পর্দা সম্পর্কে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার প্রিয় রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)কে সুরা আহযাবের ৫৯ আয়াতে এরশাদ করেছেনঃ
হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগনকে, কন্যাগনকে ও মুমিন মহিলাগনকে বলে দিন, তারা যেন উপর দিক থেকে (নিজেদের মুখমন্ডল ও বক্ষদেশের উপর) নিজেদের চাদরের আচঁল ঝুলিয়ে দেয়, এতে তাদের চেনা সহজতর হবে। ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবেনা। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।
(আল-কোরআন, সুরা আযহাব, ৩৩ঃ আয়াত ৫৯)
আল্লাহ তায়ালা আল-কোরআনে আরো এরশাদ করেছেনঃ বৃদ্ধা নারী, যারা বিবাহের আশা রাখে না তারা যদি নিজেদের চাদর খুলে রাখে, তাহলে তাদের কোন (অপরাধ) গুনাহ হবে না। তবে শর্ত হলো, তারা স্বীয় রূপ-সৌন্দর্যের প্রদশনকারিনী হিসেবে তা খুলতে পারবেনা। তবে এ থেকে বিরত থাকাই উত্তম। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (সুরা নূর, ২৪, আয়াত ৬০)
হাদিসের আলোকে.......................
একবার উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা (রাঃ)রাসুল (সাঃ)কে প্রশ্ন করেছিলেন, মেয়েরা নিজেদের কাপড়কে (পোষাক বা বোরকা) কতটুকু নিচের দিকে ঝুলিয়ে দিবে?
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ তারা স্বীয় পদতালুর সামনে অথ্যাৎ গোড়ালীর নিচে রেখে কাপড় পরবে। উম্মুল মুমিনীন পুনঃ প্রশ্ন করলেন যে, যখন তারা লম্বা কদমে হাটবে? (তখন কাপড় তো উঠে যাবে, সে সময় কি করবে?) উত্তরে রাসুল (সাঃ) বললেন, তারা কখনও এক হাতের বেশী লম্বা কদমে হাটতে না। (বুখারী ও মুসলিম)
ইসলামের দৃষ্টিতে নারীঃ
Click This Link
হিজাব পরিহিতা মুসলিম রমনীঃ
একজন ব্লগারের কমেন্ট পড়ুনঃ
জুহো. বলেছেন: আল্লাহ পুরুষ এবং নারী সৃষ্টি করেছেন ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট দিয়ে। তাদের কিছু কিছু দিক দিয়ে স্বাতন্ত্র আছে তা অস্বীকার করার চেষ্টা করা বোকামি। মূলতঃ biological difference এর জন্যই তাদের আবেগ, চাহিদার স্বরূপ আলাদা থেকেই যাবে। এটা এমনকি পাশ্চাত্যের শিক্ষা, সমাজ দিয়েও যে equal হয়ে যাবে এরকম নয়। এ জন্যই দেখা যায় আমেরিকার একজন সমমানের শিক্ষিত, সমমানের সুযোগ পাওয়া মেয়েও বিপদের মুখোমুখি হয়ে যত সহজে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে, একজন ছেলে সেরকমটা করে না। হিলারির মত প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মহিলাও সে রকমটাই দেখিয়েছেন।
ছেলেদের যে কারনে আক্রমনাত্বক ভাব, অতিপ্রবৃত্তি, শক্তি, সাহস প্রকাশ পায় তার জন্য মূলতঃ দায়ী testosterone hormone যা নারী দেহে কম মাত্রায় থাকে। আবার নারীর কোমলতা, লাবন্য, এগুলো হয়ে থাকে estrogen নামক hormone এর কারনে। একজন মেয়ের শরীরে অতিমাত্রায় testosterone hormone প্রবেশ করে দিয়ে দাড়ি মোচ গজিয়ে দিলে তার দিকে কেউ ফিরেও তাকাবে না।
সুতরাং আল্লাহ এ সমস্ত কিছু অনর্থক সৃষ্টি করেন নি। বরং এ গুলোর অপচ্য় করতে নিষেধ করেছেন। অর্থাৎ পুরুষকে বলেছেন তোমার aggression, libido (জৈবিক চাহিদা), power এ গুলো কে control কর। তেমনি নারীকে বলেছেন তোমার beauty, glamour, attraction কে যেখানে সেখানে ব্যবহার কোর না। আল্লাহর এই আদেশ নিষেধ মেনে চলার মধ্যেই দুনিয়া এবং আখিরাতে মঙ্গল আর না মানলেই যত বিশৃঙ্খলা।
হিজাব পরিহিতা মহিলাদের ছবি দেখতে হলে ফেইসবুকে দেখুনঃ
Click This Link