somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১০০% জিয়াই স্বাধীনতার ঘোষক ও কিছু মিথ্যাচারের জবাব-১/১

১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


============================================
গত প্রায় কয়েক বছর ধরে এই জিয়াউর রহমান সম্পর্কে অনাকাঙ্ক্ষিত, অশালীন বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে এবং সে বক্তৃতা, বিবৃতি ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন মন্ত্রীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সর্বশেষ এই অশালীন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম। তাদের একজন মন্তব্য করেছেন জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার ছিলেন না। তাহলে কে এই জিয়াউর রহমান? বাংলাদাশের সাবেক অদ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট
শহীদ জিয়াউর রাহমানের জীবনের ইতিহাস ১/১
=============================================


১০০% জিয়াই স্বাধীনতার ঘোষক ও কিছু মিথ্যাচারের জবাব-১/১

সীমিতসংখ্যক বিরোধীদের বাদ দিলে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু সব অংশগ্রহণের গৌরবগাথা অভিন্ন নয়, নয় ব্যক্তি অবস্থান সমান্তরাল। এই অবস্থানগত ভিন্নতা স্বাধীনতার পর যুদ্ধে ব্যক্তির ভূমিকার প্রশ্নে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এই বিতর্কের মূল কেন্দ্রে অবস্থান করছেন দুই ব্যক্তি, একজন রাজনীতিবিদ এবং অন্যজন সমরনায়ক ও রাজনীতিবিদ।
কে এই সমরনায়ক? এ প্রশ্নের জবাব জিয়াউর রহমান। কিন্তু এ জবাব যথেষ্ট নয়। গত প্রায় এক বছর ধরে এই জিয়াউর রহমান সম্পর্কে অনাকাঙ্ক্ষিত, অশালীন বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে এবং সে বক্তৃতা, বিবৃতি ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন মন্ত্রীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সর্বশেষ এই অশালীন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম। তাদের একজন মন্তব্য করেছেন জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার ছিলেন না। তাহলে কে এই জিয়াউর রহমান? বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমান কি কোনো ভৌতিক উপস্থিতি? কেনই বা তাঁকে নিয়ে এই মিথ্যাচার? শুধু রাজনৈতিক বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে অথবা আদালতের রায় ব্যবহার করে জিয়াউর রহমানকে এ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে?

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১১ এপ্রিল জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত বেতার ভাষণে প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী অঞ্চলের সমর পরিচালনার ভার পড়েছে মেজর জিয়াউর রহমানের ওপর। নৌ, স্থল ও বিমানবাহিনীর আক্রমণের মুখে চট্টগ্রাম শহরে যে প্রতিরোধ ব্যূহ গড়ে উঠেছে এবং আমাদের মুক্তিবাহিনী ও বীর চট্টলার ভাই-বোনেরা যে সাহসিকতার সঙ্গে শত্রুর মোকাবিলা করেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এই প্রতিরোধ স্ট্যালিনগ্রাডের পাশে স্থান পাবে। এই সাহসিকতাপূর্ণ প্রতিরোধের জন্য চট্টগ্রাম আজও শত্রুর কবলমুক্ত রয়েছে।’ তাজউদ্দীন আহমদ নিশ্চয়ই দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করেননি এবং জিয়াউর রহমানের অযথা প্রশংসা করার মতো তাঁর কাছে এ ছাড়া অন্য কোনো কারণ ছিল না। বর্তমানের একজন প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক জিয়াকে পাকিস্তানের চর হিসেবে আখ্যায়িত করা আর তাজউদ্দীন আহমদের বক্তব্য, কোনটি সঠিক। তাজউদ্দিন আহমদ কি অসত্য ভাষণ করেছিলেন?

