এলোমেলো কথন...
আমাদের লেখালেখির শুরুটা বেশ আগে থেকে হলেও মূলত বছর দুই ধরে অনলাইনে এসে তা ডানা মেলতে শুরু করেছে। ঘর ছেড়ে উড়ে গেছে দূর দূরান্তের পাঠকের কাছে। আমরা প্রথমে এই ব্লগেই লেখা শুরু করেছিলাম। এখনো এখানেই স্বাচ্ছন্দবোধ করি। এই সামহোয়্যারইন ব্লগ। আমাদের ভালবাসার যায়গা। এখানে এসে আমরা অনেকটা মুক্ত হয়েছি। এ যেন গুটি কেটে রেশম পোকার বেরিয়ে আসা; অসীম আকাশ মুখে নিয়ে।
আর সেই থেকেই আমাদের রাফখাতায় কিংবা ডায়েরিতে লুকিয়ে থাকা লাজুক গল্পগুলো ধীরে ধীরে আড়মোড়া ভেঙে নিজেদের প্রকাশ করতে থাকে একে একে। গুণী পাঠকেরা সেসব পড়েন। মন্তব্য করেন। সমালোচনা করেন। জানান ভালোলাগা মন্দলাগার কথা। আমরা সমৃদ্ধ হই গুণীজন-স্পর্শে। বহু মানুষের চিন্তা-চেতনা ও জীবন দর্শনের সাথে আমাদের ভাবনার সখ্যতা হয়। কখনোবা বৈপরীত্য জাগে। নতুনভাবে পৃথিবীকে দেখার প্রেরণা পাই।
আমাদের গল্পগুলোর হৃদয় বড় হতে থাকে। বন্ধুর উৎসাহে, অপরিচিত প্রশংসায়, কিংবা আগন্তক টেলিফোনে আমরা ঋদ্ধ হই। ভাবনার দেয়ালে পরিপক্কতা জমে। আমাদের গল্পেরা - যারা আমাদের খুব প্রিয় ছিল- ধীরে ধীরে আরো অনেকের কোলঘেষা হয়। চিন্তাশীল পাঠকেরা সেগুলোকে নিজেদের গল্প ভাবতে শুরু করেন, ভালবাসেন। আমাদের সন্তানসম গল্পের কপালে এমন ভালোবাসার রেখা আঁকা হয়ে গেলে আমরা হাসিমুখ হয়ে উঠি। সিদ্ধান্তে আসি, প্রকাশিত-অপ্রকাশিত গল্পগুলোকে এবার মলাটবন্দী করা যাক।
উদাস দিনের ক্লান্তি শেষে...
ব্যক্তিজীবনে প্রবল আলস্য আর উদ্যমহীনতা আমাদের আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে থাকে। আমরা ঘরকুনোর দল বলেই উদ্যমী হতে ভয় পাই। অলসতার চাদরে আপদমস্তক নিজেদের মুড়ে রাখি। তবু সময়ে সময়ে কিছু উদ্যমী মানুষের সংস্পর্শে এসে আমাদের কর্মবিমুখ অলস শরীরেও গতিশীলতা ভর করতে শুরু করে। আমরা উদাস দিনের ক্লান্তি নদীতটে বিসর্জন দিয়ে বুঝে যাই, একলা চলার দিন শেষ হয়েছে। আমরা জড়িয়ে গেছি আরো অনেকের সাথে। ভালোবাসায়, মমতায়, আন্তরিকতায়। টের পাই, আমাদের হৃদয়ে-হৃদয়ে কোথায় যেন সুতো বাধা হয়ে গেছে আমাদেরই অলক্ষে। ভালোবাসার জালে আঁটকা পড়ে হয়ে গেছি আমরা ক’জন। আর তাই দ্বিধার পর্দা ছিঁড়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াস পাই।
সে এক মাহেন্দ্রক্ষণ...
একদিন এক সন্ধ্যায় মাহমুদ ভাই ফোন দিয়ে বলেন, মুন ভাই বই বের করার ইচ্ছে আছে নাকি?
আমি বলি, ইচ্ছে তো ছিল গতবার। হলো না। এবারও আছে। দেখি শেষমেশ কি হয় !
