সব নেট থেকে নেয়া । আগে পড়ে থাকলে দায়-দায়িত্ব আপনার ।
০১.
ইংরেজ শাসন আমলের রাজস্থানের
মরুভুমিতে একটা দুর্গ।
সেইখানে সেনাপতি হয়ে এসেছে জাত্যাভিমানী এক
ইংরেজ যুবক। এসেই শুরু
করছে হম্বি -তম্বি। এরে ধমকায় ত
ওরে মারে। কোনো কিছু তার পছন্দ
হয় না। ইন্ডিয়ানদের রুচি নাই।
চোর -বাটপার সব কয়টা। প্রথম
দিনেই দুর্গ পরিদর্শনের সময়
সেনাপতি দেখে একটা উট বাধা। "
ওই হারামজাদা। উট এইটা কিসের
জন্য ? " একজন কাচুমাচুভাবে বলল
" আমরা তিন-চার মাস
একটানা দুর্গে থাকি।
এইখানে কোনো মেয়ে নাই।
সৈনিকরা মাঝে মাঝে খুব একা বোধ
করলে এই উট ব্যাবহার করে। "
সেনাপতি ত bloody indian দের
কথা শুনে থ। শুয়োরের
বাচ্চারা উটকে "কামে"
লাগায়...ছি ছি ছি। সে কড়া নির্দেশ
দিলো যে এরপর কোনো নেটিভ
হারামজাদা উট ব্যাবহার
করলে তাকে ঝুলিয়ে পিটানো হবে।
যাই হোক তার
কড়া শাসনে দুর্গে নিয়ম -
শৃংখলা ফিরে আসলো। সবাই সোজা।
সব কিছু ঠিকমত চলছে। মাসের পর
মাস যাচ্ছে।
এক সময় সেনাপতির
একা একা লাগা শুরু করল। শালার
একটা মাইয়া দেখি নাই গত চার
মাস। আরো এক মাস গেলো। একদিন
সকালে সে হুকুম দিলো , শুয়োরের
বাচ্চারা, উটটা নিয়ে আয় আমার
তাবুতে। কিছুক্ষন ধস্তা-
ধস্তি হল। উটের চিৎকার
শুনা গেল। এরপর
সেনাপতি প্যান্টের চেইন
লাগাতে লাগাতে বের হয়ে আসল। বড়
বড় চোখ করে bloody indian
গুলো তাকিয়ে আছে। এদের
দিকে তাকিয়ে সেনাপতি বলল
- খারাপ না, তোরাও কি এইভাবেই
ব্যাবহার করিস?
- না হুজুর।
আমরা এইটাতে চড়ে মাইলদুয়েক
দুরের একটা শহরে যাই।
০২.
বিদেশের এক রেস্টুরেন্ট। তিনজন
বাবুর্চি সেখানে কাজ করে। একজন
চাইনিজ , একজন জাপানিজ আরেকজন
বাংলাদেশী। তিনজনের ভিতর খুব
রেষারেষি। একদিন
একটা মাছি ঢুকছে কিচেনে।
সাথে সাথে চাইনিজটা একটা ছুরি নিয়া এগিয়ে গেলো।
কিছুক্ষন সাইসাই
করে চালালো বাতাসে।
মাছিটা পরে গেলো চার টুকরা হয়ে।
সে বাকি দুইজনের
দিকে তাকিয়ে বলল , "
এইভাবে আমরা আমাদের শত্রুদের
চার টুকরা করে ফেলি। "
আরেকদিন মাছি ঢুকতেই
জাপানিজটা এগিয়ে গেলো। সাইসাই
করে ছুরি চালালো। মাছি আট
টুকরা হয়ে গেলো।
সে বাকি দুইজনের
দিকে তাকিয়ে বলল , " এইভাবেই
আমারা আমাদের শত্রুদের আট
টুকরা করে ফেলি "
পরেরদিন মাছি ঢুকছে একটা।
বাংলাদেশীটা এগিয়ে গেলো।
বেচারা অনেকক্ষন ছুরি চালালো।
হাপিয়ে গিয়ে এক সময় চলে এলো।
বাকি দুইজন বলল
- কি তোমরা তোমাদের শত্রুদের
কিছুই করো না?
-হুমমমম...তোরা বুঝোস না কিছুই।
এমন কাম করছি যে অই মাছি আর
কোনোদিন বাপ হইতে পারবো না।
০৩.
এক লোক অতি বিকট শব্দে বায়ু
ত্যাগ করে। তার যেমন বিকট আওয়াজ
তেমনি উৎকট গন্ধ।তার বউ বিরক্ত।
- তুমি কি এটা ইচ্ছা করেই
করো নাকি?
-ইচ্ছা করে আবার করা যায়?
-কি জানি। তবে তোমার জ্বালায় ত
আর থাকতে পারছি না।
দেখো কমাতে পারো কিনা।
এত কথা পুরোটাই নষ্ট হয়েছে।
পরদিন সকালেই আবার বিকট
শব্দে কাজ শুরু করেছে। বউ
বিরক্ত হয়ে বলল
-
তুমি যেভাবে চালিয়ে যাচ্ছো তাতে কদিন
কিন্তু পাদ দিতে গিয়ে নাড়ি-
ভুড়ি বের হয়ে যাবে।
- তুমি কি সব কথা বলো। নাড়ি-
ভুড়ি বের হবে কেনো?
-বের হবে ...একশবার হবে...তুমি জোর
করে এমন বিকট আওয়াজ করো।
একদিন সকালে সে অভ্যাসগত ভাবেই
বিকট শব্দে ত্যাগ করছে। তার বউ
আর শুয়ে থাকতে পারল না।
উঠে যেতে যেতে বউয়ের মাথায়
এসেছে এক বুদ্ধি।
নীচে নেমে ফ্রিজ থেকে মুরগি বের
করল। এরপর মুরগির নাড়ি-
ভুড়ি নিয়ে এসে স্বামীর পাজামার
ভিতর দিয়েছে ঢুকিয়ে। চুপ
করে নেমে এলো।
রান্না করতে করতে দুই কান
খাড়া করে রাখছে সে। কখন তার
স্বামী চিৎকার করে ঊঠবে।
কিছুক্ষন পর যথারীতি এক চিৎকার।
বউয়ের মুখটা আনন্দে ভরে গেছে।
এইবার হইছে উচিত শিক্ষা।
আধা ঘন্টা পর নেমে এসেছে জামাই।
এসেই বলে
- ও বউ ,তুমি ঠিকই বলেছিলে।
এতো জোরে পাদ দেয়া ঠিক না ।
আজকে সকালেই পাদ দিয়ে ত নাড়ি-
ভুড়ি বের হয়ে গিয়েছিল আমার।
- তাই নাকি?
-তবে বলছি কি আর। তবে খোদার
রহমতে, একটু
চেষ্টা করে সমস্তটা আবার
ভিতরে ভরে ফেলতে পারছি।