আমরা দেখতে পাচ্ছি নব্য বাকশালীরা আমাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে ফেলে আসা ইতিহাসের সাথে। হ্যা ঠিকই ধরেছেন আমি ৭২ থেকে ৭৫ এর কথা বলছি, যা ছিল এদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সংকটময় কলংকিত অধ্যায়। যা জন্ম দিয়ে একটি দূর্ভি্ক্ষের। যার পরিনতি ছিল একটি বাস্তবতা। যা আজকে আবার আমাদেরকে ইতিহাসের কিছু ব্যাক্তিত্বকে অন্যভাবে মুল্যায়ন করার আহবান জানাচ্ছে, যেন justification দিচ্ছে অগষ্টের পট পরিবর্তনের।
ভেবে দেখুন ক্ষমতায় আসর পরথেকেই সরকারের একের পর এক কর্মকান্ড
১ম) টিফা আর টাস্কফোর্স বিষয়ে চুক্তি করার জণ্য আমেরিকা কত্ব্বৃক চাপ প্রয়োগ
২য়) পিলখআনা হত্যাকান্ড (আজকে আর কোনও সন্দেহ নাই ওটা কে করছে )
হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরন এবং গ্রেফতার
আর্মি অফিসারদের সাথে হাসিনা কথপোকথনের টেপ প্রকাশ, ফলশ্রুতিতে ইউটিউব বন্ধ
৩য) টিপাইমুখ ইস্যুতে ল্যাম্পপোষ্টের ভারতীয় দূতাবাস এর সামনে বিক্ষোভ ফলশ্রুতিতে ন্যাক্কার জনকভাবে পূলিশি নির্যাতন
৪র্থ) তেলগ্যাস ইস্যুতে সরকারি নীতির প্রতিবাদ করার সময় আনু মোহাম্মদের উপর পূলিশি নির্যাতন, যার কারনে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়।
৫ম) বাংলাদেশ মার্কিন যৌথ সামড়িক মহড়া (টাইগার শার্ক ১)
৬ষ্ঠ) জননিরাপত্তার জন্য হুমকি আক্ষায়িত করে হিজবুত তাহরীর নিষিদ্ধ
৭ম) দূতাবাডের নিরাপত্তার অযুহাতে ভারতীয় স্পেষাল ফোর্সের আগমন
৮ম) ভারতের সাথে ট্রনজিট এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন চুক্তি সাক্ষর
৯ম) ২৫শে ফেব্রুযারী পিলখানা হত্যাকান্ডে নিহত শহীদের কবরস্হানে প্রধানমন্ত্রি ও রাষ্ট্রপতির অনুপুস্হিতি
১০ম) বাংলাদেশ মার্কিন যৌথ সামড়িক মহড়া (টাইগার শার্ক ২)
১১শ) যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ট্রাইবুনাল গঠন (এখন পর্যন্ত অবস্হা দেখে মনে হচ্ছে এটা আগামী নির্যাচনে ইস্যু হিসেবে বাচিয়ে রাখা হবে)
১২শ) ফেসবুক নিষিদ্ধ
১৩সগ) আমার দেশ বন্ধ
এছাড়া ও সাংবাদিক নির্যাতন, হত্যা, খুন, ধর্ষন, লুঠ, হলদখল, টেন্ডারবাজী, নাম পরিবর্তন, বিরোধীদলের প্রয়াত নেতা (জিয়াউর রহমান) নেত্রীদের সম্পর্কে অশ্লীলবক্তব্য প্রদান, পানি- বিদ্যুত- গ্যাসের সংকট, খাদ্যদ্রব্যের উর্ধ্বগতি আর বলতে ইচ্ছে করছে না, এসব কিছুই আমাদের সামনে একদিকে হাতছানি দিচ্ছে নব্য বাকশালকে আর অন্য দিকে স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্বকে করছে হুমকীর সম্মুক্ষিন।
সরকার আমেরিকা ও ইন্ডিয়ার সমস্ত দাবী অন্ধভাবে পালন করার কারনে চার দলীয় জোট এখনও এত ইস্যু থাকার পর ও সরকারের বিরুদ্ধে কোন আন্দোলন গড়ে তুলার গ্রীন স্যিগন্যাল পেয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। অবস্হা দেখে মনে হচ্ছে ধীরে ধীরে আমাদের স্বাধীনতার সূর্যটা যেন আবার এই মীরজাফরদের কারনে নতূন এক পলাশীর মাঠে অস্ত যাচ্ছে ভারত- মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কাছে।
তাই এই জানোয়ারদের আমাদেরই রূখতে হবে, শুরু করতে বে স্বাধিকার আদায়ের সংগ্রাম।