বেগম জিয়া যদি এতিমখানা করতেন, ২২ বছরে কমপক্ষে ৪৪০০ জন টোকাই খেয়েপরে মানুষের মত বাঁচার সুযোগ পেতো, কিছু একটা পড়ালেখা করে, এরা সমাজে দাঁড়ানোর সুযোগ পেতো, এই সুযোগটা বিএনপি'র ৬ জন মারাঠা দখল করেছে, যাদের টাকার কোন অভাব ছিলো না; নিজেদের টাকা নয়, খয়রাতের টাকা থেকেই ৪৪০০ জন সাধারণ মানুষকে বন্চিত করা হলো; বেগম জিয়া, বা বিএনপি'র কারো কাছে এটা আজও অপরাধ বলে মনে হয়নি।
বেগম জিয়া সঠিক ইতিহাসের অংশ হলেন; এতদিন উনি ময়ুরের পেখম পরেছিলেন, আজ তা থেকে কাউয়া বেরিয়ে এলো; অনেক ব্লগার লিখেছিলেন যে, বেগম জিয়াদের শেষ পরিণতি হবেই হবে; আজ তা ঘটলো। এতে হয়তো প্রতিপক্ষের কিছুটা সুবিধা হয়েছে; কিন্তু বিচার ঠিক মতো হয়েছে, এই বিচারের দরকার ছিলো; ভবিষ্যতে বিচারের জন্য পথ খোলা রলো।
বেগম জিয়াকে বিএনপি'তে এনেছিল বিএনপি'র চোর-ডাকাতেরা, নতুন দেশের সম্পদ ও সুযোগগুলো দখল করার জন্য। জেনারেল জিয়ার মৃত্যুর পর, বিচারপতি সাত্তার পদাধিকার বলে দেশের প্রেসিডেন্ট হন; সারা বিএনপি'তে তিনি সবার চেয়ে যোগ্য লোক ছিলেন; জাতির জন্য সাত্তার বা সায়েমদের মত বিচারপতিদের কোন অবদান ছিলো না; তবে, এরা প্রাতিষ্ঠানিক লোকজন, যারা নিজে চুরিদারী করেনি কোনদিন, জাতিকে সাহায্য করার মত মনোভাব বা বুদ্ধি কোনটাই এদের কোনদিন ছিলো না; কিন্তু এরা প্রতিষ্ঠান চালানোর মতো লোক। বিচারপতি সাত্তার বিএনপি'র সভাপতি থাকলে, উহা মুসলিম লীগের মতো একটা দল থাকতো, জামাতও ইহাতে আসতো না, ফালু, আব্বাস, আমান, লালু, দুলুরা কাজ করে ভাত খেতো, সাধারণ মানুষের সম্পদ ও সুযোগ দখল করার সুযোগ পেতো না।
আজকের ক্ষমতাসীন দল বেগম জিয়াকে অনুসরণ করে চলছে, তারা মুখে শেখ সাহেবের নাম নিলেও, তারা শেখ সাহেবের নীতির বিপক্ষে কাজ করছে; ভালো যে, তাদের সময় বেগম জিয়ার সঠিক বিচার হলো; এবং সঠিক সময়ে তাদের বিচার হবে। টাকা পয়সা বিদেশে নিয়েও কেহ নিস্তার পাবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