পৃথিবীর সকল মুসলমান অধ্যুষিত দেশ সমূহে আজ চলছে চরম হানাহানি আর ব্যাপক হত্যাযোগ্য। একটির পর একটি দেশ পতিত হচ্ছে রাজনৈতিক হানাহানি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, বিভিন্ন ধরনের ওয়ার, ড্রোন দ্বারা আক্রমন কিংবা প্রতিনিয়ত পরিকল্পিত সীমান্ত হত্যা। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি সেই সকল অদৃশ্য এবং দৃশ্যমান হুমকি থেকে মুক্ত নয়, সকলের চোখের সামনে দিনের আলোকে দেশ এক গভীর সংকটের দিকে ধাবমান। সরকারীদল ব্যস্ত ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে আর বিরোধীদল চাতক পাখির মত তাকিয়ে আছে ঐ ক্ষমতার মসনদের দিকে, দেশের স্বার্থ তাদের কাছে শীতকালে গাছের নিচে পরে থাকা ঝরা পাতার চেয়েও কম মুল্যমানের।
বিরোধী দল হিসাবে তারা জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নতি বাধাগ্রস্থ করে ক্ষমতায় যেতে, আবার ক্ষমতায় আরোহন করে উন্নতিতে সচেষ্ট হয় ওই ক্ষমতায় থাকার জন্যই।
অর্থাৎ জাতীয় উন্নতি অবনতি বিষয় নয়, মূল উদ্দেশ্য হলো ক্ষমতায় যাওয়া এবং সেখানে থাকা। এখানে আমাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সাথে আমেরিকার একটি সাদৃশ্য লক্ষনীয়। আমেরিকার ২% ইহুদী সে দেশ শাসন করে এবং অর্থনীতি নিয়ন্ত্রন করে। আমাদের দেশে আওয়ামী শাসনামলেও ঔ একই অবস্থা ২% হিন্দ আর হিন্দু মানসিকতার কিছু কুলাঙ্গার তথাকথিত মুসলমান বর্তমানে দেশ শাসন করছে।।
আর অর্থনীতি? ৯০% গুরুত্বপুর্ন সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষমতা দেশের মানুষদেরকে আন্ধকারে রেখে দেওয়া হয়েছে ২% হিন্দুদেরকে। প্রায় প্রতিটি ব্যাংকের এমডি কিংবা চেয়ারম্যান হচ্ছে হিন্দু। সোনালী ব্যাংক থেকে শুরু করে প্রায় সব ব্যাংকের একই অবস্থা।
অমেরিকাবাসীরা একদিক থেকে ভাগ্যবান, দেশ বড় হওয়ার কারনে ছোট দেশ ইসরাই্লের পক্ষে সম্ভব নয় তা শারীরিক ভাবে দখল করা, তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভারতের জন্য তা সমস্যা নয়।
আর এদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ইসলাম ধর্ম থেকে সরিয়ে নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্বেষী হিসাবে তৈরী করার জন্য ২য় বারের জন্য শেখ হাসিনা নির্বাচিত করেছে স্বঘোষিত নাস্তিক নুরুল ইসলাম নাহিদকে।
নাহিদ তার দায়িত্ব পালন করার সুবিধার্থে মন্ত্রনালয়ের ৮৫% কর্মকর্তার দায়িত্ব অর্পন করেছেন ঐ ২% হিন্দুদেরকে । এখন আমাদের দেশের শিশু কিশোরদের আর লুকিয়ে চটি বই পড়তে হয়না। তাদের পাঠ্যপুস্তকেই চটি বইয়ের চেয়েও খোলামেলা যৌন বিষয়ে জ্ঞান দান করা হচ্ছে। (লিংক: Click This Link)।
