা করার। শিশুপার্ক করার জন্য সেসময় আর কোন জায়গা পাচ্ছিলনা জিয়া সরকার? আর আমাদের গর্বের জায়গাগুলোকে মূল্য দিতে অসুবিধা কোথায়? একই সাথে এ অনেকখানি বেদনারও ব্যাপার।
কয়েকদিন আগে পেপারে পড়লাম, শিশুপার্ক এবং শিখা চিরন্তনের মাঝখানের দেয়ালটা তুলে নেওয়া হবে। তখন থেকে ভাবছি লেখার কথা। অবশেষে লিখলাম।
এ কথাই হয়তো তারা বোঝাতে চেয়েছিলেন, জাতি হিসেবে আমরা কখনো জিতিনি, কিম্বা আমাদের পক্ষে জেতা সম্ভবও না, এজন্য বিজয়ের এ চিহ্নটাও মুছে ফেলা দরকার। আশ্চর্য হলেও সত্যি, তারা কিন্তু পাকিস্তানি ছিলেন না, যে লজ্জা পাবেন 'আত্বসমর্পনের স্থান' নির্দেশ করতে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:১২