দেশের নষ্ট গণতন্ত্রে কষ্টে আছি আমরা দেশের মানুষ, আওয়ামীলীগ কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলে, আসলে বাস্তবে তার কোনো মিল নেই বললেই চলে !
সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র কি?
গণতন্ত্র কেনো দরকার?
গণতন্ত্রের মূল নিতি গুলো কি?
এসব যদি একজন সাধারন মানুষকে বা নিরক্ষর লোককে প্রশ্ন করা হয়, সে তখন তার সরল মনে, সরল ভাষাই বলবে ”সমান অধিকার” যদিও গণতন্ত্র নামের গনযন্ত্রটাকে সঠিক প্রয়োগ করা হয়না, কিন্তু বাস্তব সত্য হলো সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থার সরকার পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে। রাষ্ট্রতন্ত্রের তিনটি শাখা: সংসদ, প্রশাসন এবং বিচার ব্যবস্থা। জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত ৩০০ জন সদস্য ছাড়াও মহিলাদের জন্য ৪৫টি অতিরিক্ত আসন আছে। প্রতিটি সংসদের নির্ধারিত মেয়াদ ৫ বছর। তার পর কেয়ারটেকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় সরকারের মেয়াদ শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। এ সময় সরকারী ক্ষমতা নিয়ন্ত্রিত হয় নির্দলীয় নিরপেক্ষ উপদেষ্টামণ্ডলীর মাধ্যমে। সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন মর্মে সংবিধানে প্রবিধান রয়েছে। সংসদীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু একটা জিনিস লক্ষ্য করার বিষয় হলো, উপরে যে তিনটি কথা বললাম”
(১)সংসদ
(২)প্রশাসন
(৩)বিচার ব্যবস্থা।
আমরা তো দেখতে পাচ্ছি সংসদ অকার্যকর, কেননা সংবিধান বলে সংসদে যেকোনো বিল আনতে হলে সকল দলের সাংসদের সমন্বয়ে আনতে হবে, সে ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি দেশের প্রধান বিরোধী দল সংসদে অনপুস্থিত, তাই সংসদ অকার্যকর।প্রশাসন হলো প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, যারা গণতন্ত্রের সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ, তাদের জান মাল রক্ষা করবে নিরাপত্তা দিবে। এক কথায় জনগণের কাদে কাদ মিলিয়ে বন্ধু হয়ে কাজ করবে, কিন্তু আমরা এমন অভাগা জাতি, আমাদের ভাগ্যে জুটলো তার বেতিক্রম, আজকে সারা দেশে এক মহা আতঙ্কের নাম পুলিশ, কোনো অভিযোগ না থাকলেও গ্রেপ্তার করা হয়। আসলে প্রশাসনের দোষ দিয়ে কোনো লাভ নেই, কারন সরকার প্রশাসনকে তার গোলাম করেছে, বর্তমান সরকার প্রশাসনকে সাজিয়েছে তার দলীয় লোকজন দিয়ে, তাই পুলিশ প্রশাসন প্রজাতন্ত্রের গোলাম না হয়ে, হয়েছে কোনো বেক্তি বিশেষ ও রাজনিতিক প্রভাবশালীদের গোলাম। আজকে কি হচ্ছে দেশে? প্রশাসন দিয়ে সাধারণ মানুষের যে নিন্ম নাগরিক অধিকার টুকু, সেই অধিকার টুকু কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। গণতন্ত্রের মানে যদি হয় সমান অধিকার, তবে কেনো একটি রাজনিতিক ও নির্বাচন কমিশনারের নিবন্ধিত একাদিক দলকে তাঁদের শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশ করতে দেওয়া হয়না? তবে কেনো লিমনের মতো সাধারণ একটি ছেলেকে পা হারিয়ে পুঙ্গু হতে হলো? কেনো জামাতকে শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে দেওয়া হয়নি? যদি জামায়াতকে সমাবেশ করতে