ছবিঋণ : গুগল
১.
বর্তমান যুগকে কেউ বলে তথ্যপ্রযুক্তির যুগ, আবার কেউবা বলে ভাইরালের যুগ! তবে যে যাই বলুক—আমরা এমন একটা সময়ে বসবাস করছি—কখন যে কার কপাল আর লুঙ্গি খুলে যায় বলা মুশকিল! একলোক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে এক উজবুক দর্শক বলে উঠে—আহা! চোখটা তো বেঁচে গেছে! আজকের তথাকথিত সাংবাদিক মিলি সুলতানাদের অবস্থাও তেমন! খলনায়ক ডিপজল বাংলা চলচ্চিত্রকে সর্বাংশে ধর্ষণ করার পরও, শতভাগ দূষিত করার পরও কেবল এবং কেবল নিজের লেখার সাপোর্টের জন্য, ফ্যামিলি বন্ডিংয়ের দোহাই দিয়ে তাকে নিয়ে রিমার্কেবল পোস্টও দেয়!
সিনেমার পটপরিবর্তনে যেমন পরিচালকের ভূমিকা অত্যাবশ্যক তেমনই অভিনেতার বা অভিনেত্রীদের ভূমিকাকেও কোনো অংশে খাটো করে দেখা যাবে না। বরং অধিকাংশ সময়ই পরিচালক, নির্মাতা, ক্যামেরাম্যান বা প্রযোজকদেরকে ছাপিয়ে অভিনেতা অভিনেত্রীরা তাদের অভিনয়ের পাশাপাশি আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের কারণেও জনমনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। আর ব্যবসাসফল ছবির নায়ক নায়িকা হলে তো কথাই নেই! তখন সেই নায়ক নায়িকাদের পোশাক থেকে শুরু করে, জুতা, ঘড়ি, সানগ্লাস এমনকি কসমেটিকসও ফ্যাশনে পরিণত হয়। উদাহরণ হিসেবে আমরা দেবদাস ছবির নায়ক-নায়িকাদের কথাই বলতে পারি। নায়িকার চুড়িগুলোও ফ্যাশনে পরিণত হয়। এছাড়া তেরেনাম ছবির তেরেনাম প্যান্টও বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
মনোয়ার হোসেন ডিপজল বর্তমানে চলচ্চিত্রের সবচেয়ে আলোচিত ভালো মানুষদের একজন! তবে বাংলা সিনেমার পচন ধরাতে এক ডিপজলই সবচেয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। যখনই চলচ্চিত্রে ডিপজলের আগমন ঘটেছে তখন থেকেই ভদ্র বাঙালিরা চলচ্চিত্রবিমুখ হয়েছে। কেননা শব্দদূষণ, ভাষা দূষণ, সংস্কৃতি দূষণ থেকে শুরু করে সব দূষণের সঙ্গেই ডিপজল ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। তাকে বলা হয় অশ্লীলতার সম্রাট! বলা হয়ে থাকে বাংলার সুস্থ চলচ্চিত্রকে ১০০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে ডিপজল গং। আর এই ডিপজলের মতো লোকেরাই বর্তমানে নৈতিকতার কথা বলে, সুস্থ সংস্কৃতির কথা বলে; যা অত্যন্ত হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়।
আমরা কেবল অপরের দোষ খুঁজেই তুষ্ট হই না। যতক্ষণ পর্যন্ত না তাকে নিয়ে অপমানের কাদায় সিক্ত করতে পেরেছি ততক্ষণ ক্ষান্ত দিই না। ভার্চয়ালি আরেকটা জিনিস আমাকে খুব পীড়া দেয়। কেউ একজন নেতিবাচক পোস্ট দিলে জেনে হোক আর না জেনে হোক বাঙালি সে পোস্টে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের বন্যা বাড়তে থাকে জ্যামেতিক হারে।
নিজের চেহারা মোবারক প্রত্যহ আয়নাতে দেখলেও আমরা নিজের চরিত্রকে প্রত্যহ আয়নাতে দেখা তো দূরের কথা যুগ-যুগান্তরেও দেখার ইচ্ছেও পোষণ করি না। ফলে নিজেরা থেকে যাই ‘ধোয়া তুলসি পাতা’র মতো!
