**** ৭, ৮, ৯ তারিখে ব্লগারেরা নিরাপদ থাকার চেষ্টা করবেন, পরিবারের লোকদের নিরপত্তা দেখবেন।
মির্জা ফখরুল ও বিএনপি'র আইনবিদদের কথা থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, বেগম জিয়ার জেল হবে; তারা জানে, দেশে 'জিয়া এতিমখানা' নেই, ফান্ডের টাকা তুলে নেয়া হয়েছিল; ফলে, বিচারে বেগম জিয়া ধরা খেয়েছেন। কিন্তু ওদের কথা হলো, বেগম জিয়ার আমলে ও এখন হাজার হাজার কোটী টাকার দুর্নীতি হয়েছে ও হচ্ছে; সেখানে তুচ্ছ ২ কোটী ১১ লাখের জন্য বিচার কেন? এই বিচার কেন ঝুলায়ে রাখা হচ্ছে না, মাত্র ১০ বছরের মাথায় কেন "দ্রুত" বিচার হচ্ছে?
এগুলো না ভেবে অন্য কিছু ভাবা যায় না? যেমন, একজন সাধারণ অদক্ষ গৃহিনী ৩৪ বছর বিএনপি চালালেন, ৩ বার প্রাইম মিনিষ্টার হলেন, ২ বার বিরোধীদলের নেত্রী হলেন, ৪ বার এমপি হলেন, এখন কি উনাকে অবসরে পাঠানো যায় না? নাকি গাছ না থাকলে সব লতা শেষ?
বিএনপি এই বিচারের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে, বেগম জিয়াও বুঝেছেন; গত শনিবারে সেজন্য বেগম জিয়া কেন্দ্রীয় কমিটির লোকজনকে ডেকেছিলেন; সেখানে জিহাদ ঘোষণা করেছিলেন বাবু গয়েস্বর রায়, তিনি এখন লালঘরে। সেখানে গান্ধীজির ভক্তও ছিলেন, ড: খন্দকার মোশারফ সাহেব, তিনি ঘোষণা দিয়েছেন যে, বেগম জিয়ার সাথে সবাই জেলে চলে যাবেন; উনার দেখাদেখি ৪/৫ কোটী বিএনপি'র লোকজনও জেলে চলে যেতে পারেন।
এই সপ্তাহে আসছে বিএনপি'র ওয়ার্কিং কমিটির লোকজন, ৬ শতের বেশী নেতা ইত্যাদি; সবার কাজ হবে বেগম জিয়াকে জেল থেকে রক্ষা করা; এরা যদি লেগে যায়, কি পরিমাণ সাধারণ মানুষের মৃত্যু হবে? যারা আগামীতে মরবে, তাদের প্রত্যকের মুল্য অবশ্যই বেগম জিয়া থেকে অনেক অনেক বেশী হবেই হবে। গত মিটিং'এ যা ঘটেছে ও আগামী মিটিং'এ যা ঘটবে, তার ফলে, অনেক সাধারণ মানুষের মৃত্যু হবেই হবে।
বেগম জিয়ার জেল ঠেকানো সম্ভব হবে না; তবে, জিয়া এতিমখানা বানিয়ে দিয়ে, ৩ বারের প্রাইম মিনিষ্টার আদালতের কাছে ক্ষমা চাইলে, ক্ষমা পাবার কথা। উনার উচিত ছিল, দোষ স্বীকার করে, এতিমখানা বানিয়ে দিয়ে অবসরে চলে যাওয়া; এভাবে অন্যায়ের মাঝে আর কতদিন, ৩৪ বছর কি যথেস্ঠ নয়? অন্যায় করে, গন্ডগোল লাগিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনহানী করা কি ঠিক হবে?
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৪