ইরানের ভয়ংকর এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে আমেরিকা; আমেরিকার উচিত ছিলো, একই সাথে বড় শয়তানকেও (সুপ্রীম লিডার) হত্যা করা; এদের হাতে লাখের বেশী ইরাকী, সিরিয়া ও ইয়েমেনের সুন্নীদের রক্ত রয়েছে। ইরানের তেলের পয়সা দিয়ে শিয়া মিলিশিয়া গঠন করে, সিরিয়া, ইয়েমেন ও ইরাককে পংগু দেশে পরিণত করেছে; লেবাননকেও একই অবস্হায় রেখেছিলো ২০/৩০ বছর; এখন লেবাননের বেশীরভাগ হেজবুল্লাহ ইরাকে ও ইয়েমেনে অবস্হান নিয়েছে, লেবানন একটু ভালো আছে; কিন্তু লেবাননে সব সিরিয়ান সুন্নী-মাতা ও তাদের সন্তানেরা আশ্রয় নিয়েছে, এদের স্বামীরা জার্মানীতে রিফিউজী।
ইরানের বড় শয়তান বলেছে যে, তারা আমেরিকান মিলিটারী অবস্হান আক্রমণ করবে; একই কথা বলেছিলো সাদ্দাম; সাদ্দাম কিন্তু আমেরিকানদের হত্যা করেনি: সে কুয়েত দখল করে নিজের বিপদ ডেকে এনেছিলো। কুয়েতে পরাজিত হওয়ার পর, ইরাকী সেনা বাহিনী যদি সাদ্দামকে সরায়ে ফেলতো, ইরাক বেঁচে যেতো।
আজকে সন্ত্রাসী কাশম সোলেমানী নিহত হওয়ার পর, ইরানের মানুষের দাবী করার দরকার ছিলো যে, "সুপ্রীম লিডার"কে সরাও; বড় শয়তানকে সরায়ে ইরানী সরকারকে মোল্লাদের থেকে মুক্ত করার দরকার ছিলো। মরলে বেহেশতে যাবার লোভ দেখায়ে মোল্লারা মানুষকে যুদ্ধের জাহান্নামে পাঠায় সব সময়।
যাক, ইরানের ইসলামিক গার্ড'এ শিয়ালবুদ্ধীর অনেক খারাপ লোকজন আছে, তারা জানে আমেরিকা কি বস্তু ও ইরাকে কি ঘটেছে; তারা হয়তো নিজেদের গদী রক্ষার জন্য আজকে রাস্তায় যুদ্ধ চাচ্ছে, আগামীকাল লেজ গুটায়ে চুপ হয়ে যাবে।
ইরান কখনো "আমেরিকার মুল ভুখন্ড" তাদের জীবনেও দেখবে না; তারা যুদ্ধ শুরু করতে পারে সৌদী ও ইরাকে। ইহার ফলে, সৌদী ও ইরাক ধ্বংস হবে, তবে ইরান নামে নতুন ইরাকের জন্ম হবে, তেলহীন ইরান।
আমেরিকার উচিত, ইরাকে সর্বদলীয় সরকার গঠন করে, সেই সরকারকে রক্ষা করার জন্য ইউএন মিলিটারী রেখে নিজেরা সরে যাওয়া; এতে ইরাক নিজের দায়িত্ব নিজে নেবে, যা হয় হোক, আমেরিকা অকারণে সেখানে যুদ্ধাবস্হায় থাকবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৩২