আজ দিনটা তোমরা দেখেছ,
আমিও দেখেছি আজ উনিশকে ।
উজ্জ্বল শীতোষ্ণ উনিশ !
আসমুদ্র হিমাচল তাঁরে নিয়ে,
নাচে গানে নানা রঙে রাঙিয়ে,
কত উচ্ছ্বাস আবেগ জনমানবে !
পুঞ্জিভূত শক্তি সঞ্জাত জনমনে,
সময় দাঁড় টানে,
উনিশ আসে দিন ক্ষণ কোন স্থানে ।
এমন স্মরণীয় দিন আছে আরও ইতিহাসে,
বিকট দম্ভ হুংকার কপট মিথ্যাচার -
হয়েছে নত ছত্রখান – মানে হার,
হাতে হাত কাঁধে কাঁধ একাত্মতা,
তেজদিপ্ত লোকবল এমনই বসুন্ধরা ।
অন্তরে সহমত ঐক্য,
রূপ পায় ধীরে নীরবে --
তিলে তিলে তিলোত্তমা জনশক্তি,
জিজ্ঞাসুর অনুভবে --
স্পন্দিত হয় জনতার উষ্ণতা,
ঐ নির্মাণ পারে না মানতে অন্ধ বিচেতা ।
এরা দেখে এসব শীর্ণকায় মূর্খ জনতা –
না না রোগে দুষ্ট দেশ,
নিরাময়ের জন্য ওদের মতে--
মহৌষধী হিংসা ও পরনিন্দা,
আর থাকে দুর্বোধ্য অন্তঃসারশূন্য-
ছকেবাঁধা বুলি- ধাঁর করা ব্যাকরণ ।
দেশবাসী অক্ষম বিচারে ঐ বস্তুতত্ত্ব –
আছে যাতে বিকট অন্ধ-আনুগত্য,
যে বলে আমিই একমাত্র মত - মুক্তির পথ্য !
আজ উনিশ এসেছে এমনই এক ক্ষণে,
তাঁকে গড়েছে দেশের মানুষ নিজ প্রয়োজনে ।
যদি ভেবে থাক উনিশে নেই কোন বীজমন্ত্র,
ওরা মানুষ-বলদ জমায়েত ময়দানে,
গাড়োয়ান আমরা- গাড়ি বলদরাই টানে,
পৌঁছে গন্তব্য স্থানে হিল্লি দিল্লিতে –
তারপর যা হয়েছে আগে- ওই হবে,
মানুষ-বলদেরা পোষ্য হবে খোঁয়াড়ে !
উনিশ বিশ দিন ক্ষণ কিছু নয়,
বিষক্রিয়ায় মানুষ পোষ্য দলদাস,
ক্ষমতা-চাঁদমালা দণ্ড সব শাসকের হাতে ।
মনে রেখো আছে অনেক রুদ্র প্রখর উনিশ,
এ বাংলা এ দেশ কাল বসুন্ধরা ভারতমাতার --
মনন-যজ্ঞের জ্ঞানালোকে তাঁর সবাই প্রাণবন্ত,
মার উনিশ বিশ লাখো হাজার বীজাধার অফুরন্ত,
অমর সুভাষচন্দ্র নজরুল রবীন্দ্রনাথ বিবেকানন্দ;
মননের ময়দানে সেথা হাজার লাখো উনিশ বিশ,
দৈত্য দানব নয় মার হাতে গড়া ওদের বিশ্ববোধ,
অন্যায় অবিচার শোধনের অপরাজিত বিশ্বাত্মা ।
অনুভবে চিত্তহারী চিরায়ুষ্মান উনিশ,
অতন্দ্র প্রহরী জন্মভূমির,
তোমার আমার আমাদের সকলের।
উনিশ অপ্রতিরোধ্য,
বিশ্ববাংলা ভারতমাতার প্রত্যয় ও আরাধ্য ।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
#উনিশে জানুয়ারি ২০১৯ পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার ময়দানে বিশাল জনসমাবেশ ও সর্বভারতীয় দলমত ঐক্যের আহ্বান আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে । এই লেখা তারই পরিপ্রেক্ষিতে ।