ভালোমন্দ যাচাইয়ের সার্টিফিকেট প্রদানে আমরা বরাবরই এগিয়ে। বাঙালি চারিত্রিক সনদ যেমন রাস্তাঘাট থেকে কিনে তেমন আর কোথাও মিলবে কিনা সন্দেহ! বাঙালি দুটি বিষয়ে সবসময়ই খুব সেনসেটিভ। একটি হলো হলো ধর্মীয় ইস্যু এবং অপরটি হলো কারো চারিত্রিক স্খলন। একবার শুনতে পেলেই হলো, ব্যাস! নিজে সপ্তাহে, মাসে বা বছরে একবার প্রার্থনালয়ে ঢু মারুক আর নাই মারুক, ধর্মের কিছু অংশ পালন করুক আর নাই করুক, নিজে ধর্মীয় কানুন মানুক আর নাই মানুক, ধর্মীয় পোশাক পরুক আর নাই পড়ুক—ধর্মীয় ইস্যুতে গড্ডলিকাপ্রবাহে গা ভাসাতে মোটেও কার্পণ্যবোধ করে না।
অবস্থাটা এমন যে, দেখবেন যে গানের স্বরগ্রাম তো দূরের কথা, গানের গ-ও বুঝে না, সেই করে এন্ড্রকিশোরের সমালোচনা, আসিফ আকবরের সমালোচনা! অনুরূপভাবে ধর্মীয় ক্ষেত্রেও। ওইযে, কথায় আছে না, 'চালুনি বলে, সূচ, তোর পিছনে কেন ফুটো?
কে ভালো? আমি, আপনি? আমরা, আপনারা? শাসকশ্রেণি, রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী? যখনই পেশাধরে চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে যাবেন তখনই দেখবেন—ঘাটে ঘাটে বিপদ! বহু রকমের চারিত্রিক স্খলন! যৌনতা তো একেবারেই ডালভাত! সিনেমাপাড়াকে আপনার ঘৃণা হয়? নিজের অতীত, পরিবার ও চারপাশের দিকে তাকান। যতটা ঘৃণা নিয়ে আগে তাকাতেন এখন আর সেটা ততটা প্রকট মনে হবে না।
বাংলা সিনেমাজগৎটাকে আপনার কাছে কেমন মনে হয়? পরিচালক, প্রযোজক, নর্তকী, প্রোডাকশন ম্যানেজার, ক্যামেরা ম্যান, অভিনেতা অভিনেত্রীদের? সাধু? চরিত্রহীন? হলিউড, বলিউড, টালিউড থেকে শুরু করে পৃথিবীর যেখানেই তাকাবেন প্রেম এবং বহুগামিতা উভয়ই পাবেন। প্রত্যেকটা পতিতাদের জীবনের যেমন একটি কালো অতীত থাকে তেমনই প্রত্যেক নায়িকাদেরও থাকে আলো-আঁধারি অতীত। সবই ক্যামেরায় ধারণ করার মতো নয়, সবই প্রকাশ্য দিবালোকে বলার মতো নয়। মহাজনী প্রথা যে আমাদের রক্তে মিশে আছে! সুতরাং কাউকে একটু উপকার করলে বিনিময়ে সরল-সুদকষার হিসেব নিকেশও আমরা সহজে ভুলে যাই না। অভিনেতাদের চলচ্চিত্রে আগমন যতটা সহজ ঠিক ততটাই কঠিন অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রে।
কেউ কেউ অভিনেত্রী হওয়ার আগে মডেল হয়ে ওঠে। আর এ সমাজে প্রতিষ্ঠিত মডেল হওয়ার দৌড়ঝাপ যে কতটা ভয়ংকর, কতটা বন্ধুর তা মডেল মাত্রেই জানে। অভিনেত্রীদের কেবল গুণ বা যোগ্যতাই সব নয়, শরীর বিনিময়ও ছবিতে কাজ পাবার জন্য বা প্রতিষ্ঠিত মডেল হওয়ার জন্য শরীর বিনিময়ও তাদের অন্যতম যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়। আর এ দৌরাত্মে যে বা যারাই বেশি এগিয়ে থাকে তারাই বেশি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ পায়। এটা সকল সিনেমাপাড়ার জন্যই প্রযোজ্য। তবে হ্যাঁ, ব্যতিক্রমও আছে।
শারীরিক ভয় আছে বলেই অনন্ত জলিল তার স্ত্রীকে অন্যের ছবিতে কাজ করার অনুমতি দেয় না বা অন্যের নায়িকা হওয়ার অনুমতি দেয় না; কিংবা বর্ষা নিজেও অনন্ত জলিলের সঙ্গে অন্য নায়িকার আগমনকে শুভ চোখে দেখে না।
আর মিডিয়া বর্তমানে এত ব্যাপরোয়া হয়েছে যে, অধিকাংশই সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার ধার ধারে না। ভাষা দূষণ থেকে শুরু করে শব্দ বা বাক্যের পরিমিতিবোধ সব জায়গাতেই তাদের দীনতা লক্ষ্য করার মতো। আর আমাদেরও অবস্থা এমন যে, মিডিয়া যা খাওয়ায় তাই আমরা সানন্দচিত্তে খাই বা লুফে নিই।