দেওয়া হতো, তবে দেশের এতগুলো সম্পধ আগুনে জ্বলতনা, প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল বৃহত্তর জনগুষ্ঠির স্বার্থে, দেশের সম্পদ রক্ষার স্বার্থে গণতন্ত্রের স্বার্থে ও মার্কিন দ্রুতাবাশের আহ্বানে জামায়াতের সাথে আলোচনা করা। কিন্তু তিনি এবং তাঁর দল সেই রাস্থা বর্জন করলেন, যা আজকে জাতির কষ্টের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অভাগা জাতি সেই ব্রিটিশ থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত শুষিত ও লাঞ্ছিত হয়ে আসছে যার কোনো বিচার আদো হয়নি, বিচারের বাণী যেন আজো কাঁদে নিরবে নিবৃতে কোট কাছারির ধারে ধারে, যারা সব সময় মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে তারাই আজকে বিচার বেবস্থা নিয়ে রীতিমতো তামাশা করছে। স্বাধীনতার পরে কে কাকে ক্ষমা করলো আর না করলো, সব কিছুই এই ক্ষতবিক্ষত জাতি জানে, তার পরেও বর্তমান সরকার যুদ্দঅপরাধির বিচার নিয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে। তাই সরকারকে স্বাগতম সম্বাসন জানাই, আর স্বাগতম জানালাম এ জন্যই তা হল নিরীহ বাঙ্গালীদের যারা নিঃসংশ ভাবে হত্যা করেছে, অসংখ্য মা বোনদের ইজ্জত যারা চিনিয়ে নিতে পাক হানাদার বাহিনীকে সাহায্য করেছিল। তাদের বিচার করতেই হবে এতে কোনো আপত্তি নেই, কিন্তু প্রশ্ন হল যুদ্দঅপরাধের সাথে কারা জড়িত? শুধু একটি গুষ্টি একটি দল জড়িত ছিল? আমরা জানি বর্তমান সরকার যুদ্দঅপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল গঠন করেছে, যাতে করে এই বিচারের জন্য একটি স্বচ্ছতা ও জবাব দিহিতার ব্যাঘাত না গঠে। সে ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি এই বিচার বেবস্থা প্রহসন মূলক, এই বিচার বেবস্থার মধ্যে স্বচ্ছতার ও জবাব দিহিতার অভাব রয়েছে। কারন সেই ৭১ এর মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জামায়াত ছাড়া যারা জড়িত ছিলো তাঁদেরকে এই বিচারের আওতায় আনা হয়নি, যেমন আওয়ামীলীগের ভিতরে ও বড় বড় মানবতা বিরোধী লুকিয়ে আছে বিএনপির ভিতরেও লুকিয়ে আছে, তাই আগে নিজ দলের যুদ্ধ্বঅপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তবেই এই বিচার বেবস্থা নিয়ে জনে মনে এতো প্রশ্ন উঠবেনা, সুতারাং সরকারের এই সব কর্মকাণ্ডে প্রমান হয় দেশে গণতন্ত্র বলতে কিছুই নেই, শুধু আছে ধনতন্ত্র ক্ষমতাতন্ত্র প্রভাবশালীদের তন্ত্র, মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে আজকে যাদের বিচার করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ বেআয়নি রাজনিতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এই বিচার বেবস্থা,
একটা প্রবাদ আছেঃ- সু সময়ে অনেকে বন্ধু বটে হয়, অসময়ে হায় হায় কেউ কারো নই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এক সময় এই জামায়াতকে সাথে নিয়ে আপনি আন্দোলন করেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য, আজকে আপনি গণতন্ত্রের কথা বলে দেশটাকে গৃহযুদ্দের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন, তাই আমরা দেশের সাধারণ মানুষ নষ্ট গণতন্ত্রের কষ্ট থেকে মুক্তি চাই। ”মুক্তি চাই” মুক্তি চাই”