৩ বারের প্রাইম মিনিষ্টার, বেগম জিয়া আদালতে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে, নিজকে নির্দোষ দাবী করেছেন; কিন্তু জিয়া এতিমখানা ট্রাষ্ট ফান্ড ছিলো, সেখানে টাকা জমা হয়েছিল; সেই টাকা অন্য একাউন্টে সরায়ে নেয়া হয়েছে , দেশে 'জিয়া এতিমখানা' নেই। উনার, সঠিকভাবে ম্যানেজ করতে পারেননি, ছেলেদের নিয়ে পারিবারিক সমস্যা, এখন এতিমখানা করে দেবেন বলে, দোষ স্বীকার করা উচিত ছিল; সেটা করেননি; উনি শঠতার আশ্রয় নিয়ে নিজকে নির্দোষ দাবী করেছেন; উনাকে কঠিন শাস্তি দেয়ার দরকার; যেন রাজনৈতিক দলের চোর-ডাকাতদের সামনে একটা উদাহরণ হয়।
জুলফিকার আলী ভুট্টোর বিচারটা ঠিক মতো হয়েছে; নেওয়াজ শরীফ একটুখানী উত্তাপ অনুভব করার সুযোগ পেয়েছে, আজীবন আর পাকিস্তানের রাষ্ট্র-প্রধান হতে পারবে না। বাংলাদেশে ৪৭ বছরে কয়েক হাজার রাজনীতিবিদ ও ব্যুরোক্রেটদের ডাকাতীর কোন শাস্তি হয়নি; এদের ডাকাতির কারণে পুরো জাতি ১০০ বছর পেছনে চলে গেছে, পুরো দেশের মানুষের চরিত্রে চুরি-ডাকাতী ঢুকে গেছে! উনাকে অনুসরণ করে উনার ২ ছেলে, ২ ভাই, বোন ও বাবা বাংগালীদের সম্পদ লুট করেছে।
বেগম জিয়া ভুট্টো ও নেয়াজ শরীফের চেয়ে অনেক বেশী অপরাধ করেছেন; সামন্য এতিমখানার টাকাও সরায়ে ফেলেছে, জিয়া এতিমখানা নেই। বর্তমানে সৌদীর নতুন যুবরাজের আদেশে বিদেশীদের মানি-লন্ডারিং'এ তদন্তে বেগম জিয়া, নেওয়াজ শরীফ ও লেবাননের মৃত প্রাইম মিনিষ্টারের নাম এসেছে।
বেগম জিয়াই হয়তো ই্তিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম বাংগালী; ৩ বারের প্রাইম মিনিষ্টার জীবনে একবার কোর্টে সত্য বলতে অক্ষম হয়েছেন; এটাই হতে পারে উনার শেষ বিচার; অন্য বিচার রায় অবধি যেতে হয়তো আরো ৫/১০ বছর সময় লাগবে; এটাই কোর্টের একমাত্র সুযোগ উনাকে উদাহরণযোগ্য শাস্তি দেয়ার।
বাংলাদেশে, রাজনৈতিক দল ও ব্যুরোক্রেটরা ৪৭ বছর লুটপাট চালায়ে গেছে; একমাত্র এরশাদের বিচার হয়েছে নামে মাত্র; কারন, এই ভয়ংকর শিয়াল একবার মাত্র সঠিকভাবে ডিকবাজী দিতে সক্ষম হয়নি। বেগম জিয়া হাজার অপরাধ যোগ হয়েছে, উনাকে ছেড়ে দেয়া ঠিক হবে না।
একটা বিচার সঠিকভাবে হোক, তখন বাকীগুলোর বিচার চাওয়া শুরু হবে; যারা ভাবছেন, সামনের দিনগুলোতে বেগম জিয়া জাতিকে উদ্ধার করবে, তারা বোকার স্বর্গে আছেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৮