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান বাহিনীর আগ্রাসনকে ঠেকানোর জন্য সোভিয়েত বাহিনী ১৯৪২ সালের ১৭ থেকে ১৮ নভেম্বর ভলগোগ্রাড শহরে এক অসম সাহসিকতায় প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এরপর ১৯ নভেম্বর সোভিয়েত নেতা মার্শাল স্টালিনের নেতৃত্বে মার্শাল জুকভ যে আক্রমণ পরিচালনা করেন, তার পরিণতিতে জার্মান বাহিনী ৮ লাখ ৫০ হাজার সৈন্য হারিয়ে ১৯৪৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আত্মসমর্পণ করে। সোভিয়েত পক্ষে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৭ লাখ ৫০ হাজার সৈন্য। এই যুদ্ধে বিজয়ের জন্য স্টালিনের রণনীতি ও রণকৌশলের সফল প্রয়োগকে কৃতিত্ব দেওয়া হয় এবং পরিণতিতে ভলগোগ্রাডের নামকরণ করা হয় স্টালিনগ্রাড। তাজউদ্দীন আহমদ এসব ইতিহাস জানতেন বলে তুলনা করার গুরুত্ব তিনি উপলব্ধি করতে এবং বুঝতে পারতেন।
যুদ্ধ শুরু করার দিনগুলোতে কে, কীভাবে ঘোষণা করেছেন সে সম্পর্কেও প্রচুর বিতর্ক হচ্ছে। ১৯৭১ সালের ৩১ মার্চ কলকাতা থেকে প্রকাশিত যুগান্তর মন্তব্য করেছে, ‘বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রধান মেজর জিয়া আজ ঘোষণা করেন যে পূর্ববঙ্গের অধিকাংশ স্থান এখন তাঁর মুক্তি ফৌজের দখলে রয়েছে। বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো তথা বিশ্ববাসীকে তা দেখে যাওয়ার জন্য তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।’ ১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল কলকাতার আনন্দবাজার লিখেছে, ‘বাংলাদেশের তিন সেনাপতি : বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন এলাকা ও শহর ছাড়া প্রায় সবটাই এখন মুক্তি ফৌজের দখলে। এই প্রশাসনে তিনটি সেক্টরের নেতৃত্ব করছেন তিনজন সেনাপতি। তারাই মিলিতভাবে মুক্তি ফৌজের নিয়ন্ত্রণ করছেন। আওয়ামী লীগের অনুগত সামরিক অফিসার ও কর্মচারীরা তাদের সঙ্গে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করছেন। এই তিন সেনাপতিরা হলেন মেজর খালেদ মুশাররফ (শ্রীহট্ট সেক্টর), মেজর সফিউল্লা (ময়মনসিংহ) ও মেজর জিয়াউর রহমান (চট্টগ্রাম)। জিয়াউরই মেজর জিয়া নামে অস্থায়ী সরকারের প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করেছিলেন।’

কিন্তু ঘোষণাটা কেমন করে হয়েছিল? স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ইপিআরে কর্মরত মো. আশরাফ আলী সরদার বলেছেন, ঢাকায় অবস্থিত সিগনালের প্রধান বেতার কেন্দ্র রাত ১২টার সময় বন্ধ করে দেয়া হয়। বন্ধ করে দেয়ার আগে বাংলাদেশের সব ইপিআর বেতার কেন্দ্রে খবর পৌঁছে দেয়া হয় যে, উইং কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুর রহমান আওয়ান ‘আমাদের নির্দেশ দিচ্ছে সব বেতার যোগাযোগ বন্ধ রাখার জন্য।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘২৬ মার্চ সকাল ১০টা পর্যন্ত আমাদের এইচএফ চালু থাকে, যার মাধ্যমে ২৫ মার্চের ঘটনা নায়েক শহীদ বাশার বাইরের সবাইকে জানিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি তাঁর শেষ সংবাদে চট্টগ্রামকে বলেছিলেন যে, আমাদের সবাই বন্দি হয়ে গেছে। হয়তো কিছুক্ষণ পর আমিও বন্দি হয়ে যাব এবং আর নির্দেশ দেয়ার সময় পাব ন। তোমরা সব পশ্চিমাদের খতম কর। চট্টগ্রাম থেকে হাবিলদার বাহার ওই সংবাদ সীমান্তের চৌকি পর্যন্ত পৌঁছে দেয় এবং আমাদের লোকজনকে অনুপ্রাণিত করার জন্য সে বলেছে, ‘আমি ঢাকা থেকে বলছি। সম্পূর্ণ ঢাকা আমাদের নিয়ন্ত্রণাধীনে চলে এসেছে এবং ইপিআরের ডিরেক্টর জেনারেল ব্রিগেডিয়ার নেসার আহমদ বন্দি হয়েছেন। তোমরা স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড় এবং পশ্চিম পাকিস্তানিদের বন্দি করে আমাকে রিপোর্ট দাও।’ দেখা যাচ্ছে, এই বার্তার সঙ্গে অন্য কারও নাম যুক্ত নেই এবং ব্যক্তির আবেগেই বার্তার ভাষা পরিবর্তিত হয়েছে।

