ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণ ও নিয়ন্ত্রণ
১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ও আতংকিত একটি ভাইরাসের নাম হচ্ছে ইবোলা। এই আতংক এখন সারা পৃথিবীব্যাপী। আতঙ্কের মূল কারণটি এখন আর আমাদের অজানাও নয়। এই ভাইরাসটির সংক্রমণে ইতিমধ্যেই ওয়েস্ট আফ্রিকার ১০১৩ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আক্রান্ত হয়েছে আরো অনেক বেশি (সাসপেকটেড কেস ১৮৪৮ জন)। কীভাবে আক্রান্ত হলো এতো মানুষ এই প্রাণঘাতী ইবোলা ভাইরাসে তার প্রকৃত কারণ জানা না গেলেও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে, ২০১৪ সালের এই মহামারীর মাত্র ক’মাস আগে ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল মাত্র দু’বছরের একটি বালক-গিনির একটি গ্রামে। বালকটি অসুস্থ হবার পর পরই মারা যায়-গত ডিসেম্বরের ৬ তারিখে। একসপ্তাহ পরে ঠিক একই ধরনের অসুস্থতায় ভুগে মারা যায় বালকটির মা। তারপর ঐ বালকের তিন বছর বয়সী বোনটিও অসুস্থ হয়ে মারা যায়। তার কিছুদিন পরেই মারা যায় তাঁদের গ্র্যান্ডমাদার। অর্থাত্ মৃত চারজনই হচ্ছেন একই পরিবারের সদস্য। তাঁদের সকলেরই অসুস্থতার লক্ষণগুলো ছিল প্রায় একইরকম অর্থাত্ জ্বর, বমি এবং ডায়রিয়া। যদিও তখন তাঁদের এই অসুস্থতার প্রকৃত কারণ ছিল সকলের কাছে অজানা। পরবর্তীতে অন্য দু’জন ব্যক্তি যারা ঐ গ্র্যান্ডমাদারের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছিলেন তাঁরাও ঐ একই ধরনের অসুস্থতাবোধ করেন অর্থাত্ আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁরা ইবোলা ভাইরাসে। এই রোগটি নিয়ে পরে সশরীরে তাঁরা চলেও যান তাঁদের নিজ গ্রামে। সেখানে তাঁদের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন একজন স্বাস্থ্যকর্মী। তিনিও আক্রান্ত হন এবং অন্য আরেকটি গ্রামে চলে যান। এভাবে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে থাকে গিনির চারিদিকে। আসলে উপরোক্ত ব্যক্তিগুলোর কেউই তখনো জানতেন না যে তাঁরা এই প্রাণঘাতী ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং এটিকে তাঁরা যেমন বহন করছেন, তেমনি সংক্রমণও করছেন অন্যকে। গত মার্চে গবেষকদের একটি টিম যখন এই রোগটি সনাক্ত করলেন, তখন ইতিমধ্যেই অনেক দেরি হয়ে গেছে। গিনির প্রায় আটটি গ্রামে ইতিমধ্যেই কয়েকডজন মানুষ ইবোলাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে (সিয়েরালিয়ন, লাইবেরিয়া, নাইজেরিয়াতে) ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে বলে তীব্রভাবে আশংকা বাড়ায় গবেষকদের মাঝে- যা সত্যে প্রমাণিত হল ১০১৩ জনের মৃত্যু এবং ১৮৪৮ জন ইবোলা সাসপেকটেড কেস সনাক্তের মাধ্যমে (আগস্ট ৯, ২০১৪ অবধি)। এই সংক্রমণ যাতে আর না বাড়ে বা মহামারী পর্যায়কে কিভাবে এড়ানো যায়- সে সম্পর্কে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক সতর্কতা জারি করেছেন। তাঁদের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে অনেক তথ্য ও আপডেট দেয়া আছে। আমেরিকার সিডিসি বা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন তাঁদের ওয়েবসাইটে ইবোলা সম্পর্কে সতর্কীকরণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছেন। বিভিন্ন এয়ারলাইন্স পশ্চিম আফ্রিকার ঐ দেশগুলোতে তাঁদের নিয়মিত ফ্লাইট বাতিল করেছেন (যেমন, ব্রিটিশ ও এমিরেটস) অথবা সীমিত আকারে চালু রেখেছেন। এফডিএ (Food and Drug Administration) অনুমতি দিয়েছেন কানাডিয়ান কোম্পানি “টেকমিরা বায়োটেক”কে তাঁদের TKM-ইবোলা ড্রাগটি সীমিত আকারে ব্যবহারের জন্য। “টেকমিরা বায়োটেক” এই ড্রাগটির (অলিগোনিউক্লিওটাইড টাইপ ড্রাগ) Large Scale Production-এর জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন আমেরিকার নিত্য এভেশিয়া বায়োটেকনোলজির সঙ্গে। এতোসব কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে ইবোলা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল করা।
সূত্র :
http://www.changeworldbd.com/?p=1592
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
লিখেছেন
মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪
বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন
লিখেছেন
জুল ভার্ন, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১
আত্মপোলব্ধি......
একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন
লিখেছেন
হাসানুর, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২
হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি...
...বাকিটুকু পড়ুন আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
লিখেছেন
রাজীব, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।
আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন