*** বিচারক যদি নিজেই একজন ব্লগার হয়ে থাকেন, বেগম জিয়া থালি বাসন নিয়ে তৈরি থাকতে পারেন। ***
বেগম জিয়া যত ধরণের অপরাধ করেছেন, উনার সবচেয়ে বড় অপরাধ হলো, ২০১৩ সালে ব্লগারদের নাস্তিক ডাকা; তিনি ব্লগারদের বিপক্ষে সরাসরি উস্কানী দিয়েছেন, যা ব্লগার হত্যায় পরোক্ষভাবে সমর্থন যোগায়েছে; উনার বর্তমান বিচারের সময়, বিচারক যদি বেগম জিয়ার এই ধরণের ক্রিমিনাল মাইন্ডকে বিবেচনায় নেন, সেটা হবে ব্লগিং জগতের জন্য কমপক্ষে সামান্য শান্ত্বনা।
১৭ জন ব্লগার প্রাণ হারায়েছেন; এটা একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সারা পৃথিবীর জন্য রেকর্ড; তাদেরকে নাস্তিকতার অপবাদ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে; যারা এই ধরণের ভয়ংকর অপরাধ করেছে, তাদের পক্ষে বাংলাদেশের ৩ জন বিশাল ক্ষমতাবান ব্যক্তির সরাসরি উসকানী ও পরোক্ষভাবে সমর্থন ছিল ও আছে; এরা হচ্ছে, বেগম জিয়া, তথাকথিত সাংবাদিক মাহমুূর রহমান ও হেফাজতের মোল্লা শফি।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বিরাট অংশ অশিক্ষিত ও কম শিক্ষিত ধার্মিক, তারা শুনে শুনে ধর্ম পালন করেন; ইবাদতে বাংগালীরা নিবেদিত হলেও, অশিক্ষার কারণে ধর্ম সম্পর্কে তাদের পুরোপুরি পরিস্কার ধারণা নেই, তাদের কাছে ধর্মের ফিলোসফি পরিস্কার হওয়ার কথা নয়; তারা অন্যদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যে কোন সময় উদ্বেলিত হয়, বহু ভাগে বিভক্ত হয়, উত্তেজিত হয়, মারমুখী হয়, দাংগা লাগায়, মানুষ হত্যা করতে সময় লাগে না।
বাংলাদেশ, পাকিস্অতান, ভারত, ইরান, আফগানিস্তানে অশিক্ষিত ধর্মপ্রাণ মানুষেরা সময় সময় ক্রিমিনেলদের খেলনায় পরিণত হয়ে, অন্য ধর্মের লোকদের ঘরবাড়ী, গ্রাম পোড়ায়ে, তারা মানুষ হত্যা করেছে; এগুলোর বিচার কখনো হয়নি। এদের পেছনে থাকা ক্রিমিনেলরা কখনো বিচারকের সামনে যায়নি।
এবার বেগম জিয়া মিস-ম্যানেজমেন্ট ও সম্পদ হরণের দায়ে বিচারকের সামনে যেতে বাধ্য হয়েছে; এটাই হয়তো একমাত্র সুযোগ উনার ক্রিমিনাল মাইন্ডকে সঠিক শাস্তি দেয়ার। ব্লগারদের বিপক্ষে উস্কানী ও হত্যার পরোক্ষ সমর্থন যদি বিচারকের মনে থাকে, এটা হবে বড় ধরণের মানবিক বিচার।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৬