বিএনপি'র গয়েশ্বর রায় সরকার পতনের ঘটাবে, ড: খন্দকার মোশারফ ও কেন্দ্রীয় নেতারা বেগম জিয়ার সাথে জেলে চলে যাবে, বেগম জিয়া নিজে 'বহুদলীয় গণতন্ত্র' উদ্ধার করবেন; এসব ব্যাপারে প্ল্যানের অভাব নেই।
আমার ধারণা, বিএনপি'র এসব লিলিপুটিয়ান নেতারা একটা সোজা কাজের কথা ভাবছে না, ১ সপ্তাহের মাঝে ১টা "জিয়া এতিমখানা" গড়া। একটা এতিমখানা গড়লে জেনারেল জিয়াও খুশী হবেন, আইনজীবিরা হাকিমের সামনে বলতে পারবেন যে, এতিমখানা দেরীতে হলেও হয়েছে; শাস্তি হলেও বেগম জিয়ার মুখটা রক্ষা হতো! এখন শাস্তি হোক, না হোক, হাকিম তো জিয়া এতিমখানার টাকা ফেরত চাইবে!
ফালু ১ দিনেই একটা এতিমখানা চালু করতে পারে জেনারেল জিয়ার নামে; মোর্শেদ খান ১ ঘন্টার মাঝে বাড়ী কিনে জিয়া এতিমখানা চালু করতে পারে; ডা: বদরুদ্দোজা ও উনার ছেলে মাহী চৌধুরী সেটা করতে পারে ২/৩ দিনের মাঝে; আমীর খসরু ও নোমানের লাগবে ৮/১০ ঘন্টা। তারেকের কতক্ষণ লাগবে?
এটা ঠিক যে, জিয়া এতিমখানার ফান্ড ছিল, ওখানে টাকা এসেছিল কুয়েত থেকে; সেই টাকা তুলে নিয়ে গেছে বিএনপি'র লোকেরাই; এখন বিএনপি'র লোকেরা দেরীতে এতিমখানা তুলে, হাকিমের কাছে গেলে অবস্হা তো পরিবর্তন হওয়ার কথা; এবং দেশের মানুষ দেখতে পেতো যে, বিএনপি'র লোকদের মগজ আছে, দায়িত্ব আছে, ক্রিয়েটিভ ধারণা আছে; জেনারেল জিয়ার প্রতি সন্মান আছে। এই লোকগুলো কি জীবনে একবারও মানুষের মতো ভাবতে পারে না? পুরোটাই লিলিপুটিয়ান ব্যাপার!
মামলার রায়ের দিন পেছনে গেছে; ৭, ৮, ৯ তারিখে কোন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর সম্ভাবনা নেই, আপাতত। মনে হচ্ছে, রাজধানীতে বিএনপি'র লোকজন বেশী প্রবেশ করেছে, কিংবা সরকার ৮ তারিখের মাঝে প্রস্তুত হতে পারছে না; কিংবা তৃতীয় কোন পার্টি মাঝখানে কলকব্জা ঘুরাচ্ছে!
সময় পাওয়া গেছে! বিএনপি'র ভোটারেরা ২ হাতে ২টা ইট নিয়ে, কেহ কেহ সামান্য সিমেন্ট নিয়ে উত্তরায় বেগম জিয়ার প্লট এলাকায় জমা হয়ে, ১ সপ্তাহে একটা এতিমখানা গড়তে পারে চাইলে; তাদেরকে আইডিয়াটা দিলে হয়তো, তারা চেষ্টা করবে! ম্যাডামের জন্য ২ খানা ইট, বা ১ কেজি সিমেন্ট!
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:৪২