****ইস্তেগফারের গুরত্ব, ফজীলত ও সময়*****
ইস্তেগফার সম্পর্কিত কোরআনের আয়াত সমুহঃ
তুমি ক্ষমা চাও তোমার ও মুমিন নারী-পুরুষদের ক্রটি-বিচ্যূতির জন্য (সুরা মুহাম্মদ, ১৯)
আর তুমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও। নিশ্চয় আল্লাহ মাশীল, পরম দয়ালূ (সুরা নিসা, ১০৬)
ইস্তেগফার সম্পর্কিত রাসুল (সাঃ) এর বানী সমুহঃ
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি “আল্লাহর শপথ, আমি প্রতিদিন সত্তরবারের চেয়েও অধিক আল্লাহর ইস্তেগফার করি ও তওবা করি”। (বুখারী)
ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন,“যে ব্যক্তি ইস্তেগফারকে অবশ্যম্ভাবী করবে, আল্লাহ তাকে সকল সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত করবেন এবং সকল পেরেশানী থেকে তাকে নাজাত দেবেন আর এমন জায়গা থেকে রিযিক দেবেন, যার কল্পনা পর্যন্ত সে করেনি ।”
ইস্তেগফারের ফজীলতঃ
ইস্তেগফার আল্লাহর ইবাদত। ইস্তেগফারের কারনে গুনাহ মাফ হয়, বৃষ্টি বর্ষণ হয়, সন্তান ও সম্পদ দ্বারা সাহায্য করা হয় এবং জান্নাতের অধিকারী করা হয়। ইস্তেগফারের ফলে সর্বধিক থেকে শক্তি ও সামর্থ্য বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ “তিনি তোমাদের শক্তির সাথে আরো শক্তি বৃদ্ধি করবেন” (সুরা হুদ ৫২) ইস্তেগফারের ফলে সুখ-সমৃদ্ধি ও প্রাপ্য হক অর্জিত হয়। ইস্তেগফারের ফলে বালা-মুসিবত দুরীভূত হয়।
ইস্তেগফারের সময়ঃ
ইস্তেগফার সব সময় করা যায়, কিন্ত গুনার পর ইস্তেগফার করা ওয়াজিব এবং নেক আমল করার পর মুস্তাহাব। যেমন সালাত শেষে তিনবার ইস্তেগফার করা, হজ্ব শেষে ইস্তেগফার করা ইত্যাদি। তবে সেহরীর সময় ইস্তেগফার করা বেশী ফজীলত, বরং মুস্তাহাব। কারণ এ সময় ইস্তেগফারকারীদের আল্লাহ তায়ালা বেশী প্রশংসা করেছেন।
ইস্তেগফার ও তওবার পার্থক্যঃ
ইস্তেগফারঃ ক্ষমা চাওয়ার উদ্দেশ্য বান্দার আসতাগফিরুল্লাহ বলা।
তওবাঃ আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন ও তার প্রতি মনোনিবেশ করা।
নারীদের জন্য ইস্তেগফার করার গুরত্বঃ
নারীদের জন্য ইস্তেগফার করা খুব জরুরী। নবী করিম (সাঃ) নারীদের কাছে এসে বলেনঃ “হে নারীগন, তোমরা সদকা কর, বেশী বেশী ইস্তেগফার কর। কারন তোমাদের অধিকাংশকেই আমি জাহান্নামের অধিবাসী দেখেছি। তাদের মধ্যে বাকপটু এক নারী বলে উঠলঃ আমাদের অধিকাংশ জাহান্নামী হওয়ার কারন কি? তিনি বললেনঃ তোমরা বেশী লানত কর এবং স্বামীদের নাশুকরি কর। (মুসলিম)
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:০৫