ছাগু-বাস্তবজীবনে যদিও আমরা বাচালদের ছাগু বলি কিন্তু ব্লগে জামাতমনষ্কদের ছাগু ডাকা হয়।যদিও প্রথম থেকেই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য এই উপাধিটির অপব্যবহার করা হচ্ছে।
ত্রিভুজের কথা বলি ওকে বানানো হয়েছে ছাগুচীফ।প্রথম থেকেই সে ইসলামপ্রন্থি ও আম্বাবিরোধী ব্লগার হিসাবে সক্রিয়।তাকে ঘায়েল করতে হবে? লাগিয়ে দাও ট্যাগ হয়ে গেল সে ছাগু। অবশ্য ত্রিভুজের কিছু সমস্যাও ছিল সে একটু পাকনা টাইপ।সে ছাগু তা প্রমাণের জন্য একটি পোস্ট দিয়েছিল হাম্বারা স্বভাবসূলভ নানা চেচামেচি করেছে কিন্তু ঐ পোস্টে গিয়ে প্রমাণ করতে পারেনি ত্রিভুজ ছাগু।
কে ছাগু? আপনি আম্বাবিরোধী ব্লগার হলে আপনি নিশ্চিতভাবেই ছাগু।ভাল উদাহরন হল লালসালু। সে কবে কোথায় জামাতের পক্ষে বলেছে তা কেউ না দেখাতে পারলেও সে ছাগু।আপনি আম্বাবিরোধী আবার একই সাথে জামাতবিরোধী? তবু রক্ষা নাই আপনি ছাগু। বিডি আইডল
তার প্রমাণ।
আপনি আস্তিক? নাস্তিকদের নিয়মিত দৌড় লাগান? আপনি ছাগু। কঠিনলজিক বা এই আমিই তার প্রমাণ। আপনি সুশীল ব্লগার? ক্যাচালে যান না? তবু আপনি ছাগু। এই যেমন পাহাড়ের কান্না বা হুপফুলফরএভার তার প্রমাণ।
কারা এর পিছনে? এই ব্লগে কিছু ব্লগার আছে যারা গ্রুপিং করে ব্লগায়।তারা তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই আপনাকে নানা নিক থেকে আক্রমন করে আপনাকে ছাগু বানাবে।
কেন এসব?আপনি ছাগু না অথচ আপনাকে তারা কেনো জোর করে ছাগু বানাবে তার অনেক কারন আছে।ব্লগার রাজসোহান এর কথা বলি প্রথম যখন সে ব্লগে আসল তখন নিরেপেক্ষ থেকে সে ব্লগিং করত।যদিও আহামরি ধাচের কোনো লেথক সে নয় কিন্তু ভাল একজন ব্লগার হওয়ার সকল লক্ষ্যন তার মাঝে ছিল। না পড়েই প্লাস দিয়ে সে ভীষন জনপ্র্রিয় হয়ে উঠছিল।ঠিক তখন সিপিজির একটি নিক থেকে ছাগু ডাকা শুরু করল।ছেলেটা ভীষন ঘাবরে গিয়ে কান্নাকাটি শুরু করল।তখন একটি সমঝোতার প্রস্তাব দেওয়া হল। একটি গ্রুপের হয়ে ব্লগিং কর আর ছাগু অপবাদ থেকে মুক্তি পাও।তারপরের ইতিহাস সবাই জানেন। তবে যা জানেন না তা হল আগামী ১ বছরের মধ্যে সে নাস্তিক হয়ে যাবে ব্লগে।
এই রাজসোহানের মত অনেককেই এভাবে ব্রেইন ওয়াশ করানো হয়েছে শুধু তাদের দল ভারী করার জন্য।
আবার লালসালুর কথা বলি তাকে টার্গেট করা হয়েছে ঈর্ষান্বিত হয়ে। দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল সে থামানোর উপায় না পেয়ে তাকে কৌশনে ছাগু বানানো শুরু হল। মানসিক চাপে থেকে সেও কিছু বোকামী করায় হয়ে গেল ছাগু।
লালসালুর মত একই খেলা এখন চালানো হচ্ছে পাহাড়ের কান্নার উপর।
মোট কথা হল বিরুদ্ধমতকে দমন এবং ঐ গ্রুপের চামচা বানানোর জন্য টার্গেট করে করে একেকজনকে বানানো হয় ছাগু।
ট্যাগিং এ ক্ষতি কি? ব্লগে একবার যাকে ছাগু বানানো হয় তার ভাল পোস্ট আসলেও মাইনাস দেওয়া শুরু হয়। তাকে প্রতিনিয়ত আক্রমন করে মানসিকভাবে বিপর্যস্থ করা হয়।সাধারন পাঠক যাদেরকে সুশীল বলা হয় তাদের কৌশলে বুঝানো হয় ঐসব ব্লগারের পোস্টে গেলে তোমার অবস্থাও এমন হতে পারে।করে রাখা হয় একঘরে।তাই ছাগু ট্যাগিং পড়ে গেলে সমস্যা আপনার আছেই।অবশ্য আপনি যদি আমার মত হিট বা কমেন্ট নিয়ে না ভাবেন কে কে বলল তা গোণায় না নেন তাহলে কোনো সমস্যাই নেই আপনার।
তাহলে কি করব? এখন সময় এসেছে এদের বিরুদ্ধে সচেতন হওয়ার প্রতিবাদ করার। বুঝাতে হবে ব্লগটা তাদের বাপের কেনা সম্পত্তি নয়। সময় এখন এদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার।
এদের অপকর্ম সম্পর্কে আরো বুঝতে ফিফার এ পোস্টটি পড়ে দেখুন।