খবর:
১) হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা : লক্ষ্মীপুরসহ ৩ জেলায় রোববারের হরতাল প্রত্যাহার করেছে জামাত। (সূত্র: মানবকণ্ঠ, তারিখ: ১২ই মে ২০১৩)
২) হিন্দুদের রথযাত্রার সুবিধায় হরতাল শিথিল করেছে জামাত। (সূত্র: কালের কণ্ঠ, তারিখ: ১৯শে জুলাই ২০১৩)
৩) ১৮ দলের হরতালের আওতামুক্ত মাগুরার পূজাম-প এলাকা। (সূত্র: বাংলানিউজ২৪, তারিখ: ৮ই নভেম্বর ২০১৩)
৪) ২৫শে ডিসেম্বর খ্রিস্টানদের জন্য অবরোধ করবে না ১৮ দল। (সূত্র: বাংলানিউজ২৪, তারিখ: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩)
বলাবাহুল্য, ধর্মব্যবসায়ী জামাত কিংবা তাদের জোট সঙ্গীরা হিন্দু-খ্রিস্টান ধর্মের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তাদের হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার করে, কিন্তু মুসলমানদের পবিত্র অনুষ্ঠানের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তা করে না।
গত ইয়াওমুল আরবিয়ায়ি (বুধবার) ২৮শে ছফর (৩১শে ডিসেম্বর ২০১৩ ঈসায়ী তারিখ) ছিল একই সাথে ছিল মুসলমানদের তিনটি ঐতিহাসিক ও পবিত্র দিবস উনার দিন।
ক) সুমহান ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’।
খ) ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র শাহাদাত মুবারক দিবস।
গ) মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমুতল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস।
অথচ এই পবিত্র দিনে ধর্মব্যবসায়ী জামাত ও তাদের জোট দল অবরোধ দিয়ে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে চরমভাবে হেয় করলো এবং একই সাথে সারা দেশের মুসলমানদের কঠিন কষ্ট দিলো। (নাউযুবিল্লাহ)
মূলত, জামাতে মওদুদী নামক উক্ত ধর্মব্যবসায়ী দলটি পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করে থাকে। যে বিরোধিতার কারণে তারা উপনীত হয়েছে কুফরীর সর্বোচ্চ চূড়ায় এবং তা জাহির হচ্ছে তাদের বিভিন্ন কুফরী আমলের মাধ্যমে। তাই এখন তারা মুসলমানদের পবিত্র দিবসসমূহকে সম্মান দেয় না, সম্মান দেয় হিন্দু-খ্রিস্টানদের পূজাকে। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)।