ফেসবুক , ইউটিউবের যুগে স্কুলের শিক্ষকরা আর কতটুকু নৈতিকতার শিক্ষা দিবেন? স্কুলের শান্ত, ভদ্র ছেলে বা মেয়ে ঘরে এসে ঢুকে পড়ে ইন্টারনেটের জগতে। মা বাবা আর কতক্ষণ চোখে চোখে রাখবে?
ইউটিউবে কমেডির নামে, আধুনিকতার নামে তৈরি করা চ্যানেলে ফ্রি মিক্সিং, অশ্লীল ইঙ্গিতপূর্ণ সাক্ষাৎকার দেখে মনে হয় না আমরা বাংলাদেশে আছি। মনে হয় না কোন মুসলিম দেশে আছি?
এক নায়িকা বলছে, মাশাআল্লাহ আমাদের ফিল্ম আস্তে আস্তে ভালোর দিকে যাচ্ছে আল্লাহর রহমতে! আরেক মেয়ে বলছে, দোয়া করবেন আল্লাহ যাতে আমাকে সবসময় এভাবে লাইভে আসার মত সুস্থ রাখেন! কত বড় বেয়াদবি।
ফেসবুকে লাইভে অশ্লীল গালাগালি, কমেন্টস করা যেন ডাল ভাত। এদের পিতা মাতা হয়তো বা ফেসবুক দেখে না, ইউটিউব দেখে না। কিন্তু এদের ভাই বোনও কী দেখে না? ফেসবুকে যে মেয়েটাকে 'খানকি' বলা হলো, তার ভাই বোনের কাছে কেমন লেগেছে? যে মেয়েটাকে 'মাগী' বলা হলো তার ভাই বোনের কাছে কেমন লেগেছে? কখনো কী তাদের বাবা মার কাছে এসব ভিডিও যাবে না?
ছেলেগুলো কেন মেয়েগুলোকে গালি দিচ্ছে? মেয়েটাকে খারাপ লাগলে বয়কট করা উচিত। আবার মেয়েগুলোও কীভাবে এসব গালাগালিকে মেনে নিয়ে পাল্টা জবাব দেয়?
হঠাৎ করে যেন খুব দ্রুত আমরা একটা বেয়াদব প্রজন্ম পেতে যাচ্ছি। বাইরে থেকে দেখলে মনে হয় রক্ষণশীল একটা জাতি, কিন্তু ইন্টারনেটের জগতে সবাই যেন উদ্ধত।
ফেসবুক, ইউটিউবে এসবের দর্শক কারা? বেশীরভাগই স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। যে সময় তাদের ভালো মন্দ পথ বাছাই করার প্রক্রিয়ায় থাকে, সে সময় এসব দেখে তারা বিভ্রান্ত হয়। কারণ, ছেলেরা ২৩/২৪ এর পর চাকুরি নিয়ে, পরিবার নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায়, দায়িত্ব এসে যায়। আর বেশীরভাগ মেয়েদের ২৪/২৫ - এ বিয়ে হয়ে যায়। ১৮ বছরের আগে কাউকে মোবাইল ব্যবহার আইন করে নিষিদ্ধ করা উচিত। সরকারের উচিত পর্ণো সাইট নিষিদ্ধ করা। যেসব ছেলে মেয়েরা ইন্টারনেটের দুনিয়ায় অশ্লীলতা, গালাগালি করে হিরো হচ্ছে তাদের সামাজিক ভাবে বয়কট করা।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৩