গত ১৮ তারিখ সারা দেশব্যাপী অনলাইন এক্টিভিষ্টদের উদ্যেগে প্রথম আলো পত্রিকায় আগুন জ্বালাও কর্মসূচি পালিত হবার পরের দিন বাংলাদেশের মিডিয়া সন্ত্রাসের গড ফাদার প্রথম আলো গং অনলাইন এক্টিভিষ্টদের এবার হুমকি দিচ্ছে। গতকালের পত্রিকায় প্রকাশিত এক খবরে "ফেসবুকে প্রথম আলো নিয়ে বিভ্রান্তি, সাবধান" শিরোনামে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই হুমকিতে অনলাইন এক্টিভিষ্টদের মামলার ভয় দেখানো সহ দেখে নেওয়ার কথাও বলা আছে। পুরো সংবাদটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
দেখুন সেই বিবৃতির স্কিন শট
পার্বত্য সন্ত্রাসীদের মদদ দেওয়া এবং সংবিধান লংঘন করে সব সময় উপজাতিদের আদিবাসী হিসাবে উল্লেখ করার প্রতিবাদে গত ১৮.০৮.২০১৫ তারিখ সারা দেশব্যাপী দেশ প্রেমিক জনতাকে নিয়ে প্রথম আলোতে আগুন দেওয়ার কর্মসূচি পালন করা হয়। এই ঘটনা প্রেস ক্লাব দিয়ে সারা দিন তুমুল আলোচনা হলেও কোন মুল ধারার পত্রিকা এই খবর প্রকাশ করেনি। প্রথম আলো গং তাঁদের শক্তি খাটিয়ে প্রেস ক্লাবকে দিয়ে খবরটি প্রকাশ না করতে বাধ্য করেছে। কিন্তু তাঁরা এখন সমস্যায় পড়েছে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুক নিয়ে। ফেসবুকে কোন ধরনের প্রেস ক্লাব না থাকায় যখনতখন পাবলিকে তাঁদের ধুতি ধরে টানাটানি করছে। নিজেদের প্রভাব খাঁটিয়ে অন্যান্য মিডিয়ার কন্ঠরোধ করতে পারলেও ফেসবুকের কণ্ঠকে থামাতে না পেরে এই হুমকির আশ্রয় নেওয়া হলো। গতকালের প্রথম আলো জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচীর খবর দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
প্রথম আলো জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচীর কিছু ছবি ==
প্রথম আলো আজকে যে বিভ্রান্তির কথা বলছে সেটা কি আসলেই তাঁদের বিরুদ্ধে ছড়ানো কোন বিভ্রান্তি?? প্রথম আলোর বিরুদ্ধে জনতার ফুঁসে উঠাঘটনার সুত্রপাত হয় ১৬ তারিখের "সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে পাঁচ আদিবাসী নিহত" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর থেকে। এই লেখায় বাংলাদেশের অহংকার সেনাবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ইনিয়ে বিনিয়ে আপত্তিজনক খবর ছাপানো হয়। এমনকি মানুষজনকে ইমোশনালী ব্ল্যাক মেইল করতে নিহত একজন উপজাতি সন্ত্রাসীর স্ত্রীর বরাতে লেখা হয়- " শিপা চাকমা এখন অন্তঃসত্ত্বা। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘পেটের বাচ্চাকে নিয়ে আমি এখন কোথায় যাব?’' এমনকি এতবড় একটা অভিযানে যারা নিহত হলো তাঁদের কোন ছবি পর্যন্ত প্রথম আলো দেয়নি। কারন এতে তাঁদের আদিবাসী তত্ত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে। দেখুন সেদিন প্রথম আলোতে প্রকাশিত রিপোর্ট...
সেদিনের খবরের স্কিনশট দেখুন। এখানে কোন অস্ত্র বা সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত নিহতের কোন ছবি পর্যন্ত তাঁরা দেয়নি।
সেদিনের ঘটনাবলীর খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
প্রথম আলোতে এমন প্রতিবেদন প্রকাশের সাথে সাথেই প্রতিবাদী হয়ে উঠে পার্বত্য অনলাইন এক্টিভিষ্টরা। ১৬ই আগষ্ট সারাদিন তাঁরা নিজেদের প্রতিবাদ জানাতে থাকে। সংবিধান অমান্য করে উপজাতিদের আদিবাসী বলা এবং আমাদের গর্বের সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করায় সরকারের কাছে বিচারের দাবি করে। এই প্রতিবাদের ফলে তারপরের দিন ১৭ই আগষ্ট প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ একটি দায়সারা ব্যাখ্যা দিয়ে পার পেয়ে যেতে চায়। তবে তাঁরা স্বীকার করে নেয় আদিবাসী শব্দের জায়গায় সংবিধানে উপজাতি বা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী উল্লেখ আছে। পুরো সংবাদটা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
সেদিনের সংবাদের স্কিনশট।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যুতে বাংলাদেশকে নিয়ে দেশি বিদেশী ষড়যন্ত্রে জড়িত, বিদেশী এনজিওদের মদদপুষ্ট, উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের গডফাদার সন্তুলারমাকে সহযোগীতাকারী, পার্বত্যাঞ্চলের সমস্ত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার উস্কানীদাতা এই প্রথম আলো এখন সরকার, সেনাবাহিনীকেও বিতর্কিত করা শুরু করেছে। সংবিধানকে থোড়াই কেয়ার করে এবার জনতাকে হুমকি দিয়ে জনতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করতে চায়। আমরা সরকারের কাছে এর বিচার দাবি করছি।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:২৫