১, জুলাই, ৬৬৬৬ ইং
সুপ্রিয়া লিলিথ,
আদি মানব হইবার সুবাদে অনেক কিছুই লিখিবার দরকার রহিয়াছে আমার, হয়তো অনেক কথায় অব্যাক্ত থাকিবে তবুও লিখিবো। ইহা লিখিবার সময় হইয়াছে, সময়ের দায় হইতেই লিখিবার দরকার পরিয়াছে। সহস্ত্র কোটি বৎসর কাটিয়া গিয়াছে তবুও আমি মুখ খুলি নাই বলিয়া অভিমানী হইয়া যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নহে।
অতঃপর হে প্রিয়া তুমি ভয় পাইয়ো না, ঈশ্বর মরিয়াছেন, আমি ইত্যাবসরে দোয়াত- কলম লইয়া বসিয়াছি তোমা পানে লিখিবো বলিয়া। ইশ্বর যেই সময় আমাদিগকে মৃত্তিকার ছাচ হইতে তৈয়ারী করেন, সেই এক ই ছাঁচ হইতে তৈয়ারী করিয়াছেন তোমাকে ও।
তোমার আর আমার মধ্যকার লড়াই টা বিদ্যমান হইয়া ছিলো উপাগত আর সমাগত হইবার ব্যপার তা লইয়া। উহা মিটিয়া গেছে অনেক দিন হইলো। প্রিয়তমা পত্নী ইভ শয্যা লইয়াছেন সেই কোন আদিকাল পূর্বে, এই সময়েও এই বৃদ্ধ বয়সে আপানাকে ঘুরিয়া ফিরিতে হইতেছে প্র পুত্রদের পান্থশালায়।
প্রিয় লিলিথ অনেক ধানাই পানাই করিয়াছি, ইত্যাবৎসরে বলিতে চাই, আমি তোমা হইতে পানি প্রার্থী। হ্যা আমি জানি ইত্যকার ঘটনা লইয়া যে সকল ছিদ্রান্বেষী যেমতি গ্যাব্রাইল, মিখাইল তোমার কর্ণ কুহরে অনেক পরিমাণ বিষ ঢালিয়াছে। কিন্তু আমার প্রথম স্ত্রী হইবার সুবাদে আমি আশা করিতে পারি। পূর্ব দেশীয় বংগ দেশ নামক স্থানে রিকশা চালকের স্বামী যেমতি স্ত্রীর হাত পা ধরিলে ক্ষমা পাইয়া যায়, আমিও তোমা হইতে অনুরূপ ক্ষমা পাইতে পারিতেই পারি। আমি কান ধরিয়া উঠিবো বসিবো, তোমার সকল কথা শুনিবো, তবূ প্রিয় লিলিথ আপনাকে ছাড়িয়া যাইয়ো না। আমি বৃদ্ধ হইয়াছি। প্র প্র প্র প্র প্র প্র...প্র পৌত্রাদির স্কন্ধে হস্ত রাখিয়া মুক্ত কচ্ছ হইয়া আলোক বর্তিকার নীচে মুত্র বিসর্জন করিতে আমার একান্তই ভালো লাগিতেছে না।
লিলিথ , হে প্রিয়তমা, প্রেয়সী ডায়েনী লিলিথ ফিরিয়া আসিয়ো। আমি আজ ও তোমার অপেক্ষায় রহিয়াছি। তোমার স্কন্ধে শির রাখিয়া আমি বঙ্গ দেশের ঢাকা নামক নগরের আত্নজ শাহাবাগীদের স্বরুপ প্রেম প্রদর্শন করিতে চাই। ফিরিয়া আসিয়ো। অনুগ্রহ পূর্বক।
--- ইতি
আদি মানব এ্যডাম
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৪২