মাহমুদ ভাই বলেন, চলেন দু’জনে একসাথে করি। মানে আপনি আর আমি। দু’জনের একটা বই।
মাহমুদ ভাই এর সাথে ততদিনে সখ্যতা হয়ে গেছে। উনি অত্যন্ত ভালো লেখেন। আর তার চেয়ে বড়ো কথা উনি ভালো মানুষ। কপটতাহীন সরল হাসি হাসতে জানেন। সহজ কথা সহজে বলতে জানেন। স্বপ্ন দেখতে জানেন। অনুপ্রাণিত করতে জানেন। তাই শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার আসনে বসানো যায় এমনই একজন মানুষ তিনি। সেই প্রিয় মানুষটির মুখে একসাথে বই বের করার প্রস্তাব শুনে বিহ্বল হয়েছিলাম। ভীষণ খুশি হয়ে বলেছিলাম, চলেন মাহমুদ ভাই শুরু করি। ‘ফাঁদ ও সমতলের গল্প’ এভাবেই শুরু হয়ে যায়।
যাদের কাছে অশেষ ঋণ...
আমি থেকে আমরা হয়ে উঠতে গেলে ভালবাসার মতো কিছু মানুষের প্রয়োজন হয়। এখানে, এই ব্লগে, ভালবাসার মতো ভালো মনের বহু মানুষের সন্ধান আমরা পেয়েছি। যারা প্রতিনিয়ত সাহস দিয়েছেন, অনুপ্রেরণা দিয়েছেন, বলেছেন – পাশে আছি, লিখে যাও। আমরা তাদের ‘পাশে আছি’ বাক্য সম্বল করে এগিয়ে যাই। সংকটে পাশ ফিরি। দেখি তারা পাশেই আছেন। আমাদের গল্পগুলিকে ভালবেসেছেন। ভুলগুলো শুধরে দিয়েছেন। ভাইয়ের মত, বন্ধুর মত, অভিভাবকের মত মিশেছেন আমাদের সাথে।
আর এমনই ক’জন হলেন - শ্রদ্ধেয় মামুন রশিদ, আমিনুর রহমান, জুলিয়ান সিদ্দীকী, সোনাবীজ অথবা ধুলোবালিছাই, মইনুদ্দিন মইনুল, ঢাকাবাসী, বোকামানুষ বলতে চায়, হাসান মাহবুব, কাল্পনিক ভালোবাসা, জাফরুল মবীন, মহা মহোপাধ্যায়, অপূর্ণ রায়হান, স্বপ্নবাজ অভি, মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব, হানিফ রাশেদিন, এহসান সাবির, সুমন কর, আদনান শাহরিয়ার, কাণ্ডারি অথর্বসহ আরো অনেকে। তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা অন্তহীন। আন্তরিকতা ও হৃদ্যতার সম্পর্কে আমরা জড়িয়ে আছি তাদের সাথে।
আহা, আমাদের গল্পগুলো ...
একটি গল্পগ্রন্থের ভেতর চোখ রাখলে সাদা কাগজের বুকে কালো-রঙ শব্দের ভুবন নিজেকে মেলে ধরে। সেখানে অনুভবে হারিয়ে যাওয়া যায়। বইয়ের পাতায় হাত ছোঁয়ানো যায়। গন্ধ নেয়া যায়। গল্পগুলো ভালো হলে তা হৃদয়কে আর্দ্র করে। মনে ভালোলাগা অনুভূতি তৈরি হয়। ব্যস্ত নাগরিকমনেও খানিকটা বৈরাগ্য জাগে। পাঠক আপ্লুত হন। নতুন ভাবনায় সমৃদ্ধ হন। বই পড়ে ব্যয় করা সময়টুকু তখন অমূল্য মনে হয়। লেখকের সাথে পাঠকের একটা আনন্দভ্রমণ হয় প্রতিটি পৃষ্ঠায়।
আমরা পাঠকের সেই আনন্দভ্রমণের সঙ্গী হতে চেয়েছি আমাদের সবটুকু সাধ্য দিয়ে। ভাষা দিয়ে, শব্দ-বাক্য-উপমা দিয়ে, চিন্তা দিয়ে, দর্শন দিয়ে। গল্প দিয়ে আমরা চিন্তাশীল পাঠকের মনের সাথে একটা সন্ধি স্থাপন করতে চেয়েছি। ভালবাসায় ভরতে চেয়েছি তাদের ব্যস্ত জীবনের অল্প-অবসর।
ভেসে আসে সুমধুর সুর ...
