কেউ আল্লাহ বা মুহাম্মদকে অস্বীকার করলে তাঁরা মিথ্যা হয়ে যান না। যেমন, কোন সন্তান তাঁর পিতা মাতাকে অস্বীকার করলেও সে পিতা বা মাতার অস্তিত্ব চলে যায় না। আল্লাহ বা মুহাম্মদকে কেউ গালি দিলে তাঁরা ঠিকই থাকেন। এজন্য মুসলমানদের অসহায় বোধ করার কোন কারন নাই। হরতাল করে আল্লাহ ও মুহাম্মদের মর্য্যাদা রক্ষা করতে হবে কেন?
আল্লাহ ও মুহাম্মদকে ইহুদি বা কোন বিধর্মী না মানলে বা তাঁদের চরিত্র হরন করলে মুসলমানদের কি আসে যায়? মুহাম্মদ সূর্য্যের মত পৃথিবীর সব মানুষের জন্য প্রেরিত। তিনি একমাত্র মুসলমানদের অধিকারভুক্ত সম্পত্তি নন। খ্রিষ্টান, ইহুদি ও বিধর্মীরা ইচ্ছা করলে তাঁকে গ্রহন বা না গ্রহন করতে পারেন। অনেকে মুহাম্মদকে নিজের মাবাবার সাথে তুলনে করে ভুল করেন।
মুহাম্মদের জীবদ্দশায় যারা তাঁকে গালি দিয়েছিল তখন কোন মানুষকে সহিংশ প্রতিকাররের দায়িত্ব তিনি দেন নাই।
আল্লাহ ও মুহাম্মদকে কেউ গালি দিলে তাঁর প্রতিকার তাঁরাই করবেন। সৃষ্টিকর্তা ও মুহাম্মদ তা দেখছেন ও দেখবেন। সে জন্য তাঁরা যথেষ্ট ক্ষমতাবান। এ বিশ্বাস রাখার নাম ঈমান।
যার যার কাজ তাঁকে করতে দিন। এই বোধের নাম গনতান্ত্রীক চেতনা।
বিঃদ্রঃ মুহাম্মদ নামের পরে (সঃ) কথাটি যিনি চান আজানের মত যোগ করে নিবেন।
জিব্রাঈল (আঃ) কোরানের কোথাও মুহাম্মদ নামের শেষে (সঃ) কথাটি উল্লেখ করেন নাই। মুহাম্মদ আল্লাহর কাছে বেহেশতে আছেন। তাই পুনঃরায় তাঁর জন্য আল্লাহর কাছে বেহেশত প্রার্থনা করার কোন কারন নাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১২