আমাদের দেশের কিছু বুদ্ধিজীবীদের (বুদ্ধিবেচী) কাছে শুনতাম আমাদের মত দেশে সেনাবাহিনী রাখার দরকার কি? কার সাথে যুদ্ধ করে। ভারত তো এক ঘন্টায় এদেশ কে দখল করে নেবে। ইত্যাদি ইত্যাদি.
তারপরও আমরা দেখি এক পা এক পা এগিয়ে আমাদের সেনাবাহিনী আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাড়াতে সৈন্য হিসেবে বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং সুনাম অর্জন করছে!!
আবার বিজাতীয়দের ষড়যন্ত্রে পিলখানায় আসহায়ের মত মারা যাচ্ছে।
এরাই আবার কিন্তু পাক হানাদারদের সাথে যুদ্ধ করেছিল।
আমাদের দেশের পররাষ্ট্র নীতি হচ্ছে সবার সাথে বন্ধুত্ব কারও সাথে শত্রুতা নয়। আনেকটা এই রকম- আমার এ ঘর ভাঙ্গিয়াছে যে বা আমি বাধি তার ঘর
আপন করিতে খুজিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর
আমাদের প্রতিবেশি দেশ গুলোর দিকে তাকালে হা করে থাকি। ক্ষমতায় থাকা বেকুব গুলির দিকে তাকালে ওদের লাথি মারতে ইচ্ছা করে। কিন্তু লাথি মারি না, হাসি দেই, বেকুবের হাসি। আশা করি ওরা এমনি এমনি ভাল হয়ে যাবে। ওরা আমাদের কথা চিন্তা করবে, দেশকে ভালবাসবে। হায়রে আহাম্মক!!
ভারত স্বাধিনতার পর থেকেই তার আচরন দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে সে আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু। ৭১ এর ঋন এখনও শোধ হয়নি।
মায়ানমার তার মুখোশ খুলে ফেলেছে, দেখাচ্চে তার বিষ দাত।
আর আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আমাডের মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন কই কিচ্ছু হয় নি।
আর মায়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুকুমার রায়ের ভাষায় বলেন: ভয় পেয়ো না ভয় পেয়ো না তোমায় আমি মারব না।View this link
মায়ানমার এইটা ও একটা দেশ যে কিনা আমাদের হুমকি দিতে সাহস পায়। আর আমরা গান গাই - ওগো মা আমরা তোমার শান্তি প্রয় শান্ত ছেলে
তবু শত্রু এলে অশ্র হাতে ধরতে জানি।
কিংবা আমাদের সেনাবাহিনী বলে : শান্তিতে আমরা সমরে আমরা
সর্বত্র আমরা দেশের তরে
আমাদের নৌবাহিনী বলে : শান্তিতে সংগ্রামে সমুদ্রে দূর্জয়
আমাদের বিমান বাহিনী বলে: বাংলার আকাশ রাখিব মুক্ত
আমরা খুশিতে হাত তালি দেই
কিন্তু কিভাবে ওরা আমাদের রক্ষা করবে? আমরা কি ওদেরকে পর্য়াপ্ত সমরাস্ত্র দিয়েছি বা দেওয়ার চিন্তা করতেছি?
নাকি দেশের সেরা ছেলে গুলোকে রাখাই হইছে মার্সেনারী আর্মি হিসেবে ভাড়া খাটার জন্য, অথবা ট্রাফিক পুলিশ হিসেবে কাজ করার জন্য, নাকি পিলখানায় বেঘোড়ে প্রান হারানো জন্য।
নাকি এবার ও আশা করছি অন্য কেউ (আমেরিকা) আমাদের হয়ে যুদ্ধ করবে।
আমরা কবে এই আত্মপ্রবঞ্চনা বন্ধ করব?