----------------------------------
বইয়ের নাম: ফাঁদ ও সমতলের গল্প
লেখক:
মাহমুদ রহমান
এস এম মামুনুর রহমান
----------------------------------
বইয়ের ধরন: গল্পগ্রন্থ
প্রচ্ছদ - শামীম জামান ওয়াহিদ
প্রচ্ছদের পেছনের মন্তব্যটি দিয়েছেন- মোঃ আজমল হুদা মিঠু
----------------------------------
‘ফাঁদ ও সমতলের গল্প’ বইটিতে মোট সতেরটি গল্প রয়েছে।
মাহমুদ রহমানের ০৭ টি
এস এম মামুনুর রহমানের ১০ টি
----------------------------------
প্রকাশনী – বাংলাদেশ রাইটার্স গিল্ড
পরিবেশক – জ্যোতিপ্রকাশ
স্টল নং – ১৩ ও ১৪
----------------------------------
----------------------------------
উৎসর্গ
আমাদের মাকে
----------------------------------
‘ফাঁদ ও সমতলের গল্প’ গল্পগ্রন্থটি আমাদের মমতাময়ী মাকে উৎসর্গকৃত। সেই সাথে আমাদের পরিবারের আর সকলের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ যারা আমাদেরকে প্রতিনিয়ত উৎসাহ জুগিয়েছেন।
প্রিয় এক মানুষের মন্তব্যে ...
পাণ্ডুলিপি হাতে করে আজমল হুদা মিঠু ভাইয়ের কাছে গিয়েছিলাম গল্পগুলো পড়িয়ে একটা মন্তব্য নেব বলে। মিঠু ভাই নাটকের মানুষ। বহুবছর ধরে মঞ্চনাটক লেখেন, নির্দেশনা দেন। অভিনয় করেন। ভীষণ অভিজ্ঞ একজন। কীভাবে হলভর্তি মানুষকে নাট্যকর্মীরা মুহূর্তেই এক স্বপ্নময় জগতে নিয়ে যান তা জানব বলেই, আমি বেশ অনেকদিন যুক্ত ছিলাম মঞ্চনাটকের সঙ্গে। সে সময় মিঠু ভাইকে প্রতিদিন খুব কাছ থেকে দেখেছি। জেনেছি। মুগ্ধ হয়েছি।
আমি পাণ্ডুলিপি নিয়ে গেলে মিঠু ভাই স্বভাবসুলভ আন্তরিকতায় পাণ্ডুলিপি নিয়েছিলেন। তারপর মন্তব্য আনার নির্দিষ্ট দিনে তার সাথে দেখা করতে যাই। তিনি বিশেষভাবে ‘তোমার দ্যাশ কই বাউল?’ এবং ‘বেহুদা এক জীবন বয়ান’ গল্প দুটির খুব প্রশংসা করলেন। আর মন্তব্য লেখা একটা কাগজ এগিয়ে দিলেন।
তারপর বললেন যেন আমি এখনকার সময়ের বিখ্যাত কারো কাছে পাণ্ডুলিপিটি নিয়ে গিয়ে একটা মন্তব্য নেয়ার চেষ্টা করি, যাতে করে বইটি অধিক মানুষের নজরে আসে। সেদিন বলেছিলাম, মিঠু ভাই, আমার একজন জানাশোনা ভালো মানুষের মন্তব্য প্রয়োজন ছিলো, পেয়ে গেছি। বিখ্যাত কারো মন্তব্য না পেলে কোনো ক্ষতি নেই।
কৃতজ্ঞতা যাদের প্রতি...
আমাদেরকে বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন এবং এখনো দিয়ে যাচ্ছেন; যারা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছেন; এমন আরো ক’জন - যাদের নাম উল্লেখ না করলেই নয় - তারা হলেন; মুহিব জিহাদ, অনিক, তুষার কাব্য, আনিসুল ইসলাম, পার্থ তালুকদার, রিয়াদ, তানভীর রাতুল, ইমন, মাসুম বিল্লাহ, ইমতিয়াজ কামাল ফারুকী, শাহনেওয়াজ রাসেল, মহানন্দ মোহন, মুজিব রাজু, তৌহিদুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম।
যখন বই প্রকাশের আগেই সৌদি আরব থেকে বন্ধু সাইফ আহমেদ জানান তার জন্যে অনেকগুলো বই রাখার কথা, যখন তিনি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলের কাভার ফটো চেঞ্জ করে ‘ফাঁদ ও সমতলের গল্পে’র প্রচ্ছদ ঝুলিয়ে দেন, তখন ভীষণ ভালো লাগে। আমেরিকা থেকে জান্নাতুল রহমান বইটি সম্পর্কে তার আগ্রহের কথা জানালে আনন্দ বোধ করি। মনে হয়, এমন আন্তরিকতা এসময়ে অমূল্য। যখন ফার্মগেটে বন্ধুর সাথে দেখা করতে গেলে বইয়ের খোঁজ নেয়। বলে আমি যেন তার জন্যে বেশ অনেকগুলো কপি রেখে দেই। পরিচিত সবাইকে সে উপহার দেবে – তখন ভালোলাগায় সিক্ত হই। তেমনই অপরিচিত ইনবক্স ও শুভেচ্ছা বার্তায় অনাবিল আনন্দে হেসে উঠি। ভাবি, আমাদেরকে ভালবাসার মতো এতো মানুষ যখন আছে তখন আর চিন্তা কী! শুরু হোক পথচলা।
যে আছে হৃদয়ে ...
