দাম্পত্য জীবনঃ---বৌ-এর ব্যাপারে যদি আপনার বাবা মা, পাড়া-প্রতিবেশীরা কানে কথা লাগায়
প্রতিটি ছেলেই বিয়ের আগে বাবা মায়ের আশ্রয়ে বড় হয়ে ওঠে। ছোট বেলা থেকেই সন্তানেরা বাবা-মায়ের ওপর নির্ভরশীল থাকে। বাবা-মা যেহেতু ছেলেকে লালন-পালন করে বড়ো করে তোলেন, সেহেতু তারা স্বাভাবিকভাবেই আশা করেন যে, বড়ো হয়ে ছেলে তাদের দেখাশোনা করবে।
১ বিয়ে করার পর বাবা-মা যখন দেখেন যে, ছেলে তার নতুন সংসার তথা স্ত্রীর প্রতিই বেশী যত্নশীল হয়ে পড়ছে, তখন বাবা-মা কষ্ট পান।
২ ছেলেকে বিয়ে দিয়ে তারা আপাতত দৃষ্টিতে স্বাধীন করে দিলেও মনে মনে ঠিকই প্রত্যাশা করেন যে, ছেলে তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতি সম্মান দেখাবে।
৩ কিন্তু বাস্তবে তা না দেখতে পেয়ে ভাবেন পুত্রবধূটিই এই পরিস্থিতির কারণ। সেজন্যেই তারা পুত্রবধূর ওপর থেকে ছেলের মনোযোগ কমাতে নববধূটির পেছনে লেগে পড়েন।
৪ আর বাবা-মায়ের এই দুঃখজনক আচরণ ছেলের নতুন জীবনের জন্যে মোটেই কল্যাণকর নয়। তাই ছেলেকে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে যার যার অধিকার বুঝিয়ে দেয়াই হবে যুক্তিযুক্ত।
৫ বাবা-মা ছেলের কাছ থেকে প্রত্যাশা করে যে, ছেলে উপার্জনক্ষম হলে তাদের প্রতি ছেলে লক্ষ্য রাখবে। বাবা-মায়ের এই প্রত্যাশা তাদের অনিবার্য অধিকার। এই অধিকার বিয়ের পরও যথাযথভাবেই অটুট থাকে।
৬ স্ত্রীর প্রতি মনোযোগী হবার পাশাপাশি বাবা-মায়ের প্রতি আন্তরিক দায়িত্ব পালনেও সক্রিয় হতে হবে।
৭ বাবা-মায়ের আর্থিক সংকট মেটানো উপার্জনক্ষম সন্তানের অন্যতম কর্তব্য। তাই আগের মতোই বাবা-মায়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা এবং তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করা ছেলের কর্তব্য।
৮ এই কর্তব্য যদি ছেলে পালন করে, তাহলে বাবা-মা ছেলের বৌ এবং সংসারের মঙ্গল কামনা করবে। সে ক্ষেত্রে ছেলের বৌ-এর পেছনে লাগার কোন কারণ আর ঘটবে না।
৯ কিন্তু তারপরও ব্যতিক্রমী কিছু ঘটনা ঘটে থাকে, সেসব ঘটনার ক্ষেত্রে ছেলেকে গভীরভাবে ভাবতে হবে-বাবা-মায়ের কথা কতোটা ন্যায্য।
১০ অন্যায় বা অধর্মীয় কোন আদেশ মানতে ছেলে বাধ্য নয়-একথা বাবা-মা এবং ছেলে সবারই জানা থাকা উচিত।
১১ বাবা-মায়ের প্রতি অবহেলা প্রদর্শনের কারণেই যদি তারা বৌকে অন্তরায় ভেবে থাকেন, সেক্ষেত্রে, ছেলের উচিত হবে-বাবা-মায়ের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলা। বাবা-মাকে তার ঘরে ডেকে আনা,বাচ্চাদের বলা তারা যেন দাদা-দাদীকে সম্মান করে চলে।
১২ স্ত্রীকেও বলতে হবে সে যদি শ্বশুর শ্বাশুড়ীকে সম্মান করে চলে, শ্বশুর-শ্বাশুড়ীও ছেলের বৌ-এর বিরুদ্ধে লেগে পড়ার পরিবর্তে বরং বৌকে নিয়ে গর্ববোধ করবে, পুত্র বধূকে তারা সকল ক্ষেত্রেই সহায়তা করবে।
১৩ বাবা-মাকে সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করে স্বামী স্ত্রীমুখী হয়ে পড়ুক-স্ত্রীদের এ ধরনের চিন্তা একেবারেই অন্যায্য। এ ধরনের দাবী না ন্যায়সঙ্গত না বাস্তবসম্মত।
