বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব আব্দুল ওয়াহিদ ওরফে বাবুল সাহেব
গাজীপুর জেলার, সারদাগঞ্জ, গ্রাম-গোবিন্দবাড়ী মৌজার সংখ্যালঘু সম্পদায়ের সমরেন্দ্র কুমার ভৌমিক, পিতা-মৃত: অমরেন্দ্র কুমার ভৌমিক এর পৈত্রিক সম্পত্তি জোর করে দখল করে নেন। আমাদের গার্মেন্টস্ শিল্প জগতের এক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব আব্দুল ওয়াহিদ ওরফে বাবুল সাহেব গার্মেন্টস্ এর নাম দুলাল ব্রাদার্স।
গত ২০০৪ সালে স্থানীয় কিছু ভুমি দস্যুর সহায়তায় ভূয়া এস এ পর্চার মাধ্যমে তিনি পৈত্রিক সূত্রে মালিক সমরেন্দ্র কুমার গংদের ২৫ বিঘা জমি জবর দখল করেন। তিনি ঐ জমির নাম মাত্র মূল্যের স্থানীয় ভুমি দস্যুদের কাছ থেকে দখলে নিয়ে ৯ ফিট উচু দেওয়াল তুলে নিজ লোক বসিয়ে দেন। গত২১ বৎসর যাবৎ প্রকৃত মালিক প্রাণের ভয়ে নিজ জমিতে পা রাখা তো দূরের কথা পরিবার নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। জনাব ওয়াহিদ জোরপূর্বক দখল কৃত ঔ জমির কিছু অংশ মসজিদে দান করেন পরকালের মুক্তির জন্য, তাছাড়াও পরকালে সচেতন এই ভূমি দস্যু বেশ কয়েকটি মসজিদের সভাপতি, বটে। অত্র এলাকার সরকারী আর এস পর্চার কার্যক্রম শেষ হয় ১৯৯৫ সালে অথচ উনি জমি ক্রয় করেন ভুয়া এস এ পর্চার মাধ্যমে ২০০৪ সালে। এদিকে সরকারের বিভিন্ন স্থানে রক্ষিত ৫টি এস এ ভলিয়ম থেকে গোবিন্দবাড়ী মৌজার রের্কড এর পাতানসমূহ ভূমি দস্যুরা পরিকল্পিত ভাবে ছিড়ে ফেলে, যা ছিল নগ্ন ভূমি দস্যুতার এক গভীর ষড়যন্ত্র। এভাবে ভূমি দস্যুরা কাশিমপুর ইউনিয়নের ৫২টি খতিয়নের অনেক গুলো পরিবারের ভিটামাটি থেকে উৎখাত করে সর্বনাশ করে এবং গত ২১ বৎসর ধরে পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে তাদের করুণ আবেদন নিয়ে ধন্না দিতে থাকেন। ভূমি দস্যুতার সোনার খনি বাংলাদেশে তাদের ঐ করুণ আকুতি ভূমি দস্যুদের উচ্ছিষ্ট খাওয়া নেতা আমলাদের বধীর কর্ণে প্রবেশ করেন। একটি প্রচলিত কথা আছে যে, দেশে এখনো কিছু ভাল মানুষ আছে বলেই দেশটি টিকে আছে।
বর্তমান জনগনের সরকারের কাছে বিষয়টি নজরে আসলে মন্ত্রনালয় পর্যায়ে এক তদন্ত কমিটির মাধ্যমে কাশিমপুর গোবিন্দবাড়ীর মৌজার ভূমি রেকর্ড সংক্রান্ত অঞ্চকতার উপর তদন্ত চালানো হয়।
(স্বারক নং-ভূ: ম:/মা-৯/নামজারী/১৯/২০০৩-১৪৯১, তারিখ ২০/১২/২০১০)।
উক্ত তদন্তে সমস্ত জাল জালিয়াতির দিনের আলোর মতো পরিস্কার হয়ে ফুটে উঠে। মন্ত্রণালয়২০১০ সালে ডিসি গাজীপুরকে এই বিষয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সুনির্দিষ্ট আদেশ প্রদান করেন।
(স্বারক নং- জাসং/স্থাক/ভূমি/২০১১-৪৭, তারিখ-২৭/৭/২০১১)।
মন্ত্রনালয়ের আদেশ প্রাপ্তির প্রায় ২ বৎসর পর বদলী হওয়ার মূহুর্তে ডিসি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন সংক্রান্ত আদেশ জারি করেন। এ,ডি,সি রেভিনিউকে সভাপতি করে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য একটি বোর্ড তৈরি করে দিয়ে যান।
(অফিস আদেশ নং-৩১.২০৬.১১৯.৪৬.০১.০০০.২০১০ তারিখ-২৩/০১/২০১২)।
বর্তমান জেলা প্রশাসক এবং এডিসি রেভিনিউকে এই মুহুর্তে পূর্নোদ্দমে ঐ ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করছেন। ইতোমধ্যে ভূমি দস্যুদের একটি ৪ তলা ভবন পর্যন্ত ডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। গোবিন্দবাড়ীর নিরিহ জনগন বহুবৎসর পর সুশাসনের শীতল বাতাস উপভোগ করছেন। যে দলই ক্ষমতায় থাকুক, জনগন চায় ন্যায় বিচার। শিষ্টের পালন এবং দুষ্টের দমন। গাজীপুর জেলা প্রশাসন সমরেন্দ কুমার ভৌমিক জোরপূর্বক দখল করে রাখা সকল ভূমি দস্যুকে তাদের দাবি মূলে দলির দস্তাবেজ সহকারে উপস্থিত হওয়ার জন্য নোটিশ জারি করেন। উক্ত নোটিশ দুলাল ব্রাদার্সের বর্তমান চেয়ারম্যান যার কাছ থেকে জমি ক্রয় করা হয়েছে তাকেও প্রদান করা হয়। এখন সময়ই প্রমান করবে যে, এদেশে কিছু কিছু শিল্পপতি আসলেও রাতের অন্ধকারে ভূমি দস্যুতা শুরু করেছেন কিনা ? এই বিষয়ে ন্যায় বিচারের স্বার্থে সর্বোচ্চ অবদান যিনি রেখেছেন তিনি হচ্ছেন সততার মূর্ত প্রতীক, গরিবের বন্ধু, ভূমি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, গাজীপুর জেলার মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব আ,ক,ম মোজাম্মেল হক সাহেব। ভূক্তভুগিদের বর্ণনা মতে এই বিষয়ে মাননীয় সংসদ্য এবং একাষ্ঠিতা ছিল ধারনার অতীত। তাদের কয়েকজন এই মন্তব্য করেন যে, মোজাম্মেল হক সাহেবের মতো মানুষ যদি আমাদের ১০ জন মন্ত্রী থাকতো। তবে খোদ আমেরিকান, জাপান এর মত দেশ ও আমাদের উন্নতি দেখে হিংসা করতো। আর ভূমি দস্যুরাও এদেশ থেকে চীরতরে বিতাড়িত হত।
*** মহান আল্লাহ্ পাক এদেশের সৎ সরকারী কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের দীর্ঘায়ূ ককুণা এবং ভূমি দস্যু ও তাদের সহযোগিদের উপর গজব নাজিল করুন।
*** অন্যায় ভাবে বেদখলকৃত জমি উদ্ধারে বর্তমান গাজীপুরে ডিসি এবং বিশেষ করে এডিসি রেভিনিউ জনাব সিবাস্তিন রেমার ভূমিকা এলাকাবাসীর কাছে প্রসংশনীয় হিসাবে গন্য হচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪২