বালক বসে আছে দুয়ারে, বালিকা ঘুমায় রাজপালংকে। সারারাত বালক পাহারায় থাকবে , বালিকাকে পাহারা দিবে ভোর হলে চলে যাবে, এই বালকের কাজ। মঝে মাঝে বালকের মনে হয় সে কি বালিকা কে পাহারা দিচ্ছে নাকি তার বাধ ভাঙ্গা যৌবন কে? বালিকার যৌবন যেন এক সুপেয় নদীর মত সবাই চায় পান করতে, ঐশযে ভরা এক খোলা সিন্ধূকের মত সবাই চায় লুটে নিতে, অতি ক্ষমতাধর কোন রাজ মুকুটের মত ছিনিয়ে নিতে পারে যে কেউ। তাইতো বালক রাত জেগে তাকে পাহারা দেয়। যখন জানালার বাইরে বালিকার ছায়া এসে পরে বালক আকুল নয়নে চেয়ে থাকে, মাঝে মাঝে বালক সীমানা অতিক্রম করে আড়াল থেকে বালিকা কে দেখে, যদিও সে অধিকার তার নেই তবু দেখে সে, কি করবে রক্ত মাংশের মানুষ সে , আগুনের তৈরি ফেরেস্তা নয়। বালিকার চুলের সুগ্নধ যখন সারা উঠান খেলে বেড়ায়, অদূশ্য হায়না বালকের সমস্ত শরীর কামড়ে দেয়…উফ কি ধার হায়নার দাতে। এসব ভুলতে বালক আকাশে চেয়ে থাকে, পারেনা, বিশাল চাদ আর তারা দেখে, ফের কল্পনার জাল বুনে,কল্পনায় হায়না থাকে না থাকে শুধু সে আর বালিকা। বালকের বুকের ভেতরটা পুড়ে যায় সে জানে এ হবার নয়।এ চিন্তা মহা পাপ, গ্রামের আনিস পাগলার কথা মনে পরে “বাকির লোভে নগদ ছেড়ে দিস না” আনমনে হেসে উঠে বালক। বালককে যে ছেড়ে দিতেই হয় কারন সে প্রত্তিজ্ঞা বদ্ধ। কিন্তু হাহাকার যে থামছেনা। চিন্তায় ছেদ পরে বাতাসে হাল্কা বেলির গন্ধ। তীব্র থেকে তীব্র হতে থাকে, অনেক চেনা এই গন্ধ। বালকের বুক শুকিয়ে যায় পিপাশায়, কাধ ছুয়ে যায় কারো আলতো হাতের ছোয়ায়। ……………ভোরের দোয়েলের শিসে বালকের ঘুম ভাঙ্গে, মুঠোয় তার বালিকার খোপার ফুল।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:৪৫