পত্রিকার টিআরপি বাড়ানোর জন্য তারাও ইচ্ছেমতো নিউজ পরিবেশন করছে। যা সংবাদের যোগ্য নয়, তাও যোগ্য হচ্ছে, যা সংবাদ হবার নয়, তাও তারা সংবাদ করে দেদারসে প্রচার-প্রসার করছে। তবে মিডিয়া চাইলে যে কাউকে যেমন উপরে তুলতে পারে আবার যে কারও জীবনও তছনছ করে দিতে পারে। সুন্দর, সাজানো গোছানো জীবনেও টর্নেডোর ভয়াল থাবা বসিয়ে দিতে পারে।
সাংবাদিকরা সমাজের শিক্ষক। কিন্তু এখন সংবাদের গুণগত মান দেখে এটা আর কোনোভাবেই উপলব্ধি করা যায় না। এক অস্থির প্রতিযোগিতায় তারা নিজেরাও মগ্ন! এক বাস যেমন পাল্লা করে আরেক বাসের আগে যাবার জন্য সড়ক ও জনপদের নিয়মনীতি বা রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের নিয়মনীতির ধার ধারে না, তেমনই পত্রিকাগুলোর কর্তব্যক্তিগণও। সুস্থ প্রতিযোগিতা ভালো, কল্যাণকর; তা ব্যক্তিপর্যায়ে এমনকি গোষ্ঠী বা প্রাতিষ্ঠান পর্যায়েও। তবে অসুস্থ প্রতিযোগিতা ব্যক্তি, কোনো প্রতিষ্ঠান তথা দেশ ও জাতি কারো জন্যই সুখকর নয়।
কোনো কর্মক্ষেত্রে যখন ব্যক্তির দায়বোধ তৈরি হয় না, তখন বুঝতে হবে সেখানে ব্যক্তি বা ওই প্রতিষ্ঠানের নিশ্চয়ই দুর্বলতা রয়েছে। যোগ্য নাগরিক গড়তে হলে যেমন ব্যক্তির পাশাপাশি সমাজের বা রাষ্ট্রেরও কিছু ভূমিকা থাকে তেমনই দায়বোধ তৈরিতেও প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অগ্রগণ্য।
রাষ্ট্রকেই জবাবদিহিতা বা স্বচ্ছতার জায়গা তৈরি করতে হবে। তবেই তা ব্যক্তিপর্যায়ে বেশি ফলপ্রসূ হবে। অপ্রিয় হলেও সত্য যে, এখন দায়েবোধ আর স্বচ্ছতার জায়গা দখল করেছে স্বৈরাচারিতা আর উপরি পাওনার ঘেরাটোপ। ক্ষমতার সদ্ব্যবহার কথাটি এখন জাদুঘরে স্থান পাওয়ার মতোই ব্যাপার! রাজনৈতিক স্খলন বা রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এর নেতিবাচক প্রভাব সাধারণ নাগরিক এমনকি সাংবাদিকদের ওপরও পড়েছে।
রাজনীতিবিদদের ক্ষমতার মোহ সেইসঙ্গে ক্ষমতার যথেচ্ছ ব্যবহার প্রত্যহই জনমনে রিরূপ প্রভাব ফেলছে। তবে এর বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সাংবাদকিদের ওপর। সাংবাদিকদের নিজেদের পকেটে রাখার প্রবণতা আবহমান কাল থেকেই রাজনীতিবিদদের মধ্যে বিরাজমান। পোষ্যপুত্রের চেয়েও সমাদর পায় পোষ্য সাংবাদিকগণ! ফলে সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার ক্ষমতা পর্যন্ত তারা হারিয়ে ফেলে। অনেকটা সতীত্ব হারানো নারীদের মতোই অবস্থা হয় তাদের!
২.
লেখক হতে গেলে যে আগে রাজনীতিবিদ বা রাজনীতিসচেতন হতে হয়। কী বুঝলেন না, তাই তো? বুঝিয়ে বলছি। লেখক হতে হলে এখন আগে পরিচয় দিতে হয় রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততার? রাজনৈতিক মতাদর্শই এখন লেখক আইডেন্টিটির প্রধান সোপান হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ দুই যুগ আগেও এমনটি ছিল না। ওইযে, "মুনির চৌধুরী বলেছেন, মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়। কারণে অকারণে বদলায়, সকালে বিকালে বদলায়।" পরিবর্তনের এ খেলায় প্রত্যহই বদলে যাচ্ছে সমাজের দৃশ্যপট, রাষ্ট্রের দৃশ্যপট, নীতিনৈতিকতার দৃশ্যপট, মতাদর্শের দৃশ্যপট!
