এদেশে পূর্বপুরুষেরা মরিবার পূর্বে কয়েক বিঘে জমি-যায়গা রেখে যেতে না পারিলেও মরিবার সময় নিজের ব্যাবহৃত ধর্ম খানা ঠিকই বংশধরের নামে দিয়ে যান। এজন্য অবশ্য তাদের একদম অবিবেচক বলিলে খানিকটা অন্যায় করা হইবে, কেননা কসরত করিয়া একটু ধার্মিক সাজিতে পারিলেই নিজের ভাগের ধর্মটুকু বেশ ভালো দামে হাটে তোলা যায়। শুনেছি লোকে নাকি ভাগের ধর্ম টুকু ব্যাবসায়ে খাটাইয়া অট্টালিকা অব্দি দাড় করাইয়াছে।
শুধু কি তাই!! এই শ্রীচরণেষু পূর্বপুরুষের একাংশ এমন অভিমানী ক্রমোসোম আর জীন ছাড়িয়া যান যে, বংশধরের বয়স ত্রিশের কোঠা ছুলেই মাথার চুল গুলো রাগ করিয়া কোথায় যেন চলিয়া যায়, আর ভুলেও কখনো এমুখো হয় না। তরতাজা নাতছেলেটার যে বয়সে কোন নারীর খেতের ধান কাটিয়া গোলায় ভরিয়া দেবার কথা সে বয়সে তাকে কিনা নিজের মাঠে ঘাস গজানোর চেষ্টায় দিন পার করিতে হয়!
শুধু টাক মাথা না হয় মানিয়া নেওয়া যাইতো,
কিন্তু ডায়াবেটিস নামক যে ফিরিঙ্গি ব্যারামের জীন টা তাহারা মুক্ত হস্তে দান করিয়া গেলেন তাহার বিচার কে করিবে? বলি বাপ-দাদার ভোজনবিলাসিতা আর কর্মবিমুখতার ফল কেন নাতি-ছেলের গাছে আসিয়া পাকিবে? নিজেরাতো রসগোল্লা খাইতে খাইতে মরিয়াছেন এখন জোয়ান ছেলে-মেয়ে গুলো চা-য়ে অব্দি চিনি খেতে পারছে না!!
এখন অব্দি যা যা প্রকাশ করেছি তা ভেবে যদি পূর্বপুরুষদের দুই একটা কথা শুনাইতে মন করে থাকে তবে যাহা প্রকাশ করি নাই তাহা নিয়ে কি বলিবেন?
শুধুমাত্র মাথার কেশের ধরনটা পূর্বপুরুষদের জীন মানিয়া হইলে না হয় বাঙাল পুরুষ মানিত। কিন্তু বাড়ির মোরগ টা কতকটা বড় হইবে সেই সিদ্ধান্তেও কিনা তাহাদের হরমোনের নাক গলাইতে হইবে!! ভদ্রপাঠক যদি মোরগ চিনিবে না, তবে ইহার ইংরেজি বলিলে হালকা মিচকি হাসিয়া যাইবে। যাক সে কথা,এক্ষেত্রে যদিও নাক গলানোটা অপরাধ ঠিক নয় কারন সেতো সব মুল্লুকেই এমনটাই হয়। কিন্তু যেখানে বিলাতী থেকে শুরু করে কৃষ্ণাঙ্গ ancestors রা পর্যন্ত সাগর কলার গাছ বপন করিয়া গেছে সেখানে কিনা উপমহাদেশিয় পূর্বপুরুষেরা চাপা কলা, সবরি কলার আবাদ করিয়া গেলেন!!
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০২০ দুপুর ১২:১০