ভাল না থেকেও ভাল থাকার ভান!! এ এক প্রকার মিথ্যাচার! নিয়তির নির্মম পরিহাস, উপরওয়ালা আমাকে দিয়ে তাই ই করিয়ে নিচ্ছেন!!
মনটা বেশ বিক্ষিপ্ত!! কি করা যায়! কি করা যায় ভাবছি।
এমন সময় চোখ পড়ল টেবিলের উপর রাখা একটা চায়ের মগের উপর। মগটা হাতে নিলাম এবং ছেড়ে দিলাম মেঝেতে। মা ছুটে এসে জিজ্ঞেস করল, কি ভাঙ্গলোরে? অতল মনের গহীনে কি ভাঙ্গছি কি গড়ছি, আমার সরল মনের মা কি আর তাই বুঝতে পারে! মেঝেতে তাকিয়ে বুঝে নিল হাত ফসকে পড়ে গেছে। আমিও বাক্য বিনিময় ব্যতিরেকে ভাল থাকার ভান করিয়া নিজ কাজে মনোনিবেশ করিবার ভঙ্গী করিলাম।
যায় হোক, ভাবিলাম এভাবে মস্তিষ্ক স্থির হবে না। আমাকে কিছু লিখতে হবে।
কি লিখি! কি লিখি!
পেয়েছি! ব্লগ লিখি। কিছু মিছু, হাবি জাবি লিখে অনেক লেখার ভিড়ে গুঁজে দেব ব্লগ পাতায়। মস্তিষ্ক দেখি স্থির হয় কিনা। কিন্তু বিধি বাম! শব্দ ভাণ্ডার যেন একেবারে শূণ্য হইয়া গিয়াছে!
অবশেষে ছবি পোষ্ট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলাম।
আকাশ আর জল ভীষণ প্রিয় আমার! শুনেছি মেয়েরা নাকি জীবনের তিন ভাগের দুই ভাগ সময় আয়নায় মুখ দেখে কাটায়! অর্থাৎ আয়নার দিকে তাকিয়ে। কিন্তু আমি বুঝি আকাশের দিক তাকিয়েই জীবনের বেশি সময় অতিবাহিত করেছি। কখনো আকাশের রূপ দেখে! আবার কখনো সৃষ্টিকর্তার কাছে বিচার চাইতে বা প্রার্থনা পাঠাতে।
আর জল! স্নিগ্ধ শীতল জল দেখলেই বড় ইচ্ছা জাগে সাদা ধবধবে রাজহংসী হয়ে ভেসে বেড়াতে। (শীতের দিন ব্যাতীত )
এখন বক বক থামিয়ে ছবি পোষ্ট করি। সম্প্রতি তোলা।
মাঠঘাট, পানিতে থৈথৈ!
কালো মেঘ, ঝুম বৃষ্টির ঠিক পূর্বমুহূর্ত।
নগরীর সন্ধ্যার আকাশ।
পাতার ফাঁকে মেঘ অথবা চাঁদ দেখতে কিন্তু মন্দ না।
শেষ চারটা বন্যা প্লাবিত এলাকার ছবি ।
এলাকাবাসীর চোখে মুখে বেচে থাকার নেশা দেখেছিলাম। ওদের কষ্টের কাছে আমার এই ভাল থাকার ভান করার কষ্ট নিতান্তই বিলাসিতা!! অত কষ্টে থেকেও ওরা কেউ মুখ গোমরা করে নেই। ভীষণ কর্ম চঞ্চল। নিয়তিকে মেনে নিয়ে ভাল থাকার আকাংখাকে আকড়ে দিব্যি দিন কাটাচ্ছে।
যায় হোক, পোষ্টটা লেখা বেশ কাজ দিল মনে হয়। বিক্ষিপ্ত মন এখন শান্ত। ভাল ঘুমও হবে বোধ হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:২৮