The UK House of Commons Committees on Arms Export Controls – এ কমিটি টি গত ১৭ জুলাই ২০১৩ তাদের প্রকাশিত একটি রিপোর্টে উল্লেখ করে UK government বিভিন্ন দেশে সামরিক যন্ত্রাংশ বিক্রির জন্য প্রায় ৩০০০ export licences অনুমোদন দেয়। যার ভেতর বেশ কয়েকটি দেশের মানবাধিকার পরিস্হিতি সন্তোসজনক নয়। ২৭টি দেশে এই রপ্তানীর পরিমান 12 billion পাউন্ড ছাড়িয়ে যাবে। [1]
১৭ ট্রিলিয়ন ডলারের [2] এই বিশাল আন্তঃজাতিক অস্ত্র বাজার সবসময়ই রয়েছে আকর্ষনের কেন্দ্র বিন্দুতে। বিশ্ব ব্যাপি এই অস্ত্র রপ্তানী নিয়ে সবসময়ই হচ্ছে বিতর্ক, কারন মূলত যুদ্ধের জন্য নেওয়া হলেও অস্ত্রের ব্যাবহারের উপর শেষ পর্যন্ত থকছে না কোন নিয়ন্ত্রন।
সরকারী সাহায্য ও সহযোগীতা ছাড়া অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গুলোর টিকে থাকা বেশ কঠিন। আর তাই বিশ্ব ব্যাপি এই বিশাল বাজারের একক এবং একমাত্র ক্রেতা হচ্ছে সরকার। প্বথিবীতে অল্প কয়েকটি দেশ ই মূলত অস্ত্র তৈরী করে রপ্তানী করে থাকে আর তাদের মাধ্যে মাত্র কয়েকটি দেশরই অত্যাধুনিক অস্ত্র যেমন aircraft carrier, fifth generation fighter jet অথবা missile defense system তৈরী করার ক্ষমতা আছে, কারন এগুলো তৈরী করা খুবই সময় সাপেক্ষ এবং ব্যায়বহুল। (F-22 raptor তৈরী করতে মাত্র ২২ বছর সময় লাগছে [3]) এ করনেই অনেক পশ্চিমাদেশই তাদের সমরশিল্পকে বেসরকারী খাতে ছেড়ে দিয়েছে। উদাহরন হিসেবে আমরা আমেরিকান Lockheed Martin এবং ব্রিটিশ BAE systems এর কথা বলত পারি। অবস্য সময় সাপেক্ষ এবং ব্যায়বহুল হওয়ায় অস্ত্র নির্মাতারাও সরকরের কাছ থেকে তাদের তৈরী করা সিস্টেমের ব্যাপেরে guarantee নিয়ে থাকে, যাতে করে তারা অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুক্ষিন না হয়।
এই অস্ত্র শিল্পের ক্রমাগত উন্নতির কারন হল commercial interests এবং ভূ-রাজনীতি। ব্যায়বহুল হওয়ায় অস্ত্র নির্মাতারাদেশ গুলোর কর্তাব্যাক্তিরা নির্মাতাদের পক্ষে অন্য রাষ্ট্রের সাথে অস্ত্র রপ্তানীর চুক্তি সাক্ষর করে। যেমন President Obama তার গত আফ্রিকা সফরের সময় বেশ কিছু অস্ত্র রপ্তানীর চুক্তি সাক্ষর করে ছিল।[4]
একটা মজার বিষয় হল এসব অস্ত্রের অধিকাংশ ক্রেতারা কিন্তু anti-democratic। এরা নীজেদের পক্ষে বিভিন্ন ধরনের লবিস্ট নিয়োগ করে পশ্চিমে তাদের মুখ রক্ষা করে। তাদের বিভিন্ন ধরনের তোষন নীতির কারনে পশ্চিমা অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্র গুলো তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগীতা করে বা তাদের অমানবিক ও অনৈতিক কাজের ব্যাপারে নীরবতা পালন করে। World Policy Institute তাদের 2005 সালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখায় কিভাবে আমেরিকা undemocratic রাষ্ট্রগুলোকে নিয়মিত অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে।[5] আর উদাহরণ হিসেবে মিশর আর বাহরাইনের নাম না বললেই নয়।[6]
অস্ত্র নির্মাতাদেশ যেমন US, Russia, France এবং UK এসব অস্ত্র দিয়েই তাদের puppet & loyal ruler গুলোকে নিয়ন্ত্রনে রাখে। কারন এরা নিরাপত্তার জন্য দেশের জনগনের উপর নির্ভর করে না, জনবিচ্ছিন্ন এসব শাষক গুলো নিজেদের নিরাপত্তার জন্য পুরোপুরি ভাবে তাদের প্রভুদের উপর নির্ভর করে। আর তাদের প্রভূরাও এসব অস্ত্র আর নিরাপত্তার ঠুনকো লোভ দেখিযে এদেরকে নীজেদের স্বার্থে খুব করুন ভাবে ব্যাবহার করে। যখন এদের আর কোন গ্রহনযোগ্যতা থাকে না তখন টয়লেট প্যেপারের মত ছুড়ে ফেলে দেয়। সাদ্দাম, পারভেজ মুশারফ, গাদ্দাফি, মোবরক আর এখন আসাদ। যখনই এরা পুরোপুরি অপংতেও হয়ে গেছে তখনই তাদের পশ্চিমা প্রভুরা তাদেরকে তাদের ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষ এ অবস্হান নিয়েছে তাদের বিপক্ষে।
সমর শিল্প এবং অর্থনীতি
