পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক বলেছেন, তার দেশের আফগান সীমান্তবর্তী উপজাতীয় এলাকায় মার্কিন ড্রোন হামলায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের ৮০ শতাংশই সাধারণ নিরীহ মানুষ। তিনি আরো জানান, চলতি বছর এ পর্যন্ত পাকিস্তানে ৩৩৬টি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে ৯৬টি হামলা চালানো হয়েছে প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তান থেকে।
পাকিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলায় কতো মানুষ নিহত হয়েছে তার সঠিক কোনো হিসাব নেই। তবে এ জাতীয় হামলায় ২,৫০০ থেকে ৩,০০০ মানুষ নিহত হয়েছে এবং এদের মধ্যে ১৭৪ জন শিশু রয়েছে।
ওদিকে সর্বশেষ মার্কিন পরিসংখ্যানে স্বীকার করা হয়েছে, পাকিস্তানে ড্রোন হামলায় নিহতদের মাত্র ২ শতাংশ উগ্রবাদী। স্ট্যানফোর্ড ও নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ জরিপে আরো বলা হয়েছে, ড্রোন হামলা চালিয়ে পাকিস্তানে সন্ত্রাস বিরোধী লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে ওয়াশিংটন।
এদিকে পাকিস্তানের ন্যাশনালিস্ট ফোরামের নেতা আহমেদ কোরেশি বলেছেন, রেহমান মালিকের ড্রোন সংক্রান্ত বক্তব্যকে আমেরিকার পাকিস্তান বিষয়ক নীতির বিরুদ্ধে মারাত্মক আঘাত হিসেবে গণ্য করতে হবে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের কোনো প্রবীণ নেতা যখন এ ধরনের বক্তব্য দেন তখন পাকিস্তানে আমেরিকার নীতি ও অবস্থান একেবারে ভেতর থেকে ধসে পড়েছে বলে ধরে নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটলে পাকিস্তান হয়ত মার্কিন ড্রোনকে গুলি করে নামানোর পথ বেছে নিতে বাধ্য হবে।
পাকিস্তান বিমান বাহিনী এবং এ বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত অনেকেই বারবার বলেছেন, মার্কিন ড্রোন গুলি করে নামানোর ক্ষমতা তাদের আছে এবং তারা এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন।
উগ্রবাদী বা জঙ্গি সমস্যা নিয়ন্ত্রণে মার্কিন ড্রোন হামলা পাকিস্তানকে সহায়তা করেছে এমন কোনো প্রমাণ এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বরং পাক বাহিনী নিজ মাটিতে ঐতিহ্যগতভাবে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে সফল হয়েছে বলে জানান পাকিস্তানের ন্যাশনালিস্ট ফোরামের নেতা আহমেদ কোরেশি।
সূত্র: এখানে