বদলে দেবার কারিগর পুত্তুম আলু।
তারা মানুষ, পশুপাখি ইত্যাদি বদলাতে বদলাতে অভ্যাস খারাপ কইরা লাইছে।
অহন সংবাদ যেমন বদলায় তেমনি বদলায় কমেন্টতক।
আপনে একটা কমেন্ট করলেন তার আসল অংশটুকু বাদ দিয়া ধুম কইরা মাঝখানতে একটা অংশ ছাপায় দিব । আপনারে পুরাই আ*ল বানায় দিব।
দেশে এই মুহুর্তে প্রায় ৬০% বা তার বেশি মানুষ আমলীগ বিরোধী।
কিন্তু প্রথম আলো দেখলে মনে হয় ৯০-৯৫% লোকজন সুশীল বা লীগার। সরকার বিরোধী মন্তব্য ছাপানো হয়না একেবারেই ।
অথচ A. Forkan নামক এক দালালের প্রায় কয়েক হাজার কমেন্ট ছাপিয়েছে এই পুত্তুম আলো (কার্টেসিঃ গুগল এক্সাক্ট সার্চ)
Fohad নামের আরেকজনের প্রায় হাজারখানেক কমেন্ট ছাপিয়েছে (সুত্রঃপুর্বেরটা)
যাই হোক এখন আবার কমেন্টে লাইক আর ডিসলাইক দুইটা বাটোন যোগ করেছে। যতই দালালি করুক, প্রথম আলোর কারসাজি দিনের আলোর মতই পরিষ্কার। আর নিজেদের পক্ষে না গেলে এক হাজারটা কমেন্ট দিলেও লাভ নাই।
একটু পোস্ট মর্টেম করে দেখিঃ
‘শফীর অপমানজনক কথা সহ্য করবেন না শ্রমিকেরা’
(২৬/০৭/২০১৩)
মোট ১৩ (তের) খানা কমেন্ট প্রকাশিত হয়েছে।
শফি, জামাত বা ১৮ দলের বিরুধে যায় এমন প্রকাশিত (!) কমেন্টের সংখ্যা ৯ খানা ।
শফি হুজুরের পক্ষে দুখানা
আর সুশীল কমেণ্ট দুইখানা।
তাহলে দেশে পুটুর আলো টাইপ মানুষ প্রায় ৮০% কি বলেন ???
আপনে মিয়া ফিডার খান এখনো।
আসেন কয়েকটা কমেন্ট দেখিঃ
১. এগিয়ে যাও (পক্ষের কমেন্ট , মানে হুজুরের বিরুদ্ধ্যে , লাইক পেল ৩ টা, ডিস্লাইক পেল ৯টা )
২. ওলামাদের যোগ্যতা আজ ব্যয় হচছে ঘৃণ্য নাস্তিক নাৎসীদল জামাত-শিবিরের রাজনৈতিক স্বার্থে। এটা বর্তমান ওলামাদের এক নিদারুন মর্যাদাহানি। ( একটু জামাত বিরোধি, লাইক ১০, ডিসলাইক ৭ টা )
৩ দুই-তিন বছরের আগের একটা ওয়াজ নিয়ে এত মিডিয়া হাইলাইট হচ্ছে কেন? কারা কি উদ্দেশ্য করছে তা তো বুঝাই যাচ্ছে। শফির পুরানো এই ওয়াজ নিয়ে মিডিয়া লাফালাফি না করলে এটা কেউই জানত না।(হুজুরের পক্ষে যায়, লাইক ৯ টা, ডিসলাইক ৬ টা )
৪ জি মিজান ভাই। খালি বাম দল, নাস্তিক , ইসলাম বিদ্বেষীদের কখনই ঘৃনা করব না, কেমন ? ( হুজুরের পক্ষেই যায়, লাইক ৬ , ডিসলাইক ০ )
৫. এর পরেও আওয়ামিলিগের পালে হাওয়া লাগবে না। ধরমো নিয়ে রাজনিতিতে কোন দলই কম যায় না । আর সবকিছুতেই সেই ষড়যন্তরো থিওরি - আর ক.....ত দিন ? (সুশীল, লাইক ১ , ডিসলাইক ১ )
৬. সফি হুজুরকে সম্মান করতে ইচ্ছে করে কিন্তু্্্্,
কেন যে হুজুর জামাতের হয়ে মাঠে তাই সব কিচ্ছুতে উলট পালট করে ফেলছেন ?
রাজনীতি ছেড়ে নিজের কথা কাজ হাদিছ কোরআনের দিকে বেশী নজর দিন নাহয় , এই জামাতিরা আপনাকে সমাজে উলঙ্গ করে ছাড়বে ?
(এটা বালীয় ধান্দাবাজি কমেন্ট, লাইক ১ , ডিসলাইক ৪)
এটা সমুদ্রের বালুকণা মাত্র। ধর্মনিরেপক্ষতার ধ্বজাধারী আলু পত্রিকা এখন কি করে?
এককালে সামুতে মাইনাস দেয়া যেত? কেন উঠে গেল ? জানবার চান?
আমি তুমি আমরা
এর ব্লগে থেকে তুলে দিচ্ছি কিছু অংশঃ
পোস্টঃসামু ব্লগের সর্বোচ্চ মাইনাস প্রাপ্ত পোষ্ট এবং এসব পোষ্ট লেখা ইউনিক ব্লগারগন
৪.ব্লগার সন্যাসীর বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ড নিয়ে পোষ্টঃ ভন্ডামির চূড়ান্ত এবং মাইনাস বন্যাঃ এই পোস্টটি সামুর প্রথম পাতায় আসে ১১ই ডিসেম্বর ২০১০, রাত ৮ট ৩১ মিনিটে। শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসের ঠিক দুইদিন আগে। পোস্টের শিরোনাম ছিল “বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডঃ ধর্মের নামে একটি জাতিকে মেধাশূন্য করা এবং মুক্তবুদ্ধি চর্চার অপমৃত্যু”।পোস্টের শিরোনাম দেখে মনে হয় মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রান দেয়া বুদ্ধিজীবিদের প্রতি প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পোস্টটি লেখা হয়েছে।পোস্টটি প্রকাশের পর কয়েকজন নাস্তিকের হাউকাউয়ের কারনে স্টিকি করা হয়।তবে মনে হয় না সামুর নাস্তিককুল তখনো ভাবতে পেরেছিলেন তাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে।ব্লগার সন্যাসী খুবই চতুরতার সাথে দুটো কাজ করেছিলেন।
প্রথমতঃ বিশাল পোষ্ট লিখেছিলেন।পাব্লিক এমনিতেই বিশাল পোষ্ট পড়তে চায় না।ফলে তার পোস্টও খুব বেশী সংখ্যক পাঠক পড়বেন এটা আশা করা উচিত না।
দ্বিতীয়তঃতার পোষ্ট জুড়ে প্রচুর ছবি ছিল। সামু এমনিতেই স্লো ওয়েবসাইট। তার ওপর ছবি বেশী থাকলে পোস্টের সাইজ হয় বিশাল। নেট স্লো হওয়ার কারনে সহজে পুরা পোস্টই সেদিন লোড হচ্ছিল না।
ফলে পুরো ব্যাপারটা দাড়ালো এরকম।ব্লগার সন্যাসী একটা পোষ্ট লিখলেন।নাস্তিকরা হুদা হাউকাউ করে পোস্টটাকে স্টিকি করলেন।বিশাল পোষ্ট, তারপর প্রচুর ছবি থাকার কারনে সহজে পোস্টই লোড হচ্ছিল না পুরোপুরি।যেহেতু মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পোষ্ট আর সামু কতৃপক্ষও স্টিকি করেছে, সুতরাং পাবলিকও না পড়েই প্লাস দেয়া শুরু করল। আসল মজা শুরু হল যখন কয়েকজন পোষ্ট পড়ে মাইনাস দিলেন এবং মাইনাস দেয়ার কারন ব্যাখ্যা করলেন।পাবলিকের টনক নড়ল সাথেসাথেই।বাকিরাও পোষ্ট পড়া শুরু করল এবং শুরু হল মাইনাস বন্যা। এম্নকি ব্লগমাতা জানা এসে অনুরোধ করার পরও মাইনাস বন্যা থামল না।একসময় মাইনাসের সংখ্যা প্লাসকে ছাড়িয়ে গেল। আমার জানামতে এটাই সামুর ইতিহাসে একমাত্র স্টিকি পোষ্ট যাতে প্লাসের চেয়ে মাইনাসের সংখ্যা বেশী।
এই ঘটনার পর আমাদের অর্থাৎ সাধারন ব্লগারদের মারাত্মক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।ব্লগ কতৃপক্ষ মাইনাস তুলে নেয়।আর ব্লগে শুরু হয় মাইনাস ফিরিয়ে দাও আন্দোলন।এই আন্দোলনের ফলে নানাভাবে আহত(জেনারেল) হন অনেক নামীদামী ব্লগার আর সামু হয়ে যায় আগের তুলনায় পানসে।
যাই হোক ! আমার মনে হয় আমেরিকার দালাল (মোটেও ভারতের না) প্রথম আলো কতদিন এই সিস্টেম চালু রাখে সেটা দেখার বিষয়। আমার মনে কয় এটা ঈদের ছুটির পরে হাওয়া হয়ে যাবে !! অথবা সামুর মত শুধু প্লাস থাকবে।
এই পোস্টটি লিখে দিয়েছেঃ হারুন, ঢাবি।
(অন্যের নিক থেকে পোস্ট দিলাম !! মাফ করে দিয়েন বড় ভাইরা )