টেন্ডার নিয়ে বিরোধের এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ আর যুবলীগের গুলাগুলির মাঝে পড়ে ২ জন শিশু নিহত হয়েছে। এইটা পুরান খবর। খবরটা শোনার পর মাথায় একটা জিনিস খেলতাছে। যখন টেন্ডার জমা দিতে যায় তখন তো দু'পক্ষই কাছাকাছি ছিলো, সামনাসামনি ছিলো। তারপর এক পর্যায়ে দু'গ্রুপের মধ্যে বিরোধ, কথা কাটাকাটি, ঝগড়া, মারামারি শুরু হইলো। তখন তাদের দু'জন দলনেতা বললো, নাহ এভাবে জমতাছে না। যেহেতু আমাদের দু'গ্রুপের সাথেই কিছু যন্ত্রপাতি আছে চলো এইগুলা কাজে লাগাই, একটা খেলা খেলি। যুবলীগ গ্রুপ ছাত্রলীগ গ্রুপকে বললো তোমরা যাও পার্কের একেবারে উত্তর পাশে, আমরা থাকি দক্ষিণ পাশে। তারপর দেখি কার হাতের এইম কেমন। যাদের এইম বেশি ভালো তারাই টেন্ডার পাইবো।
কথাবার্তা শেষ। এবার মাঠে নামার পালা। মাঠে নামার কিছুক্ষণের মধ্যেই অভিজ্ঞতাসম্পন্ন যুবলীগ এক গোল দিয়ে দিলো (পড়ুন একজন নিরীহ শিশু মারা গেলো)।
ছাত্রলীগ এক গোলে পিছিয়ে পড়ে গোল শোধ করার আপ্রাণ চেষ্টার এক পর্যায়ে শেষ বাঁশি বাজার কিছুক্ষণ পূর্বে সফল হলো (মারা গেলো নিরীয় দ্বিতীয় জন)।
ফলাফলঃ যুবলীগ ১-১ ছাত্রলীগ।
যেহেতু কোনো গ্রুপই জয়লাভ করতে পারে নাই তাই টেন্ডার ভাগ করে নেয়ার সিদ্ধান্ত হইলো। দু'গ্রুপই খুশী। তারা বলাবলি করতে লাগলো- "আমরা আমরাই তো"।