জনগণের রায়ে তারা সাংসদ অথবা বিধায়ক। দেশের দশের ভার বহন করার জন্য জনতার রায়ে প্রবেশ করেছে পার্লামেন্ট ও বিধানসভার অন্দরে। জনগণের কাজ করার জন্য শপথগ্রহণ করেছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধেই একাধিক সম্ভ্রমহরণ, শ্লীলতাহানি ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে চলা মামলার এখনও কোনো নিষ্পত্তি হয়নি। দু’জন বর্তমান সাংসদ ও ছয়জন বর্তমান বিধায়কের বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ প্রকাশ করেছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডোমেস্টিক রিফর্মস বা এডিআর। কংগ্রেস, বিজেপি, সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজবাদী পার্টির টিকিটেই ওই প্রার্থীরা নির্বাচনে জিতেছেন বলে ওই রিপোর্টে প্রকাশ। রিপোর্ট অনুযায়ী উত্তরপ্রদেশের আটজন এবং পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িশ্যার সাতজন করে বিধায়ক তাদের মনোনয়নপত্র পেশের সময় হলফনামা দিয়েছিলো যে তাদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
এডিআর-এর তথ্যের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, এআইএডিএমকে-র টিকিটে তামিলনাডুর সালেম থেকে বিজয়ী সাংসদ এস সেমালাই এবং তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে পশ্চিমবঙ্গের তমলুক থেকে বিজয়ী সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী একাধিক শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্য বিধানসভার মোট ছয়জন বিধায়ক নারী সম্ভ্রমহরণ মামলায় অভিযুক্ত। এদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ থেকে সপা’র টিকিটে ভোটে বিজয়ী তিন সাংসদ হলো শ্রীভগবান শর্মা, অনুপ সা-া এবং মনোজ কুমার পারস। নারী নির্যাতনে ও সম্ভ্রমহানিতে অভিযুক্ত সাংসদ কান্ডিকুন্টা ভেঙ্কটপ্রসাদকে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ভোটের টিকিট দিয়েছিল তেলুগু দেশম পার্টি। বাকি দু’জন মোহন আলেম খান ও জেঠাভাই জি আহির বিজেপির টিকিটে যথাক্রমে উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাট থেকে জয়লাভ করে।
এছাড়াও মহিলাদের প্রতি কটূক্তি, অশ্লীল আচরণের দায়ে অভিযুক্ত আরও ৩৬ জন বিধায়ক। এদের মধ্যে ছ’জন কংগ্রেসের, পাঁচজন বিজেপির এবং তিনজন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী ছিলো। রিপোর্টে প্রকাশ, মোট আটজন বিধায়কই উত্তরপ্রদেশের। গত পাঁচ বছর ধরেই বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা ভোটে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ২৭জন প্রার্থী টিকিট পেয়েছে বলে জানিয়েছে এডিআর-এর রিপোর্ট। দিল্লি গণসম্ভ্রমহরণ কাণ্ডের পর পরই এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেই।