somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুখী হওয়ার প্রাচীন পদ্ধতি

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রাচীন দার্শনিকদের মতে, চারটি বিষয় অনুসরণ আপনার জীবনকে সুখী করতে পারে। এটা বর্তমান যুগে বৈজ্ঞানিকভাবেও পরীক্ষিত। আপনারা অনেকেই নিশ্চয়ই স্টোয়িকবাদ সম্পর্কে জানেন। স্টোয়িকবাদীরা জীবনে সুখ-দু:খ নিয়ে উদাসীন-নির্বিকার ব্যক্তি। এই স্টোয়িকবাদই হল জীবনে সুখী হওয়ার মূল তত্ত্ব।


সবচেয়ে খারাপ কি হতে পারে তা নিয়ে না ভাবা

কোনো কাজ করার আগে নেতিবাচক দিকটা আগে না ভেবে ইতিবাচক কী হতে পারে, সেটা নিয়া ভাবতে হবে। যা আপনাকে সুখী অনুভব করতে সাহায্য করবে। নতুন কারো সঙ্গে মেশার সময়ও ভাবতে হবে, আপনি তাকে নিয়ে কতোটা অতিরঞ্জিত ভেবেছেন। তার ভালো দিকগুলোকে আগে দেখা। কোনো কাজ করার পূর্বপরিকল্পনা হিসাবে মেডিটেশন করা, যা আপনাকে শান্ত ও সতর্ক রাখবে।


মনে করবেন যেন ‘কিছুই হয়নি’

প্রচণ্ড রাগ হওয়ার মতো কিছু হলেও আপনি মনে করবেন কিছুই হয়নি। কণ্ঠকে শান্ত রাখুন এবং মনে করুন আপনি শান্ত আছেন। দেখবেন শান্ত মনোভাবই আপনার মনকে শান্ত করে দেবে। যখন রাগ অনুভব করবেন, তখন ঠিক তার বিপরীত আচরণ করবেন। কণ্ঠ নরম করে, মুখকে স্বাভাবিক রেখে আস্তে আস্তে হাটবেন। যদি আপনি তা করতে পারেন, তাহলে আপনার বাইরের স্থিরতা ভেতরের অস্থিরতাকে কমিয়ে দেবে। আপনি নিজেকে সুখী অনুভব করবেন। সুখী হওয়ার মহৌষধ হল হাসি।


আত্মনিয়ন্ত্রণ রপ্ত করা

আমরা জীবনে সবকিছুই পেতে চাই। আপনার কোনোকিছু পাওয়ার কথা থাকলেও তা ইচ্ছা করে ত্যাগ করুন। দেখবেন এতে সুখ অনুভব করা যায়। যেমন প্রতিদিন আপনার একই ধরনের কফি পানের অভ্যাস। আপনি কয়েক দিন বিরতি দিয়ে কফি পান করে দেখুন। এতে আগের চেয়ে অনেক সুস্বাদু মনে হবে কফিটি। অথবা কাউকে ভালোবাসেন? ইচ্ছে করে তার থেকে দুরত্ব বজায় রাখুন। দেখবেন তার প্রতি আপনার ভেতরের অভাববোধ জাগ্রত হবে। এভাবে নিজের ওপর আত্মনিয়ন্ত্রণ বাড়ানো আপনাকে সুখী করবে।


কোনো কাজে হোঁচট খেলেও মনে করবেন- ঠিক আছে

অনেক সময় বহু প্রস্তুতি স্বত্বেও সেভাবে আশানুরুপ ফল পাওয়া যায় না। হোঁচট না খেয়ে মনে করুন-ঠিক আছে। আমরা অনেক ভালো করেছি। নিজেকে দোষারোপ না করে এর চেয়ে ভালো কিছুর জন্য এগিয়ে যাওয়া উচিত। একটা ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। নিজের কাজের পর্যালোচনা নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে সাহায্য করে। সব দুঃখ ও বেদনাকে সহজভাবে নিতে হবে
সুএঃ নিউজ পেজ২৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×