ক্রমে ক্রমে শ্রাবণ বড্ড প্রতারক হয়েছে,
বৃষ্টি জলে আর কাগজের নৌকা ভাসে না,
অবশ্য কাগজগুলোও এখন ভীষণ দরকারি, যত্রতত্র ছেড়া যায় না।
নতুন রং পেন্সিলের বায়নায় বড় বড় অশ্রু ফোটা!
ওরা এখন খামখেয়ালির স্মৃতির বাক্সে।
জীবনের সূর্যটাও বোধহয় সেই কচি হাতের ড্রয়িং খাতায় অস্ত গেছে,
ঝুটি দুলিয়ে ছুটোছুটি খেলারা আজ বিলুপ্ত সভ্যতার ন্যায় যাদুঘরে।
ক্লাস ফাঁকির আনন্দ! তার ফসিল খুঁজে খুঁজে আমি যে ক্লান্ত!
আকাশিয়া, তুমি দূর আকাশেই থাকো।
এ অন্য ভুবন! এখানে আর আসতে চেও না!
এখানে হাসতে গেলে খিলখিল শব্দ করা যায়না,
বড্ড অশোভন দেখায়!
কাঁদতে হলে বদ্ধ ঘরে অন্ধকারে কাঁদতে হয়,
নতুবা ন্যাকামি হয়ে যায়!
ভদ্রতার মুচকি হাসির খোলসে নিজেকে শামুক করে রাখতে হয়,
রাতের বালিশে একাকিত্বকে চাপা দিয়ে, জনস্রোতে ভাসতে,
ঘরের মাঝে জোৎস্না ঠিকরে পড়ে,অথচ মনে কৃষ্ণপক্ষ চলে!
ব্যস্ত ঘড়ির টিকটিক শব্দে নিঃশ্বাসের শব্দ বিলীন হয়ে যায়!
কষ্টে ধুকে ধুকে কেমন যেন সুখী সুখী অভিনয়,
পারবেনা তুমি আকাশিয়া!
এ অন্য ভুবন!
তোমায় হারিয়েছি আমি হাত ভাঙ্গা পুতুলটাকে জঞ্জাল ভেবে,
তোমায় হারিয়েছি আমি ফ্রক ছেড়ে ওড়নার ভাজে।
আমাকে জীবনানন্দের কবিতা দিয়ে
তুমি চলে গেছ ঠাকুরমার ঝুলির রাজকুমারের সাথে!
তুমি নেই! নেই! কোথাও নেই আকাশিয়া!
তোমায় হারিয়ে ফেলেছি, ও আমার রংধনু ছেলেবেলা!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