আরেকজনের কথা বলে তারপর শেষ কথা বলি,
আমাদের এই বইটির পেছনে যার সার্বক্ষণিক সহযোগিতা ছিলো, যিনি প্রবাসে থেকেও আমাদেরকে প্রতিমুহূর্তে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন। যিনি আমাদের বন্ধু। যিনি আমাদের ভাই। সেই অদেখা প্রিয়জন ব্লগার প্রবাসী পাঠক। একজন যথার্থ ভদ্রলোক। উনার ঋণ কখনো শোধ করবার নয়। যখন বহুদূর থেকে উনার কণ্ঠ ভেসে আসে মুঠোফোনে তখন মন ভালো হয়ে যায়। না-দেখেও আপন হয়ে একাত্ম হওয়ার এ অনুভূতি বর্ননাতীত। আমরা তাঁর কাছে ভালোবাসার ঋণে ঋণী। ফাঁদ ও সমতলের গল্প যতটা না আমাদের, তার থেকে অনেক অনেক বেশি প্রবাসী পাঠক নামের এই প্রিয়মানুষটির।
মাঝে মাঝে অবাক হয়ে ভাবি, সময় কীভাবে বিচ্ছিন্ন মানুষদেরকে একসাথে জুড়ে দেয় ! আমাদের সৌভাগ্য যে এমন একজন মানুষের সাথে আমাদের সখ্যতা হয়েছে। তিনি আমৃত্যু থাকবেন হৃদয়ে।
শেষ কথা ...
তাই বলছিলাম ‘ফাঁদ ও সমতলের গল্প’ কেবলমাত্র মাহমুদ রহমান ও এস এম মামুনুর রহমান নামক দু’জন লেখকের ১৭ টি গল্পের মলাটবন্দী একটি গল্পগ্রন্থ মাত্র নয়; বরং এর চেয়ে বেশী কিছু। কারণ এতে মলাটবন্দী হয়ে আছে অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা ও শ্রম। আমরা প্রত্যাশা করি, ‘ফাঁদ ও সমতলের গল্প’ পাঠকপ্রিয়তা পাবে। চিন্তাশীল গুণী পাঠকেরা বইটিকে আনন্দের সাথেই গ্রহণ করবেন।
[ বইটির ১৭ টি গল্পের একটিও যদি চিন্তাশীল পাঠককে আলোড়িত করে তবে তার কৃতিত্ব এই পোস্টে উল্লিখিত সকল ব্যক্তিবর্গেরও বটে।]
ফেসবুকে ‘ফাঁদ ও সমতলের গল্প’ ...
আপনার যেকোনো মতামত প্রকাশের সুযোগ থাকছে “ফাঁদ ও সমতলের গল্প”-এর ফেসবুক পেইজে।
পেইজের লিংক: ফাঁদ ও সমতলের গল্প
পেজটিতে বই সংক্রান্ত যেকোনো মন্তব্য সরাসরি পোস্ট করা যাবে। যেকোনো জিজ্ঞাসা থাকলে ইনবক্সে মেসেজ করা যাবে। আমরা গুণী পাঠকের সাথে লেখকের সম্পর্কটাকে একটু উন্মুক্ত ও আন্তরিক করতে চাই। আমরা মনে করি, লেখক মানে মুখ গম্ভীর করে বসে থাকা ভিনগ্রহের কোনো প্রাণী নয়। লেখকেরা আন্তরিক, তারা পাঠকদেরকে অত্যন্ত সম্মান করেন, ভালবাসেন।
যেভাবে সংগ্রহ করবেন বইটি ...