মেজর জিয়ার ঘোষণা সম্পর্কে বলতে গিয়ে ফরিদপুরের হেমায়েত বাহিনীর প্রধান হেমায়েত উদ্দিন বীরবিক্রম মাসিক গণমন পত্রিকায় ১৯৭৭ সালের ডিসেম্বরে একটি সাক্ষাত্কার দেন। সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ‘২৭ শে মার্চ রাত্রে সর্ব প্রথম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমানের (বর্তমানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি) কণ্ঠস্বর ঘোষিত হলো, আমরা স্বাধীনতা ঘোষণা করেছি।’

মার্চ মাসে বিশেষ করে ২৫ মার্চ ও তত্পরবর্তী সময়ে ঢাকা সেনানিবাস ও শহরে যা ঘটেছিল, সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগে ক্যাপ্টেন পদে ঢাকা সেনানিবাসে কর্মরত আবু তাহের সালাউদ্দীন বলেন, ‘ইতিপূর্বে সন্ধ্যা ৭টার সময় ক্যাপ্টেন এনামের কক্ষে রেডিওতে আমরা চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রে মেজর জিয়াউর রহমানের (বর্তমানে ব্রিগেডিয়ার) ভাষণ শুনতে পাই। বেতারে মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং সব বাঙালি সেনাবাহিনীর সদস্য, ইপিআর, বিমান বাহিনী, পুলিশ বাহিনী ও জনসাধারণকে পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদের চিরতরে এ দেশ থেকে নির্মূল ও খতম করার আহ্বান জানান।’

বেতারে স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে জিয়াউর রহমানের সাক্ষাত্কারের ভিত্তিতে ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় : ‘এই বিরাট শক্তির মোকাবিলায় বেশিক্ষণ টিকে থাকা সম্ভব হবে না—এ কথা বাঙালি সৈন্যরা বুঝেছিলেন। তাই শহর ছেড়ে যাওয়ার আগেই বিশ্ববাসীর কাছে কথা জানিয়ে যাওয়ার জন্য মেজর জিয়া ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রে যান। বেতার কেন্দ্রের কর্মীরা মেজর জিয়াকে পেয়ে উত্ফুল্ল হয়ে ওঠেন। কিন্তু কী বলবেন তিনি? একটি করে বিবৃতি লেখেন আবার তা ছিঁড়ে ফেলেন। কী জানাবেন তিনি বিশ্ববাসী এবং দেশবাসীকে বেতার মারফত? এদিকে বেতারকর্মীরা বারবার ঘোষণা করছিলেন—আর ১৫ মিনিটের মধ্যে মেজর জিয়া ভাষণ দেবেন। কিন্তু ১৫ মিনিট পার হয়ে গেল। মেজর জিয়া মাত্র তিন লাইন লিখতে পেরেছেন। তখন তাঁর মানসিক অবস্থা বুঝার নয়। লেখার ঝুঁকিও ছিল অনেক। ভাবতে হচ্ছিল শব্দ চয়ন, বক্তব্য পেশ প্রভৃতি নিয়ে। প্রায় দেড় ঘণ্টা মুসাবিদার পর তিনি তৈরি করেন তাঁর সেই ঐতিহাসিক ভাষণটি। নিজেই সেটা তিনি বাংলা এবং ইংরেজিতে পাঠ করেন।’

অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, বেতারে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জিয়াউর রহমান নিষ্ক্রিয় বসে ছিলেন না। পুরো যুদ্ধের সময়, প্রথম দিকে তিনি ছিলেন সেক্টর কমান্ডার ও পরবর্তী সময়ে জেড ফোর্সের কমান্ডার। মুক্তিযুদ্ধের জাদুঘরের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম জেলা, পার্বত্য চট্টগ্রাম, নোয়াখালী জেলার পুরো পূর্বাঞ্চল নিয়ে গঠিত সেক্টর ১-এর কমান্ডার ছিলেন জিয়াউর রহমান, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ জুন পর্যন্ত। এরপর এ দায়িত্ব পান মেজর রফিকুল ইসলাম। খালেদ মোশাররফ এবং শফিউল্লাহ উভয়েই যুদ্ধের প্রথম কয়েক মাস সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরে এরা কে ফোর্স এবং এস ফোর্সের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অথচ অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল হারুন ৯ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখের দৈনিক কালের কণ্ঠে প্রকাশিত মন্তব্যে বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ শুরুর দিকে জিয়াউর রহমান ছিলেন এরিয়া কমান্ডার। পরে তিনি ফোর্স কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কখনও সেক্টর কমান্ডার ছিলেন না।’ সত্যের এক অদ্ভুত অপলাপ। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল হারুন মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সঙ্গেও জড়িত। তিনি কি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরকে ইতিহাস বিকৃতির দায়ে দায়ী করবেন, না তাদের ওয়েবসাইট সংশোধন করতে বলবেন? কেন তিনি এই সত্য অস্বীকার করলেন, তা স্পষ্ট নয়। ১৯৭২ সালের ৪ ডিসেম্বর দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত সাক্ষাত্কারে সব মুক্তিযোদ্ধার প্রধান জেনারেল ওসমানী বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে আমি ১১টি সেক্টরে ভাগ করেছিলাম। ১১টি সেক্টর একেকজন অধিনায়কের অধীনে ছিল এবং প্রত্যেক অধিনায়কের একটি সেক্টর হেড কোয়ার্টার ছিল। ... যখন বাংলাদেশ সরকার আমাকে সর্বাধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ করেন, তখন আমি তাদের অনুমোদনক্রমে লে. কর্নেল (বর্তমানে মেজর জেনারেল) এম এ রবকে চিফ অব স্টাফ নিয়োগ করি। তিনি আমার পরে সবচেয়ে সিনিয়র ছিলেন। তিনি গণপরিষদেরও সদস্য। বিভিন্ন সেক্টরের কমান্ডার নিয়োগ করি : এক নম্বর সেক্টরে প্রথম মেজর (বর্তমানে কর্নেল) জিয়াউর রহমান, পরে মেজর রফিক।’ জেনারেল ওসমানীর এই বক্তব্যের সমর্থন রয়েছে জেনারেল সফিউল্লাহর বক্তব্যে, যিনি ছিলেন তিন নং সেক্টরের কমান্ডার, এস ফোর্সের কমান্ডার এবং বর্তমানে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সদস্য মেজর রফিকুল ইসলাম বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকার করতে চান না। ১৯৭১ সালের ১১ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত কলকাতায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনের বরাত দিয়ে তিনি তার লেখা লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে (১৯৮১) গ্রন্থে সভায় উপস্থিতদের যে নামের তালিকা দিয়েছেন, তাতে মেজর জিয়াউর রহমানের নাম আছে। কিন্তু পরের পৃষ্ঠায় বিভিন্ন জনের দায়িত্ব বণ্টনের যে তালিকা দিয়েছেন তাতে কোনো পদবি অনুযায়ীই জিয়াউর রহমানের নাম নেই। ইতিহাসের এত নগ্ন বিকৃতি বাংলাদেশেই সম্ভব...................../

এ লেখায় উল্লিখিত কিছু তথ্য নেওয়া হয়েছে ১৯৮৪ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র; তৃতীয়, নবম ও দশম খণ্ড ও নানান পত্রিকার ও ওয়েবসাইট থেকে । এসব দলিল সম্পর্কে এখন পর্যন্ত প্রশ্ন ওঠেনি । অবশ্য কিছু দিন আগে জিয়াকে গৌরবান্বিত করার কারণে সেনাবাহিনী প্রকাশিত সাত খণ্ডের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বইটি প্রত্যাহার করা হয়েছে । এ কারণেই প্রশ্ন জাগে; কে এই জিয়াউর রহমান......
ধারাবাহিক ভাবে চলবে /
৫৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×