somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

۞۞ এখন বিয়ের আসরে কনেকে ঘোমটা দিয়ে আর বরকে মু্খে রুমাল দিয়ে বসে থাকতে হয় না ۞۞

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কয়েক দশক আগে হঠাৎ করে কারো বিয়ে হত না। সেই সময় কোন শপিংমল, রেষ্টুরেন্ট এ গিয়ে পাত্রী দেখার সুযোগ ছিল না। পাত্র পক্ষকে পাত্রীর বাড়ীতে গিয়েই বিয়ের কন্যা দেখতে হত। পাত্রী দেখা উপলক্ষে পাত্রীর বাড়ীতে নানার রকমের হাতের নাস্তা বানানোর আয়োজন চলত। পাত্রের বাবা-মা, ভাই-ভাবী ও মুরুব্বীরা পাত্রী দেখতে যেত। পরিবারের মুরব্বীদের পছন্দ করা মেয়ের সাথেই বিয়ে হত। পাত্রী পছন্দ হলে এনগেইজমেন্ট অনুষ্টান হত তারপর দুইপক্ষেও সুবিধামত দিনক্ষন ঠিক করে বিয়ে হত। বিয়ের আগে পাত্রীর সাথে পাত্রের কথা বলার কোন সুযোগই ছিল না। আর বর্তমানে?


সেই সময় কোন কমিউনিটি সেন্টার ছিল না বলে বাড়ীতেই বিয়ের অনুষ্টান হত। বিয়ে উপলক্ষে বর-কনের বাড়ীতে আনন্দের বন্যা বয়ে যেত। বিয়েতে বরের জন্য কনের বাড়ীর প্রবেশ পথে গেইট ও উঠানে শাড়ী দিয়ে স্টেজ তৈরী করা হত। বিয়ের দিন বর পালকিতে চড়ে বিয়ে বাড়ীতে এসে ষ্টেজে বসত। আর কনেকে ঘরে সাজিয়ে বসিয়ে রাখা হত। সেই সময় বিয়ে খেতে আসা বর পক্ষের দুষ্ট ছেলেরা উকি মেরে নতুন বউকে দেখার চেষ্টা করত। কিন্তু কন্যা পক্ষ তাদেরকে দেখার কোন সুযোগই দিত না।

সেই সময় বিয়ের দিনই আকদ হত। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আকদ হওয়ার পর বর তার কনেকে নিয়ে আলাদা আলাদা পালকিতে চড়ে বাড়ীতে ফিরত। বরের বাড়ীর মহিলারা নতুন বউকে একটু দেখার জন্য ছুটে যেত। পালকি থেকে নামিয়ে বউকে ঘোমটা পরিয়ে বসিয়ে রাখা হত। ঘোমটা তুলে নতুন বউকে দেখানো হত। সবাই নতুন বউয়ের হাতে টাকা-আংটি উপহার দিত।


বর্তমানের ছেলে-মেয়েরা নিজেরাই নিজেদের সঙ্গী পছন্দ করে বিয়ে করছে। পরিবারের পছন্দ মত বিয়ের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন পাত্রী পছন্দ হলেই আকদ তারপর কোন এক কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ে অনুষ্টিত হচ্ছে। কমিউনিটি সেন্টারে বর-কনের জন্য সুজ্জিত আলাদা দুটি স্টেজ আছে। পার্লারে সেজে গুজে কনে স্টেজে বসে থাকে। এখন আর আগের দিনের মত কনেকে ঘোমটা দিতে হয় না। মেকআপ নষ্ট হযে যাবার ভয়ে কনে ঘোমটা দেয় না। বিয়ের অনুষ্টানে আগত পরিচিত-অপরিচিত যে কেউ ইচ্ছেমত বিয়ের কনের ছবি তুলতে পারে। আগের দিনের মত এখন আর কাউকে উকি মেরে নতুন বউকে দেখতে হয় না। বড় পর্দায় বর-কনেকে দেখার ব্যবস্থা ও কোন কোন বিয়েতে রাখা হয়।



বিয়ের আসরে বরকেও আগের দিনের মত মুখে রুমাল দিয়ে বসে থাকতে হয় না। বর-কনেকে এখন আর পালকিতেও চড়তে হয় না। তাজা ফুল দিয়ে সাজানো এসি কার/পাজেরোতে বসে বর-তার নতুন বউকে নিয়ে বাড়ীতে-------


বিয়েতে অতীতে কি দেখেছি আর এখন কি দেখছি। কোন মিল খুজে পাই না। ভবিষ্যতেও আরো নতুন নতুন দৃশ্যের সাথে পরিচিত হতে হবে। যুগের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে আমরা এখন ইসলামী সংস্কৃতি থেকে বহু দুরে অবস্থান করছি।

অতীতে বিয়েতে কোন গুনাহের কাজ হত কি না আমার জানা নেই। তবে বর্তমানে বিয়েতে গুনাহের কাজ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই যেমনঃ অশ্নীল গান-বাজনা, বেপর্দা নারী-পুরুষের মেলামেশা ও অপচয় ইত্যাদি।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×