একজন ব্লগার হিসেবে, পার্লামেন্ট ভোটে এক জনের ৩ সীটে দাঁড়ানোকে আপনি সমর্থন করেন? ৩ সীটে দাঁড়ানোর মত ব্যবস্হা রেখে ড: কামাল সাহেব সংবিধান লিখেছেন; উনাকে দেখলে, উনার কথা শুনলে বুদ্ধিমান বলে মনে হয়? এরা কলোনিয়েল সিষ্টমের কর্পোরেট আইনবিদ, কি করেন, কি সরকার চালনার ম্যানুয়েল লিখেন, কে জানে! উনার লেখা সংবিধান জাতির ক্ষতি করছে! এরপর আসেন, একজন রাজনীতিবিদ কি কারণে ৩ সীটে দাঁড়াবেন, কি কারণ থাকতে পারে? এই ধরণের লোকগুলোকে রাজনীতিবিদ বলে মনে হয় আপনার?
এরপর দেখুন, যারা ভোট দিতেছেন, তারা কি জানে ৩ সীটে জয়ী হওয়ার পর, এই লোক কি তাদের এমপি হবে, নাকি তাদের এলাকার পদ ছেড়ে দিবে? ভোটারেরা কি জানে না যে, এখানে আবার ভোট হবে, জাতির অর্থনৈতিক থেকে সব ধররণের রিসোর্চের অপচয় হবে? এসব বোকা ভোটারেরা কি নিজকে ও জাতিকে সাহায্য করছে, নাকি জাতির ক্ষতি করছে? আসলে, এরা পুরোজাতির ভয়ংকর ক্ষতি করে আসছে, এরা মগজহীন!
সংবিধানে যদি পার্লামেন্ট ভোটে দাঁড়ানোর যোগ্যতা কমপক্ষে ব্যাচের ডিগ্রি রাখা হতো, বেগম জিয়া আমাদের পার্লামেন্ট ভবনের বার্থরুমেও যাবার সুযোগ পেতেন না; পার্লামেন্ট মেম্বার হওয়ার জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রি আসলে ন্যুনতম কোয়ালিফিকেশন হওয়া উচিত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপর দেশে হয়তো অনেক রাজনীতিবিদ ছিলেন, যাদের পড়ালেখা ব্যাচেলর ডিগ্রি অবধি ছিলো না; তাদেরকে পড়ালেখা করার জন্য ১০ বছর সময় দিয়ে, ১৯৮০ সালের দিকে শিক্ষাগত যোগ্যতার লেভেল উপরে নেয়ার দরকার ছিলো। সেটা করার দরকার ছিলো স্বয়ং জেনারেল জিয়া কিংবা উনার পার্লামেন্ট; কিন্তু আজও সেটা বদলায়নি; এটা কি এখনোএকখানা সংবিধান, নাকি রেসকোর্স সনদে পরিণত হয়েছে?
বেগম জিয়া যে ৫ সীটে জয়ী হবেন, সে কথা বলেছেন চট্টগ্রামের একজন প্রাক্তন এমপি, বেশ পরিচিত মুখ; সবকিছু ঠিক থাকলে, ইনি আবারো ভোটে দাঁড়াবেন; উনার নাম প্রকাশ না করতে করতে অনুরোধ করেছেন। উনি মনে করেন যে, জিয়া এতিমখানা মামলায় বেগম জিয়ার শাস্তি হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:১৬