মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে আমার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফযল-করম এবং রহমত হিসেবে উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন, সেজন্য তারা যেন খুশি প্রকাশ করে। এই খুশি প্রকাশ করাটা সেসব কিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।” (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৮)
মহা সম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি (সোমবার শরীফ) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মীলাদ শরীফ তথা পবিত্র বিলাদত শরীফ।
অতএব, এই মহান মুবারক বিলাদত শরীফ উপলক্ষে উম্মাহকে ঈদ তথা খুশি প্রকাশ করতে হবে, অর্র্থাৎ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন বা উদযাপন করতে হবে। আর এ সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ পালন করা মুসলমানগণ উনাদের জন্য তো অবশ্যই, বরং সমস্ত কায়িনাতের জন্য ফরয-ওয়াজিব। প্রকৃতপক্ষে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারণে অর্থাৎ উনার জন্য খুশি প্রকাশ করা হবে, সমস্ত কায়িনাতের যত আমল করা হোক না কেন, ইহকাল এবং পরকালে তাদের সমস্ত নেক আমল থেকেও তা উত্তম তথা শ্রেষ্ঠ। সুবহানাল্লাহ!!