ভাবছি একটা গল্প লিখব। রেলগাড়ির গল্প। শহুরে আধুনিক। মেট্রো রেলের গল্প নয়। গাঁয়ের পথে সর্পিল গতিতে চলা এক রেলগাড়ির গল্প।
যে গল্পে থাকবে,
সবুজপাতায় রাতভর জমে থাকা শিশিরের,
নিঃশব্দ পতন।
সর্ষে ফুলের সাথে মধুকরের অন্তরঙ্গ হওয়ার বর্ণনা,
থাকবে পদ্মপাতায় জল কণার টলমল অবস্থান।
থাকবে পাখির ডানায় লুকানো নির্জনতা।
অথবা কাচের দেয়াল মাঝে এক যুবতীর নিঃসঙ্গতা!
সে গল্পে থাকবে একেকটা দিনের হিসাব। প্রতিটা নিঃশ্বাসের হিসাব। বিশ্বাসের হিসাব। অক্সিজেনের হিসাব। কার্বনডাইঅক্সাইড এর হিসাব।
আমি জীবনের ব্যাখ্যা জানতে বহু রাত বিনিদ্র থেকেছি,
সভ্যতার অলি গলিতে অনেক হেটেছি,
সমাজের মঞ্চে বিনয়ী, অহংকারী দু'চরিত্রেই পাট করেছি,
অবশেষে জীবনের কাছেই প্রশ্ন রেখেছি।
সব উত্তর নিয়ে একটা গল্প লিখব।
সে গল্পে থাকবে ঝক ঝকা ঝক ছুটে চলার শত কথা।
যে গল্পে থাকবে হঠাৎ একদিন শেষ স্টেশনে থেমে যাওয়ার ব্যথা!!
একটা জীবন যদি মরুভূমি হয়,
মরীচিকার জোয়ারে ভাসে।
তাতে পৃথিবীর কি যায় আসে!
সে কি জানে?
কতটা জীবনের কত দীর্ঘশ্বাস মিশে আছে বাতাসে!
পৃথিবী হিসাব রাখেনা তাই একটা গল্প লিখে যাব।
হয়ত সে গল্প পাঠকের মস্তিস্কের প্রতিটি নিউরন কাঁপাবে। হয়ত হাসাবে। কেউ তাচ্ছল্য করবে। কারো গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়বে দু'ফোটা অশ্রু।
হয়ত সে পান্ডুলিপি আমার পুরোনো বাক্সে পড়ে থাকবে। অথবা উঁইপোকা আর ইঁদুর ভাগাভাগি করে নেবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৪