বলে কী! এ যুগেও এমন হয় নাকি! এতো কেবল আমাদের সেবা প্রকাশনীর কিশাের ক্ল্যাসিকেই হয় বলে জানতাম। হন্ডুরাসের গভীর জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে একদল গবেষক সেখানে হারিয়ে যাওয়া এক শহরের সন্ধান পেয়েছেন।
১৯২০ সালের দিক থেকে এই রহস্যময় ‘সাদা শহর’ বা ‘শিওদাদ ব্লাঙ্কা’র নাম প্রথম শোনা যায় একদল দুঃসাহসী অভিযাত্রীর মুখে। আর এর সূত্র ধরেই এই গহীন জঙ্গলে অভিযান চালায় তারা। কিন্তু দুর্গম এ জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসাটা সত্যিই খুব দুঃসাধ্য ছিল। তবে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক জানায়, আমেরিকান আর হন্ডুরানদের সমন্বয়ে গঠিত এই অভিযাত্রী দলের সবাই বেঁচে ফিরতে সক্ষম হয়েছে।
প্রত্নতত্ত্ববিদেরা জানিয়েছেন, প্রায় হাজারখানের বছর আগে এই শহর অনেক জৌলুসপূর্ণ ছিল। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে এই শহরটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। প্রচুর পরিমাণ পাথরের ভাস্কর্য এখানে পাওয়া গিয়েছে যেগুলোর ওপর সে সময়ের পর থেকে কোন হাতের স্পর্শ পড়েনি। নিদর্শনগুলো যাতে চুরি বা লুট হয়ে না যায় সেজন্য জায়গাটির অবস্থান সম্পর্কেও কোন তথ্য দেয়া হয়নি।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক জানিয়েছে, প্রত্নতত্ত্ববিদেরা এখন আর কোন হারানো শহরের গুজবে কান দেন না। তবে মাঝে মাঝে যে কিছু গুজব আসলেই সত্যি হয়ে আসে আর অনেক অজানা কিছু বের করে নিয়ে আসে এটা তারই প্রমাণ।
জঙ্গলের মাঝে প্রাচীন শহর। দিনের বেলাতেও যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছায় না। মশাল জ্বেলে আমরা কজন ভয়ে ভয়ে এগিয়ে চলছি আবিষ্কারের নেশায়...পাশেই ছড়ানো ছিটানো রয়েছে আগের অভিযাত্রী দলের হতভাগ্যদের হাড়গোড়...আমার হ্যাটের রিম বেয়ে নেমে এলো ভয়ঙ্কর বিষাক্ত টারানটুলা মাকড়াসা...হাতের এক ঝটকাতেই ওটাকে সরিয়ে দিয়ে ঝোপঝাড় কাটতে কাটতে সামনে এগিয়ে চললাম...
ইস এসব ভাবতেই কেমন যেনো গা ছমছম করে উঠছে...কেনো যে প্রত্নতত্ত্ববিদ হলাম না...আর কিছু না হোক প্রত্নতত্ত্ববিদ হলে না হয় একটা সুযোগ নেয়া যেতো ওই অভিযাত্রী দলে নাম লেখানোর...ধুর আমার কপালটা এমন কেনো?