সাংবাদিক হতে গেলেও এখন যেকোনো রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকতে হয়, পরিচয় দিতে হয়। বিশ্বের আর কোনো দেশে এমন নজির আছে বলে আমার জানা নেই।
আপনি সরকারি চাকরি করতে চাইলে তো আপনাকে আরও ভয়ানক পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে। আপনার চৌদ্দোগোষ্ঠীতে কেউ সরকারি দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিনা তারও ভেরিফিকেশন করা হয়। আর সরকারের এন্ট্রি হলে তো আপনার কপালই পোড়া! যাকে বলে বিধি বাম! স্বাধীনতা উত্তর এ চিত্র ক্রমশ নগ্ন থেকে আরও নগ্নতর হয়ে উঠছে। রাষ্ট্রের বা সমাজের উচিত হলো মেধা বিকাশে পূর্ণ সহযোগিতা করা। সেইসঙ্গে মেধাবীদের যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্যায়ন করা। কেননা, গুণীর কদর করলেই যে গুণীর জন্ম হয়!
পত্রিকায় লিখতে চান? এখানেও যেমন সিন্ডিকেট আছে তেমনই আছে দলীয় বা বিরোধীদলীয় মদদের নগ্ন ছায়া! অর্থাৎ এই দেশে লেখক হিসেবে সর্বজনীন হওয়ার আশা করা নিছকই বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়। বর্তমানে কণ্ঠশিল্পী থেকে শুরু করে, খেলোয়ার এমনকি নায়ক-নায়িকাদের মধ্যেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় পরিপুষ্টি লাভের কুৎসিত প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায়। রাজনীতি ক্রমশই কি আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্য থেকে সরিয়ে দিচ্ছে? আমাদের মধ্যে কি বিভাজন তৈরি করছে? এ বিষয়ে ড. মোহাম্মদ আমীন-এর একটি লেখা উল্লেখ করা সঙ্গত মনে করছি:
“হাই স্কুলের কথা। বাংলা, অঙ্ক, ইংরেজি, বিজ্ঞান, ইতিহাস, সমাজ সব বিষয়ের ক্লাস সব ধর্মের ছাত্রছাত্রীরা একসঙ্গে করতাম। কেবল ধর্ম এলে অনুসারী অনুযায়ী আমদের পৃথক করে ফেলা হতো। ঐক্যে ফাটল ধরত।
সনৎ বাবুর কাছে জানতে চেয়েছিলাম, ধর্ম কী?
তিনি বলেছিলেন, যা সর্বজনীন নয় এবং সর্বজনীন হওয়ার কোনো উপাদান বা যোগ্যতা নেই বলে কখনো সর্বজনীন হতে পারবে না সেটাই ধর্ম।
ধর্মের কাজ কী?
বিভাজন সৃষ্টি করা।
আরে ব্যাটা, ধর্ম প্রসব করে উৎসব। মানে উৎসব হচ্ছে গিয়া ধর্মের পোলা। একজনের প্রসব করা সন্তান সবার হয় কীভাবে? তাইলে, তো দুনিয়ার সব লোক তোর বাবা হয়ে যাবে”। (সন্মিত্রা, ড. মোহাম্মদ আমীন)
রাজনীতির মাধ্যমে বিভাজন নয়; আবার সবক্ষেত্রে রাজনীতির নগ্ন হস্তক্ষেপও কাম্য নয়। নীতিনির্ধারণী মহলের কর্তাব্যক্তিগণ বিষয়টি পুনরায় ভেবে দেখতে পারেন। কেননা, এর ফলাফল দূরভবিষ্যতের জন্য মোটেই সুখকর নয়। বিশেষ করে সৃষ্টিশীল ক্ষেত্রে। এসব ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিচয় অত্যাবশ্যক না হলে সৃষ্টিশীল কর্মগুলো, সাহিত্যগুলো শ্রেণিভেদে সকলের কাছেই সমাদৃত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। বিভাজনের কুবাবাতাস দেহমনে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের মনে কুপ্রভাব পড়তে থাকে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তখন ব্যক্তির সৃষ্টিশীল কর্মের তারিফ করা তো দূরে থাক, ব্যক্তিকেই আমাদের কাছে অসহ্য মনে হয়। আর এসব করাণে সময় এসেছে আমাদের নতুন করে ভাবার। (চলবে)
০৩/১০/২০২২ খ্রি.
মুনশিপাড়া, চট্টগ্রাম
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৪