১৪ বরং স্ত্রীরা কৌশলে বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর সাথে এমন আচরণ করতে পারে, যাতে তারা ভাবে যে বৌ তাদের সংসারের গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য। তাতে উভয়কূল রক্ষা পাবে। মনে রাখতে হবে, বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সেবা যত্নের মধ্যে সন্তানের কল্যাণ নিহিত রয়েছে।
১৫ একটা কথা বলে রাখা ভালো, তাহলো বাবা-মা সাধারণত ছেলের অমঙ্গল কামনা করে না। তারা যদি ছেলের সংসারে ঝামেলা ঘটানোর কোন কারণও হয়, তা কেবল তাদের নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য। ছেলে যদি তাদের অধিকার ঠিকমতো আদয় করে, তাহলে বাবা-মা ছেলের কল্যাণকামী হয়ে ওঠে।
পাড়া-প্রতিবেশীদের কথায় কান দিবেন না-----------
বাবা-মায়ের বাইরেও পাড়া-প্রতিবেশীদের মধ্যে অনেকে ঈর্ষুক থাকতে পারে। পাড়া-প্রতিবেশীরা হিংসা করে যদি কোন গীবত চর্চা করে, তাহলে তা খুবই ভয়ঙ্কর। তাদের কথায় হুট করে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া খুবই বোকামীপূর্ণ কাজ হবে। মনে রাখতে হবে বৌ আপনার জীবন সঙ্গী। সেও রক্ত-মাংশের মানুষ।
বউ যদি অন্যায় করে তখন কি করবেন?
১ পৃথিবীর কোন মানুষই ভুলের উর্ধ্বে নয়। বৌ-এর ব্যাপারে কেউ যদি আপনার কানে কথা লাগায়, তাহলে ধীরে-সুস্থে গভীর চিন্তা-ভাবনা করে ঠান্ডা মাথায় তা প্রতিহত করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কোনভাবেই বাইরের লোকের কুৎসা রটনাকে পাত্তা দেয়া যাবে না।
২ বৌ-এর সাথে ভালোবাসাপূর্ণ আন্তরিকতা নিয়ে আলোচনা করার পর যদি মনে হয় যে, সত্যিই বৌ কোন অন্যায় করে ফেলেছে, তাহলে বৌ-এর ঐ অন্যায়কে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখাই হবে বড় মনের পরিচয়।
৩ যুক্তি দিয়ে বৌকে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করুন-এর ফলে তাদের কী ক্ষতি হতে পারে,
৪ স্ত্রীকে হুট করেই কোন শাস্তি দেয়া একেবারেই ঠিক নয়। তাকে বুঝিয়ে বলার পর নিশ্চয় তার ভেতরে অনুশোচনাবোধ কাজ করবে। এর ফলে ভুলের পুনরাবৃত্তি আর নাও হতে পারে।
৫ অন্যদিকে আপনার স্ত্রী কৃতজ্ঞতায় আপনার প্রতি সব সময় সশ্রদ্ধ থাকবে। পরিণতিতে পারিবারিক শান্তি ও শৃঙ্খলা থাকবে অক্ষুন্ন।
৬ ক্রোধ খুবই মারাত্মক জিনিস। ক্রোধের আগুনে পুড়ে বহু সুন্দর সংসার ছারখার হয়ে গেছে। নষ্ট হয়ে যাবার পর ক্রুদ্ধরা কিন্তু অনুতপ্ত হয়। ফলে ক্রোধ নয়, ধৈর্য্যরে পরিচয় দিন। আল্লাহ ধৈর্য্য ধারনকারীদের সাথে রয়েছেন।#
জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা
বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন
আত্মপোলব্ধি......
আত্মপোলব্ধি......
একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !
হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।
আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।
আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন