somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেশের নষ্ট গণতন্ত্রে কষ্টে আছে দেশের মানুষ….

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশের নষ্ট গণতন্ত্রে কষ্টে আছি আমরা দেশের মানুষ, আওয়ামীলীগ কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলে, আসলে বাস্তবে তার কোনো মিল নেই বললেই চলে !

সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র কি?
গণতন্ত্র কেনো দরকার?
গণতন্ত্রের মূল নিতি গুলো কি?

এসব যদি একজন সাধারন মানুষকে বা নিরক্ষর লোককে প্রশ্ন করা হয়, সে তখন তার সরল মনে, সরল ভাষাই বলবে ”সমান অধিকার” যদিও গণতন্ত্র নামের গনযন্ত্রটাকে সঠিক প্রয়োগ করা হয়না, কিন্তু বাস্তব সত্য হলো সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থার সরকার পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে। রাষ্ট্রতন্ত্রের তিনটি শাখা: সংসদ, প্রশাসন এবং বিচার ব্যবস্থা। জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত ৩০০ জন সদস্য ছাড়াও মহিলাদের জন্য ৪৫টি অতিরিক্ত আসন আছে। প্রতিটি সংসদের নির্ধারিত মেয়াদ ৫ বছর। তার পর কেয়ারটেকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় সরকারের মেয়াদ শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। এ সময় সরকারী ক্ষমতা নিয়ন্ত্রিত হয় নির্দলীয় নিরপেক্ষ উপদেষ্টামণ্ডলীর মাধ্যমে। সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন মর্মে সংবিধানে প্রবিধান রয়েছে। সংসদীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু একটা জিনিস লক্ষ্য করার বিষয় হলো, উপরে যে তিনটি কথা বললাম”

(১)সংসদ
(২)প্রশাসন
(৩)বিচার ব্যবস্থা।

আমরা তো দেখতে পাচ্ছি সংসদ অকার্যকর, কেননা সংবিধান বলে সংসদে যেকোনো বিল আনতে হলে সকল দলের সাংসদের সমন্বয়ে আনতে হবে, সে ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি দেশের প্রধান বিরোধী দল সংসদে অনপুস্থিত, তাই সংসদ অকার্যকর।প্রশাসন হলো প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, যারা গণতন্ত্রের সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ, তাদের জান মাল রক্ষা করবে নিরাপত্তা দিবে। এক কথায় জনগণের কাদে কাদ মিলিয়ে বন্ধু হয়ে কাজ করবে, কিন্তু আমরা এমন অভাগা জাতি, আমাদের ভাগ্যে জুটলো তার বেতিক্রম, আজকে সারা দেশে এক মহা আতঙ্কের নাম পুলিশ, কোনো অভিযোগ না থাকলেও গ্রেপ্তার করা হয়। আসলে প্রশাসনের দোষ দিয়ে কোনো লাভ নেই, কারন সরকার প্রশাসনকে তার গোলাম করেছে, বর্তমান সরকার প্রশাসনকে সাজিয়েছে তার দলীয় লোকজন দিয়ে, তাই পুলিশ প্রশাসন প্রজাতন্ত্রের গোলাম না হয়ে, হয়েছে কোনো বেক্তি বিশেষ ও রাজনিতিক প্রভাবশালীদের গোলাম। আজকে কি হচ্ছে দেশে? প্রশাসন দিয়ে সাধারণ মানুষের যে নিন্ম নাগরিক অধিকার টুকু, সেই অধিকার টুকু কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। গণতন্ত্রের মানে যদি হয় সমান অধিকার, তবে কেনো একটি রাজনিতিক ও নির্বাচন কমিশনারের নিবন্ধিত একাদিক দলকে তাঁদের শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশ করতে দেওয়া হয়না? তবে কেনো লিমনের মতো সাধারণ একটি ছেলেকে পা হারিয়ে পুঙ্গু হতে হলো? কেনো জামাতকে শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে দেওয়া হয়নি? যদি জামায়াতকে সমাবেশ করতে দেওয়া হতো, তবে দেশের এতগুলো সম্পধ আগুনে জ্বলতনা, প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল বৃহত্তর জনগুষ্ঠির স্বার্থে, দেশের সম্পদ রক্ষার স্বার্থে গণতন্ত্রের স্বার্থে ও মার্কিন দ্রুতাবাশের আহ্বানে জামায়াতের সাথে আলোচনা করা। কিন্তু তিনি এবং তাঁর দল সেই রাস্থা বর্জন করলেন, যা আজকে জাতির কষ্টের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অভাগা জাতি সেই ব্রিটিশ থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত শুষিত ও লাঞ্ছিত হয়ে আসছে যার কোনো বিচার আদো হয়নি, বিচারের বাণী যেন আজো কাঁদে নিরবে নিবৃতে কোট কাছারির ধারে ধারে, যারা সব সময় মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে তারাই আজকে বিচার বেবস্থা নিয়ে রীতিমতো তামাশা করছে। স্বাধীনতার পরে কে কাকে ক্ষমা করলো আর না করলো, সব কিছুই এই ক্ষতবিক্ষত জাতি জানে, তার পরেও বর্তমান সরকার যুদ্দঅপরাধির বিচার নিয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে। তাই সরকারকে স্বাগতম সম্বাসন জানাই, আর স্বাগতম জানালাম এ জন্যই তা হল নিরীহ বাঙ্গালীদের যারা নিঃসংশ ভাবে হত্যা করেছে, অসংখ্য মা বোনদের ইজ্জত যারা চিনিয়ে নিতে পাক হানাদার বাহিনীকে সাহায্য করেছিল। তাদের বিচার করতেই হবে এতে কোনো আপত্তি নেই, কিন্তু প্রশ্ন হল যুদ্দঅপরাধের সাথে কারা জড়িত? শুধু একটি গুষ্টি একটি দল জড়িত ছিল? আমরা জানি বর্তমান সরকার যুদ্দঅপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল গঠন করেছে, যাতে করে এই বিচারের জন্য একটি স্বচ্ছতা ও জবাব দিহিতার ব্যাঘাত না গঠে। সে ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি এই বিচার বেবস্থা প্রহসন মূলক, এই বিচার বেবস্থার মধ্যে স্বচ্ছতার ও জবাব দিহিতার অভাব রয়েছে। কারন সেই ৭১ এর মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জামায়াত ছাড়া যারা জড়িত ছিলো তাঁদেরকে এই বিচারের আওতায় আনা হয়নি, যেমন আওয়ামীলীগের ভিতরে ও বড় বড় মানবতা বিরোধী লুকিয়ে আছে বিএনপির ভিতরেও লুকিয়ে আছে, তাই আগে নিজ দলের যুদ্ধ্বঅপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তবেই এই বিচার বেবস্থা নিয়ে জনে মনে এতো প্রশ্ন উঠবেনা, সুতারাং সরকারের এই সব কর্মকাণ্ডে প্রমান হয় দেশে গণতন্ত্র বলতে কিছুই নেই, শুধু আছে ধনতন্ত্র ক্ষমতাতন্ত্র প্রভাবশালীদের তন্ত্র, মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে আজকে যাদের বিচার করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ বেআয়নি রাজনিতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এই বিচার বেবস্থা,

একটা প্রবাদ আছেঃ- সু সময়ে অনেকে বন্ধু বটে হয়, অসময়ে হায় হায় কেউ কারো নই।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এক সময় এই জামায়াতকে সাথে নিয়ে আপনি আন্দোলন করেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য, আজকে আপনি গণতন্ত্রের কথা বলে দেশটাকে গৃহযুদ্দের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন, তাই আমরা দেশের সাধারণ মানুষ নষ্ট গণতন্ত্রের কষ্ট থেকে মুক্তি চাই। ”মুক্তি চাই” মুক্তি চাই”
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এখানে সেরা ইগো কার?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪






ব্লগারদের মাঝে কাদের ইগো জনিত সমস্যা আছে? ইগোককে আঘাত লাগলে কেউ কেউ আদিম রোমান শিল্ড ব্যবহার করে,নাহয় পুতিনের মত প্রটেকটেড বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করে।ইগো আপনাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে, টের পেয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবং আপনারা যারা কবিতা শুনতে জানেন না।

লিখেছেন চারাগাছ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮

‘August is the cruelest month’ বিশ্বখ্যাত কবি টিএস এলিয়টের কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ ‘The Westland’-র এ অমোঘ বাণী যে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এমন করে এক অনিবার্য নিয়তির মতো সত্য হয়ে উঠবে, তা বাঙালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×