অল্প কিছু লোক বাদে, দেশের সারে সাত কোটি মানুষই ছিলো মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে, যুদ্ধে কারো সরাসরি অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়েছে, কারো হয়নি, কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের সকলেই (সুবিধাবাদী কিছু লোক বাদে, যারা এখনো পর্যন্ত যুদ্ধটাকেই মেনে নিতে পারেনি)
সেই দেশের কাউকে কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে আলাদা করে সুযোগ দেয়ার কি প্রয়োজন পরলো সেটাই এখনো পর্যন্ত বুঝতে পারলামনা, যোযুদ্ধাহতদের বিষয় আলাদা (যারা যুদ্ধে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে) এছাড়া যারা সুস্থ স্বাভাবিক, তারা যে যার যোগ্যতা অনুযায়ে প্রতিষ্ঠা পাবে এটাইতো স্বাভাবিক।
পৃথিবীর অনেক দেশেই যুদ্ধ হয়েছে কিন্তু এমন নজির কোথাও আছে বলে অন্তত আমার জানা নেই, বরং যুদ্ধপরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের একত্রিত করে মেরে ফেলার মতো নজির পৃথিবীতে আছে, আমাদের দেশে সবকিছু নিয়ে এতো বাড়াবাড়ি কেনো?
সারে সাত কোটি বাঙ্গালী আজ সতের কোটিতে পরিণত হয়েছে, সকলেই দেশের সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করার অধিকার রাখে এবং সেটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, কেউ কোটা নিয়ে থাকবে, কেউ লোটা নিয়ে থাকবে, আর কেউ ছোটাছুটি করবে এটা হতে পারেনা।
সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করে বলবো, দেশের স্বাভাবিক গতিধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে, অনতিবিলম্বে, কোটা পদ্ধতি বাতিল করে, সকলের নাগরিক সুবিধা সহ রাষ্ট্রীয় অধিকার রক্ষায় চলমান আন্দোলকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হউক।
রহমান শিহাবীর ফেবু স্ট্যাটাস থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:০৪