গদ্য-পদ্যের মধ্যে ৫০% হচ্ছে হিন্দু লেখক আর বাকী ৫০% এর মধ্যে ৩০% থেকে ৩৫% হচ্ছে তথাকথিত মুসলমান কিংবা নাস্তিকদের লেখা। শিশুদেরকে হুমায়ুন আজাদের মত প্রতিষ্ঠিত ইসলাম বিদ্বেষীর প্রবন্ধ পড়ানো হয় (লিংক: Click This Link)।
তার প্রবন্ধে লেখা আছে “যে বই ভয় দেখায় তা পড়ার অযোগ্য”। অর্থাৎ পবিত্র কোরআন শরীফ জাহান্নামের ভয় দেখায় তাই তা পড়ার অযোগ্য। একজন মূর্খ মুসলমানকে সৌদি রাজার সালাফি এজেন্টরা মগজ ধোলাই করে যেভাবে সন্ত্রাসী এবং আত্মঘাতী বোমারুতে রুপান্তরীত করছে ঠিক তারই বিপরিতমূখী কাজটি করছে আমাদের নাস্তিক মন্ত্রী তার ক্ষমতাবলে সমগ্র জাতীকে নিয়ে।
তার উদ্দেশ্য হচ্ছে এ দেশের ধর্মভীরু মুসলমানদের একটি দল যাতে ভবিষ্যতে নাস্তিক ও যৌণদানবে রুপান্তরিত হয়।
কিভাবে তা করা হচ্ছে..জানতে ক্লিক করুন (লিংক: Click This Link) ভবিষ্যতে এদেশে গৃহ যুদ্ধটা হবে এই দুই দলের মধ্যে, এক দিকে সালাফি সন্ত্রাশী অপর দিকে নাস্তিক মানষিকতার এক দল তথাকথিত মুসলমান।
ব্রিট্রিশ এবং পাকিস্তানের আমলকে যদি স্বাধীন ধরা না হয় তবে বাংলাদেশী মুসলমানেরা মাত্র ৪৩ বছরের জন্য স্বাধীনতা উপভোগ করছে। যে দ্রুততা এবং ব্যাপকতার সাথে এ দেশে হিন্দুয়ানি চলছে সে দিন বেশী দুরে নয় মর্মান্তিক রক্ত ক্ষরনের মাধ্যমে এই জাতি অখন্ড ভারতে আগ্রাসনের খোরাক হবে তৎকালীন স্বাধীন সিকিমের মত (লিংক: http://shobujbanglablog.net/60853.html) দল হিসাবে বিএনপি ডুবেছে ওয়াহাবী চেতনার জামাত-শিবিরকে ক্ষমতায়ন করে।
এবার আওয়ামীলীগ দেশের সার্বভৌমত্ব অস্তমিত করছে ২% হিন্দুদেরকে ক্ষমতায়ন করে। কি ন্যাক্কারজনক ভাবে এ দেশে হিন্দুআয়ন হচ্ছে জানতে ক্লিক করুন (লিংক: Click This Link)।
মীরজাফর কখনই একা বাংলার স্বাধীনতা ইংরেজদের কাছে বিকিয়ে দেয়নি। তার একটি দল ছিল, রাজবল্লভ, ঘোষেটি বেগম এদের মত নেতা এবং আরো কিছু সরকারী কর্মকর্তারাও ছিল। আমাদের বর্তমান সরকারের মধ্যে রাজবল্লভ কিংবা ঘোষেটি বেগম তুল্য নেতা নেত্রীর অভাব নেই, সরকারী কর্মকর্তাদের মধ্যেও আছে এদের ব্যপক উপস্থিতি।
বেনজীর-র্যাব, শহীদুল-পুলিশ আর বিজিবির চিরস্থায়ী মহাপরিচালক, ৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর আপন ভাই ”আজিজ জেনারেল”, সেই সময়কার মীরজাফরের সেনাপতিদের রোলপ্লে করছে। একজন আত্মঘাতী বোমারুর মত দেশের সার্বভৌমতের শরীরে ওরা পরিয়েছে সুইসাইড ভেষ্ট (ডিনামাইট সজ্জিত জ্যাকেট), এখন সময়ের অপেক্ষায় কখন তার বিষ্ফোরন ঘটানো হবে, কখন আমাদের প্রান প্রিয় স্বাধীনতাকে দিল্লির নিকট হস্তান্তর করা হবে।
মহান আল্লাহ পাক আমাদের প্রানপ্রিয় স্বাধীনতা রক্ষা করতে সহায়তা দান করুন। আমীন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৫২