আমার প্রতিবেশীরা দেয়ালের ওপাড় থেকে উকিঝুকি দেয়...
ধোঁয়ার ঘ্রান তাদের লোভাতুর জীভ থেকে লালা ঝরায় ...
দেয়ালের এপাড়ে বারবিকিউর আয়োজন চলছে...
সীমান্তরেখার অদ্ভুত এক আঁধার, তক্ষকের চোখ জ্বলছে,
জ্বলছে নিশ্চিন্তপুরের আগুন, জ্বলছে আগুন আজ অবিরত...
আর আমরা ছুটছি মৈত্রী নামের কস্তুরী ঘ্রাণের পিছনে,
উতলা হরিণের মত, মাংসাশী চোখে কাঁটাতারের ওপাড়ে
দাড়িয়ে প্রতিবেশীরা; বন্ধুত্ব তাই আজ এক বিভ্রম,
বুভুক্ষু ভীনদেশী বুলেটে বিদ্ধ, রক্তাত্ব ।
মৈত্রীর করিডোরে চলছে মৃত্যুর উৎসব, দায়শোধ হচ্ছে
অজশ্র তাজা প্রাণ, শিকারীর রক্তনেশায় মুহূর্তেই অতীত হচ্ছে
কতশত স্পার্টাকাস, মরছে পাখীর মত । পাখি মরে গ্যালে
পাখিগ্রামে মা-পাখির গগনবিদারী চিৎকার ধ্বনিত হয়
আর ওপাড় থেকে ভেষে আসে রক্তভুক শিকারীর উল্লাশ...
মৃতনদীর বুকের মাঝে শুকিয়ে যাবার ক্ষত, চরে ওড়ে শকুন,
সীমান্তহীন হাওয়ায় শুনি বিলাপের সুর; বেনিয়ার সাথে মিলেছে
মিরজাফরের ছলাকলা, মৃত্যুপুরীতে আজ কফিন সংকট চলছে;
কাঁটাতারে ঝুলেছে আমাদের স্বকীয়তা, আটকে পড়েছে সার্বভৌমত্ব;
মৃত্যুর আগে যেভাবে ফেলানী ঝুলেছে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ায়,
আজ সেভাবেই ঝুলছে বাংলাদেশ...