আরাকান আর্মি (ফাইল ছবি)
আজ বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম সেপ্রুপাড়া এলাকায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে মিয়ানমার বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গ্রুপ আরাকান আর্মি (এ এ)র গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় এক গ্রাম পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে। দুই সেনা এবং ১ আনসার সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আরাকান আর্মির সাথে সংঘর্ষের ঘটনা এটাই প্রথম নয়, গত ২৫ শে আগষ্ট ২০১৫ তে বান্দরবানের থানচিতে বিজিবি এবং মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির মধ্যে গোলাগুলির পর ঐ এলাকায় বিজিবি ও সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। বিস্তারিত হয়তো কিছুক্ষনের ভিতর চলে আসবে। কিন্তু আমি মনে করি কারা এইসব ঘটনা ঘটাচ্ছে সেটা জানা জরুরী।
খবরের লিঙ্ক
কারা এই আরাকান আর্মি? তাঁদের সাথে আমাদের কেন এই সংঘর্ষ? এই আরাকান আর্মি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল মায়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে, তাঁরা কেন এখন আমাদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে? আমাদের বাংলাদেশের সীমান্তে তাঁরা কেন ঘাটি গেড়েছে? অনেক গুলো প্রশ্ন। এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর খুঁজতে গেলে আপনার মাথা খারাপ হয়ে যাবে। আরাকান আর্মি মুসলিম বেদ্বেসী বুদ্ধ যারা আরাকান রাজ্যের রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ করে এই এলাকার স্বাধীনতা চায়। অতীতে অনেকবার তাঁদের হাতে হাজার হাজার মুসলিম নিহত সেখানে নিহত হয়েছে। এই বুদ্ধিষ্ট সন্ত্রাসীদের সাথে এবার সখ্যতা গড়ে উঠেছে আমাদের দেশের পার্বত্য উপজাতি সন্ত্রাসীদের। উপজাতি সন্ত্রাসীরা পার্বত্য এলাকাকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে তাঁদের কাছ থেকে অস্ত্রের যোগান পাচ্ছে। আর আরাকান আর্মি উপজাতিদের কাছ থেকে আশ্রয় পেয়েছে। সেই আশ্রয় এমন ছিল যে আরাকান আর্মির ডা. রানিন সোয়ে মার্মা আমাদের দেশে গহীন অরন্যের মাঝে বিলাশ বহুল বাড়ি বানিয়ে বসবাস করছিল।
আরাকান আর্মি নেতা রেনিন সোয়ে
আগষ্টের সংঘর্ষের পরে যৌথবাহিনী প্রথম বারের মত সীমান্তে অভিযান শুরু করে। তারপর থেকেই মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘আরাকান আর্মি’র ডা. রানিন সোয়ে মার্মা বাংলাদেশকে বেশ হুমকি ধামকি দেওয়া শুরু করে। তখন রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার তাইদং পাড়ায় ডা. রানিন সোয়ে’র তিন তলা বিলাসবহুল বাসায় অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। কিন্তু অভিযানের আগেই ওই বাসা ছেড়ে পালিয়ে যান ডা. রানিন। তাঁর পর থেকেই নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ডা. রানিন সোয়ে এরপর চরম উদ্ধত্য প্রকাশ করে বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
হুমকি দেওয়ার স্কিনশট
মজার বিষয় হলো ডা. রানিন সোয়ে’র সঙ্গে সখ্য রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের অনেক প্রভাবশালী ব্যাক্তির। তাঁরা সবাই অবধারিতভাবে উপজাতি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী। এরা সরকারের লোক হয়েও ভিতরে ভিতরে একজন ভীন দেশী সন্ত্রাসীর সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছে। এর মধ্যে রয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমা, চাকমা রাজা ও তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা দেবাশীষ রায়, রাঙ্গামাটি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদারের ভগ্নিপতি মং থোয়াই চিং, বিএনপি নেতা দীপেন দেওয়ানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অ্যাডভোকেট দীনানাথ তঞ্চঙ্গ্যা সহ অনেকে। এর মধ্যে মং থোয়াই চিং আবার প্রভাবশালী এনজিও গ্রীনহিলের প্রধান।
পার্বত্য চট্রগ্রামের উপজাতি সন্ত্রাসীদের কাছে সব অস্ত্রের চালান আসতো মায়ানমার থেকে এই ডা. রানিনের মাধ্যমে। এছাড়া এই আরাকান আর্মির নেতা চলাফেরা করার সময় সশস্ত্র গার্ড নিয়ে চলাফেরা করতো। একটি ছবিতে একজনের হাতে অস্ত্র দেখা যাচ্ছে।
উপজাতি নেতাদের জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছা করছে - কিসের প্রেম তাহার সনে ..!!
চাকমা রাজা ও তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা দেবাশীষ রায়ের সাথে রেনিন সো'
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমার সাথে রেনিন সো'
এভাবে দেখা যায় সে অনেকদিন ধরেই এইসব উপজাতি নেতাদের সাথে মিলেমিশে দেশের সার্বভৌমত্ব বিনষ্টের কাজে লিপ্ত আছে।
গত ১৩ই অক্টোবর মিয়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির আলোচিত নেতা রেনিন সো’কে আটক করেছে বিজিবি। মধ্যরাতে রাজস্থলী উপজেলার ইসলামপুর আদর্শ নতুন পাড়া এলাকা থেকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। বিজিবি’র মেজর সাব্বির আহম্মেদ রাত সাড়ে ৩টার দিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতমাসে আমি এই রবিন সো'কে নিয়ে একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম। পোষ্ট দেওয়ার কিছুক্ষন পরেই আমার ওয়ালে এসে হাজির হয় স্বয়ং এই রেনিন সো! আমরা কয়েকজন তাঁকে চারিদিক থেকে চেপে ধরলে একটি সময় সে যুক্তিতে না পেরে আমাকে ব্লক দিয়ে চলে যায়। কিছু স্কিনশট গুলো দিয়ে দিলাম। অনেক কিছু উঠে এসেছিল তার কমেন্টে। বাঙ্গালী অনলাইন যোদ্ধারাও তাঁকে ঠিকভাবে সাইজ দিয়েছিল।
আমার ওয়ালে এসে কমেন্ট করেছিল
রেনিন সোয়ের করা কমেন্ট ও তাঁর কাছে চাওয়া জবাব
পাহাড়ের সন্ত্রাসের পিছনে জড়িত আছে মীর জাফর রূপী এইসব নামধারী উপজাতি নেতারা।এরা সবাই দেশ ভাগের ষড়যন্ত্রের সাথে লিপ্ত বলেই মনে করি। পার্বত্য এলাকার অখন্ডতা রক্ষার জন্য এইসব সন্তু, বাহাদুর সব নেতাদের রিম্যান্ডে নেওয়া জরুরী।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