বলতে দ্বিধা নেই, বইটি লেখকের কাছ থেকে সরাসরি সংগ্রহ করাকেই আমরা উৎসাহিত করছি। কারণ এ বইটির পেছনে আমাদের শ্রম, মেধা, অর্থ, সময় সবকিছু জড়িয়ে আছে। তাই আমাদের পরিচিত সকলে বইটি আমাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করলেই আমরা বেশি আনন্দিত হব।
কে না জানে, এদেশে সাহিত্যে প্রফেশনালিজম বলে কিছু নেই। বই ছাপিয়ে লেখকেরা(অল্পকিছু ব্যতিক্রম ছাড়া) বলতে গেলে কিছুই পান না বা তারা এটাতেই অভ্যস্ত হয়ে গেছেন; যা খুবই দুঃখজনক। লেখকরা যে বায়ুভুক নন – একথাটাই সকলে যেন ভুলে বসে আছেন।
বইটির মূল্য...
বইয়ের গায়ের মূল্য - ২০০ টাকা
মূল্য কম রাখার বাপারেও আমরা বহুবার প্রকাশকের সাথে আলাপ করেছিলাম। কিন্তু পারিপার্শ্বিকতার বিচারে সেটা করতে প্রকাশক অপারগতা জানিয়েছিলেন। তাই আমরা সম্পূর্ণ নিজেদের খরচে বই ছাপিয়ে পাঁচ ভাগের চার ভাগ বই প্রকাশকের কাছ থেকে নিজেরাই নিয়ে নিয়েছি পাঠকদেরকে কিছুটা কম মূল্যে সরবরাহ করার জন্যে। পাঠকদেরকে সরাসরি অল্পমূল্যে সরবরাহ করা ও তাদের সাথে একটা আন্তরিক সম্পর্ক স্থাপন- আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো প্রথম থেকেই।
এজন্যে
• যারা ঢাকায় আছেন, তারা সরাসরি আমাদের কাছ থেকে মাত্র ১২০ টাকায় ‘ফাঁদ ও সমতলের গল্প’ গল্পগ্রন্থটি অটোগ্রাফসহ সংগ্রহ করতে পারবেন।
• যারা ঢাকার বাইরে আছেন, তারা যোগাযোগ করলে কুরিয়ার চার্জসহ মাত্র ১৫০ টাকায় বইটি অতিদ্রুত পৌঁছে দেয়া হবে।
যোগাযোগঃ
01813538549 – মাহমুদ রহমান
01760391845 - এস এম মামুনুর রহমান (ডি মুন)
বিকাশ(পার্সোনাল) : 01813538549
এরই মধ্যে অনেককেই কুরিয়ার করে বই পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ‘ফাঁদ ও সমতলের গল্প’ কুরিয়ারের মাধ্যমে এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে যশোর, নীলফামারী, বরিশাল, নোয়াপাড়া, ও চট্টগ্রামের আগ্রহী পাঠকদের কাছে।
এছাড়াও, আপনি বইমেলার স্টল থেকে বইটি নিতে ইচ্ছুক হলে বইটি পাবেন,
জ্যোতিপ্রকাশ –এর স্টলে
স্টলে বইয়ের মূল্য - ২৫% ছাড়ে ১৫০ টাকা
স্টল নম্বর – ১৩, ১৪ [স্টল থেকে বই কিনতে 'স্টল নাম্বার' মনে রাখা জরুরী]
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, একুশে বইমেলা।
প্রথম দিনের কয়েক টুকরো স্মৃতি ...
ফাঁদ ও সমতলের গল্প - বইটির প্রথম কপিটি ফকিরাপুল প্রেস থেকে ক্রয় করছেন নাজমুস সাকিব সবুজ ভাই।
বুক টাওয়ার । প্রেস থেকে বাসায় আনার পর।
আমার লক্ষ্মীসোনা ছোটভাই মাহফুজ এর হাতে 'ফাঁদ ও সমতলের গল্প'।
আমার থেকে অনেকগুলো বই কিনেছেন এই ভদ্রলোক। আমার খুব কাছের বন্ধু মহানন্দ মোহন।
আমাদের বইটির দু'জন আগ্রহী পাঠক। খামার বাড়ি, ঢাকা।
বায়ে বন্ধু মহানন্দ মোহন। আর ডানে আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন একজন মানুষ, শ্রদ্ধেয় রিটন দেব। চক্ষু বিশেষজ্ঞ, ইসলামিয়া আই হসপিটাল, ঢাকা।
গল্পময় হয়ে উঠুক নাগরিক অবসর।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
পুনশ্চ : আমি এবং মাহমুদ ভাই দুজনেই আবারো বইমেলায় থাকছি ১৩ তারিখ শুক্রবার। অনেক প্রিয়মুখের সাক্ষাৎ লাভ হবে আশাকরি।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৫৩