স্ত্রীর কিছু কিছু অন্যায় আবদারের কারনে সংসারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভূল বোঝাবুঝি হয়। আজকে এমন একটি অন্যায় আবদারের করুন কাহিনী শেয়ার করব।
কেস স্টাডিঃ
আকাশ আমার প্রবাসী বন্ধু। বিবাহিত। পরিবারে স্ত্রী-পুত্র, মা-বাবা, ভাই,অবিবাহিত দুই বোন নিয়ে যৌথ ভাবে বসবাস করে। আকাশ প্রবাসে আসার পর থেকেই একটি কোম্পানীতে চাকরী করছে। মধ্যেপ্রাচ্যে মন্দাভাবের কারনে তার প্রতিষ্টান থেকে অনেক কর্মচারীকে বিদায় নিতে হয়েছে। কিন্তু আকাশের সততার কারনে তার চাকরী এখনো আছে । তবে তার বেতন বাড়েনি। বিয়ের আগে যা ছিল এখনো তাই আছে। তার এই বেতন দিয়ে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়। মাস শেষে তার পকেটে কোন টাকায় থাকে না। বেতন পাওয়া মাত্র দেশে পাঠিয়ে দেয়। স্ত্রীর জন্য প্রতি মাসে ৩০০০.০০ টাকা আলাদা করে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু স্ত্রী তার পাঠানো টাকায় খুশী নয়। আরো বেশী টাকা পাঠাতে বলে। এই টাকা দিয়ে নাকি তার স্ত্রীর চলতে কষ্ট হয়। আকাশ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্ত্রী রাগাম্বিত হয় হয়ে বলে “ আগামী মাসেই যেন আমার ও আমার সন্তানের মৃত্যু হয়।” স্ত্রীর এই কথা শুনে আকাশ খুব কষ্ট পায়। স্ত্রীর সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। ডিউটি শেষ করেই একা একা রুমে মন খারাপ করে বসে থাকে। তার চোখে-মুখে বিষন্নতার চাপ দেখতে পেরে কি কারন জিজ্ঞেস করলে আমাকে বলে “ভাই, আর পারছি না, এভাবে আর কতদিন? স্ত্রীকে আর কত বোঝাব? আমার পক্ষে অবৈধ উপায়ে টাকা উপার্জন করা সম্ভব নয়। আমি হালাল ইনকাম করে সংসার চালাতে চায়। আমার যোগ্যতাও মেধা দিয়ে যা আয় করি তাতেই আমি সন্তুুষ্ট। কিন্তু আমার স্ত্রী সন্তুষ্ট নয়।” এখন আমি কি করি?
পাঠক! শুধুমাত্র একটি আবদারের কথা তুলে ধরলাম। স্ত্রীদের আরো অনেক আবদার আছে। যেগুলো পুরণ করা স্বামীর পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। বিশেষ করে আকাশের মত হালাল উপার্জনকারীদের পক্ষে কোন ভাবেই সম্ভব নয়।
আকাশের বউ কি পারে না আরেকট ধয্য ধরতে? আকাশকে একটু শান্তনা দিতে? আমিই বা কি শান্তনা দিতে পারি? আপনারাই বলুন? ব্লগে অনেক জ্ঞানী বিবাহিত নারী-পুরুষ আছে। আপনারাই বলুন আকাশদেরকে কি বলে শাস্তনা দেয়া যায়?