একটি দেশের অস্ত্র শিল্প সে দেশের অর্থনীতিকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে। করন heavy infrastructure এবং unique technology র ক্রমাগত উন্নয়নের জন্য প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন শিল্প-কারখানার দরকার হচ্ছে, তৈরী হচ্ছে নতুন নতুন job। আমেরিকার সমর শিল্পকে খুটিয়ে দেখলে আমরা দেখব তার ৫০টা স্টেট ই কোন না কোন ভাবে তাদের military machine র assembly line হিসেবে কাজ করছে। যেকারনে কোন সিনেটর ই সিনেটে আনা colossal defense budget এর বিরোধীতা করে নাই। কারন এটার কারনে প্রায় প্রতিটা স্টেটেই কিছু না কিছু নতুন contract ,কর্মক্ষেত্র তৈরী হবে।
সমর শিল্প এবং প্রযুক্তিগত উন্নতি
আর তাছাড়া military technology র উন্নতির কারনে আমরাও পাচ্ছি নিত্যনতুন উন্নত প্রযুক্তি। আমরা সবাই জানি internet কিন্তু প্রথমে একটা military application হিসেবে তৈরী হয়েছিল। Boeing 747 এর ডিজাইন ও কিন্তু military transporter. এর আদলে তৈরী করা। আর একরনেই militarily advanced nation গুলোই প্বথিবীতে সবচেয়ে বড় consumer industry র জন্ম দিয়েছে।
সামরিক অবকাঠামো, রাষ্ট্র ও রাজনীতি
Carl Clausewitz, the German-Prussian soldier and military theorist is famous for stating “War is the continuation of Politik by other means.”[7] একটি রাষ্ট্রের শক্তিশালী defense industry থাকলে তার পক্ষেই power projection করা সম্ভব হয়, বা বিশ্ব রাজনীতিতে সে সুবিধাজনক স্হানে থাকতে পারে। একরনেই আমরা দেখতে পাই world power গুলোর কাছে রয়েছে সবচে্য়ে বড় defense industry গুলো। বিশ্ব রাজনীতিতে সুবিধাজনক স্হানে যাওয়ার জন্য China আর India র মত দেশ গুলো তাদের military force গুলোকে শক্তিশালী করছে। যাতে করে বিশ্বে তার কথার back up হিসবে military force একটা role play করতে পারে।China তার economic development এবং military ascent কে একই সমান্তরালে রেখে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যাতে করে military বিশ্বব্যাপী তার commercial interest গুলোকে রক্ষা করতে পারে। আবার Iran এর পারমানবিক অস্ত্রের সক্ষমতা Middle East এর ভূ-রাজনীতিকে সম্পূর্ন পরিবর্তন করে দিবে, যেকেরনে Israel তার সর্বশক্তি নিয়ে Iran 'র nuclear programme এর বিরোধীতা করতেছে।
আমরা যদি মুসলিম বিশ্বের দিকে তাকাই তাহলে দেখব অল্প কেয়েকটা দেশ ই মাঝারি ধরনের অস্ত্র নির্মান করতে সক্ষম, বরং অধিকাংশ দেশই তার নিরাপত্তার জন্য super power গুলোর উপর নির্ভরশীল। Pakistan ও Iran মোটামুটি মানের নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তুলেছে। তারা বলার মত উন্নতি করছে শুধু মিসাইলের। আর অন্য দিক গুলোতে যেমন- aircraft carrier, fifth generation fighter jet অথবা missile defense system এর ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ধারে কাছে এখনও পৌছাতে পারে নাই। Egypt বা Turkey র অনেক বড় military আছে কিন্তু তারা ব্যাপক ভাবে আমেরিকার উপর নির্ভরশীল।
শেষ কথা
এতক্ষন এত কথা বলার উদ্দেশ্য হল এটা বুঝানো যে বর্তমান বিশ্বে স্বাধীন ভাবে থাকতে হলে, কিংবা বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাব নিয়ে টিকে থাকতে হলে আমাদেরকে একটি শক্তিশালী নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্প ও ব্যবস্হা গড়ে তুলতে হবে। কারন সামরিক শক্তি থাকলে কেউ আমাদেরকে হেলা ফেলার দ্বষ্টিতে দেখত না। খুজে দেখুতো বিএষএফ পাকিস্তান সীমান্তে গুলি করে এ পর্যন্ত কয় জন সাধারনন মানুষকে হত্যা করেছে আর আমাদের সীমান্তে প্রতিদিন কি করছে?
[1] http://www.bbc.co.uk/news/uk-politics-23336914
[2] http://www.sipri.org/yearbook/2013/03
[3] Click This Link
[4] Click This Link
[5] Click This Link
[6] Click This Link
[7] See, Clausewitz, Carl von (1984) [1832]. Howard, Michael; Paret, Peter, eds. On War [Vom Krieg] New Jersey: Princeton University Press. p. 87
মুল লেখা
Click This Link
বানান ভূল গুলির নীজ দায়িত্বে ঠিক করে পড়ে নিবেন।