কালো বিড়াল খ্যাত সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত ধার্মিকদের সৌদি আরব চলে যাওয়ার সবক দিয়েছেন। খবরটা দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশ হলেও অদৃশ্য কোন ইশারায় পরবর্তীতে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকালের পর থেকে ফেসবুক সহ বিভিন্ন পোর্টালে এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। দেশের নীতি নির্ধারনী যারা আছেন তাঁরা যদি সব সময় মাতাল অবস্থায় থাকেন তাহলে দেশের সাধারন জনতাকে তাঁর মাশুল দিতে হয়। আমাদের এখনকার মন্ত্রী এমপি মহোদয়েরা সব সময় মাতাল অবস্থায় চলাফেরা করছেন। এই কারনে তাঁদের দ্বারা বিভিন্ন ধরনের বেফাঁস কথা আমরা শুনতে পারছি। আবার কিছু জনপ্রতিনিধি দুই ধাপ এগিয়ে নিজের হাতের টিপ কেমন প্রমান নিতে দশ বছরের বালকের গায়ে গুলি করে দিলে তাতে এই জাতির একজন সদস্য হিসাবে লজ্জিত না হয়ে উপায় নেই।
খবরে জানা যায়, সংবাদ সম্মেলন চলাকালে বিষয়বহির্ভূত ভাবে ধর্ম নিয়ে কথা আজেবাজে মন্তব্য করার সময় প্রথম আলোর এক সাংবাদিক তাঁকে ধর্ম অবমাননাকর মন্তব্য করতে নিষেধ করলে তাঁর জবাবে সুরঞ্জিত উত্তেজিত হয়ে বলেন, "দেশ কি আপনার বাবার? আপনার বাবা কি হাজী সাব? তাহলে আপনি সৌদি আরব চলে যান। এদেশে কোন ধার্মিকের যায়গা নেই.. " খবরের লিঙ্ক
এখানে আমার একটু বুঝতে সমস্যা হচ্ছে!! ধার্মিক মানেই কি মুসলিম? অন্য ধর্মের কোন মানুষ বা তাঁর মত কোন অমানুষ ধার্মিক হতে পারেনা? যদি অন্য ধর্মের কেউ ধার্মিক এদেশে থেকে থাকে তিনি কি করতে সৌদিতে যাবেন? এছাড়া ধার্মিক হওয়া তো কোন অপরাধ না, বরং ভালো একটি কাজ। যেকোন ধর্মের ধার্মিকরা অধার্মিকদের থেকে চারিত্রিক দিক থেকে অনেক উন্নতমানের হয়ে থাকে। এইডস বিরোধী ক্যাম্পেইনে সরকারের পক্ষ থেকে প্রচার করা হয় এইডস থেকে বাঁচতে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন। অর্থাৎ সকল ধর্মেই খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছে। যারা ধার্মিক হয় তাঁরা খারাপ কাজ থেকে সাধারনত বিরত থাকে। সেখানে তিনি এই ভালো মানুষ গুলোকে কি কারনে দেশে যায়গা না দেওয়ার ঘোষনা দিলেন তাঁর কোন ব্যাখ্যা পেলাম না।
সুরঞ্জিত বাবু হিন্দু ধর্মের অনুসারী বলেই এতো দিন জেনেছি। কিন্তু তিনি যে কোন প্রকার ধার্মিক নন এটা এখন পরিষ্কার। এইডস থেকে বাঁচতে তিনি এখন কোন পন্থা অবলম্বন করছেন জানতে পারলে দেশ জনতা উপকৃত হতো।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