আটলান্টিকের তীরে একটা ফ্যাক্টরি বানিয়েছি।
খুব আশ্চর্য হই! সারাজীবন কত ব্যবসার চেষ্টা করলাম। লসের মুখে পড়ে কত ব্যবসা যে গুটিয়ে নিয়েছি! আর শেষ পর্যন্ত এই নতুন উদ্ভাবিত পণ্য উৎপাদনেই আমার ব্যবসা দাঁড়িয়ে গেল। দাঁড়িয়ে গেল মানে আমি রীতিমত আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ!
কোন ব্যবসায় যখন দাড় করাতে পারছিলাম না। মনের ভিতর যখন হতাশার বাসা বাচ্চাকাচ্চাসহ দিনকে দিন বেড়েই চলছিল। সেইরকম দুর্দিনের এক রাতে স্বপ্নে পেলাম এই বিজনেস আইডিয়া।
বিশ্বের আনাচে কানাচে এখন সরবরাহ করছি প্যাকেটজাত সুখ। মিনিপ্যাক, ফ্যামিলি প্যাকসহ কাটুন ভর্তি সুখ পাওয়া যাচ্ছে বর্তমানে। চাহিদা এবং সামর্থ্যানুযায়ী হাতের নাগলে যেকোনো দোকান থেকে কিনে নেওয়া যায় সুখ। বিশ্বে এখন সুখের প্রাচুর্য।
আমারও প্রাসাদসম বাড়ী হয়েছে। গাড়ী হয়েছে। নারী আছে জনা বিশেক। হাজার হাজার লোক আমার অধীনে চাকরী করছে। এওয়ার্ড পাচ্ছি সুখের ব্যবসা উদ্যোক্তা হিসেবে।
কিন্তু হঠাৎ শুরু হয়েছে এক মহাবিপত্তি!
বর্তমানে নতুন এক রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। ‘সুখ ব্যাধি'তে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। যার চিকিৎসা দিতে পারছেন না ডাক্তারেরা।
সুখ ফ্যাক্টরির মালিক আমি। সেই আমার শরীরেই কিনা সুখের অসুখ বাসা বাধল! কান্নাহীনতায় ভুগে ভুগে এখন আমি শয্যাশায়ী। কিছু লোক নিয়োগ করেছি, বস্তিতে আর ফুটপাতে। দুঃখ ভিক্ষার জন্য। ডাক্তার বলেছেন আমার চিকিৎসার জন্য দুঃখ লাগবে ৭ ব্যাগ।
কি জানি দুঃখের অভাবে মারা যাই কিনা!! সকলের দোয়া প্রার্থী!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪১