বেগম জিয়ার বিচারের রায় সঠিক হয়েছে: ২৬ বছর পর, জিয়া এতিমখানা নেই, কারো না কারো জেল জরিমানা হওয়ার দরকার আছে; ঐ টাকাগুলো সন্চয়ে জমা রেখে বাড়ানোর জন্য দেয়া হয়নি, দেয়া হয়েছিল এতিমখানায় দেয়ার জন্য; ২৬ বছরে এতিমরা টাকা পায়নি, বিচারের দরকার আছে!
যাদের কাছে এই ধরণের বিচার গ্রহনযোগ্য নয়, তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন, তারা রাস্তায় নেমে যদি অরাজকতার সৃস্টি করে, তাদের থামানোর দরকার আছে; তারা যদি জয়ীও হয়ে যায়, এতে জাতির ক্ষতি হবে। জাতির স্বার্থের বাহিরে, কোন ব্যক্তিকে রাজনৈতিকভাবে লাভবান করার প্রচেষ্টা অবশ্যই জাতীর স্বার্থের বাহির।
বেগম জিয়া রাজনীতি করে রাজনীতিতে প্রবেশ করেননি, উনাকে ধরে এনে একটি বড় দলের প্রধান করা হয়েছে; এটা প্রাইভেট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয়, এটা রাজনৈতিক দল; রাজনৈতিক দলে কিছু করতে জাতির স্বার্থ দেখতে হবে, বিএনপি'র নেতারা যদি জাতীর স্বার্থ না দেখে, তাদের দরকারে তারা যা ইচ্ছা সেটা করবেন, সেটা জাতীর স্বার্থের বিপরিত; জাতির স্বার্থের বিপরিতে কিছু করা অন্যায়।
শেখ হাসিনাও একইভাবে এসেছেন; উনাকে আওয়ামী লীগারেরা একই পদ্ধতিতে এনেছিল।
একই পদ্ধতিতে ২ জন এসে ২ জনই টিকে গেছে; এবং সেজন্যই জাতি বারবার এই ২ জনের অপসারণ চেয়ে আসছিলো; ২০০৭ সালে, জাতি পরিস্কারভাবে ২ জনের বিপক্ষে অনস্হান নিয়েছিল; বেগম মতিয়া ও দেলোয়ার ভুঁইয়া ব্যতিত সবাই চেয়েছিল যে, উনাদের ২ জনকে অপসারণ করা হোক; যাক, অবশেষে তা ঘটেনি। আজকে, মানুষ কোন অবস্হায় ২ জনকে সরাতে পারবে না, ১ জনকেও সরাতে পারবে না; মানুষ সেই অবস্হায় নেই।
বর্তমান সরকার সঠিক একটা দোষ ধরে ১ জনকে সাময়িকভাবে হলেও অপসারণ করেছে বিচারের মাধ্যমে; জাতির ইচ্ছার অর্ধেক পুরণ হয়েছে; এখন জাতিকে বাকীটুকুর জন্য নিজকেই চেষ্টা করতে হবে।
বাকীজনকে সরানোর কথা না বলে, অপসারিত জনকে যারা ফেরানোর চেষ্টা করছে, তারা জাতির স্বার্থের বিপক্ষে যাচ্ছে; তাদের মাথায় যদি লাঠির আঘাত পড়ে, সেটা সঠিক হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