***** ৭ ও ৮ই ফেব্রুয়ারী নিজকে ও পরিবারকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করবেন; অকারণে বের হবেন না।
২০০৭-২০০৮ সালের মাঝে সামরিক সরকার প্রায় ১ শতের বেশী রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের জেলে আটক করে, ৩'শতের বেশী মামলা করেছে দুর্নীতি নিয়ে; শেখ হাসিনার ও বেগম জিয়ার নামেও কয়েকটা মামলা হয়েছে; একজন বাংগালী হিসেবে আপনি ভাবুন, ২০০৯ সালে সরকার বদল হওয়ার পর এই মামলাগুলো কি সচল থাকার কথা? এই মামলাগুলোর কি হলো, তা নিয়ে ভাবার মতো অবস্হানে আছে এই দেশের নাগরিকেরা, বা কোন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান? আপনি কোনভাবে জানতে পারবেন সালমান রহমানের মামলার কি হয়েছে? বসুন্ধরার ইন্জিনিয়ার হত্যার মামলা এখন কোথায়?
দেশের সরকার আমাদেরকে সেই অবস্হানে থাকতে দেয়নি; যে লোক বিনা ভিসায় ইতালী যাবার জন্য নিজের জমি বিক্রয় করছে, তিনি কি মওদুদের মামলা নিয়ে ভাবছে, নাকি শেখ সাহেবের মৃত্যুর বিচার নিয়ে ভাবছে, নাকি তিনি কাজী জাফরের মৃত্যুদিবস পালন করছেন?
ক্যু করে শেখ সাহেবকে যেভাবে মেরেছে, আপনি কি তা চেয়েছিলেন? চাইলে ভালো, আপনার আশা পুর্ণ হয়েছে। কিন্তু একটা ব্যাপার হয়তো সহজে আপনার মাথায় ঢুকবে যে, শেখ হাসিনা এই ভয়ংকর হত্যাকান্ডের বিচার চেয়েছেন! ৫ম সংশোধনী এনে, সংবিধান বদলায়ে, সরকারের তরফ থেকে শেখ সাহেবের বিচার চাওয়ার পর বন্ধ করাকে ডা: বদরুদ্দোজা, বিচারপতি সাত্তার ও জিয়ার সময়ের ৩০০ এমপি তো চেয়েছে, তাই না? শেখ হাসিনা কি এসব লোকের ভক্ত ছিলেন? এদের অন্যায়ের বিচারের কথা কি তিনি কোনদিন কল্পনা করেননি?
সরকারীভাবে শেখ সাহেবের মৃত্যু ও পরিবার নাশের ঘটনার বিচার বন্ধ করার ঘটনা আপনার উপর যেভাবে প্রভাব ফেলেছে, শেখ হাসিনার উপর কি একই প্রভাবে ফেলেছে? নাগরিক হিসেবে ড: এমাজুদ্দিন সাহেব, কবীর চৌধুরী, কর্নেল ওলি, বেগম জিয়া ও শেখ হাসিনা কি জিয়ার ৫ম সংশোধনী একইভাবে নিয়েছেন? ড: এমাজুদ্দিন সাহেব, কবীর চৌধুরী, কর্নেল ওলি, বেগম জিয়া ও শেখ হাসিনা, এই ৫ জন তখন থেকে কে কি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন? ড: এমাজুদ্দিন সাহেব ভিসি হতে চেয়েছেন, কবীর চৌধুরী প্রফেসর পদের জন্য হন্যে হয়েছেন, কর্ণেল ওলি বিএমপি'র জন্য নেতা কিনতে ব্যস্ত ছিলেন, বেগম জিয়া সাজুগুজু করছিলেন; শুধু শেখ হাসিনা অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বাবা ও পরিবার হত্যার বিচার কিভাবে করতে হবে, সেটা নিয়ে এগুচ্ছিলেন!
বিচার-করা বন্ধ করলে, সেই সমাজ আর সমাজ থাকে না, জাতি আর জাতি থাকে না; এটা আপনারা ঠিকই জানেন।
৫ম সংশোধনীর কিছুদিন পর, আমি আমি চাকুরীতে জয়েন করেছি, আপনার হয়তো হয়তো জন্মও হয়নি; কিন্তু শেখ হাসিনা তখনও ছিলেন, তখনও ৫ম সংশোধনী মুছে ফেলে বাবা ও পরিবার হত্যার বিচার করার জন্য এগুচ্ছিলেন। সেখানেই উনি আপনার ও আমার থেকে আলাদা।
আজকে যদি চিন্তা করেন, দুদকের মামলার এই অবস্হা কেন, শুধু বেগম জিয়ার মামলা চলছে কেন? ইউনিভার্সিটির প্রফেসর, ড: মনিরুজ্জমান মিয়াও তো দুদক-প্রধান ছিলো, উনি তো বেগম জিয়ার কোন দুর্নীতি খুঁজে পাননি, আজকে অন্যরা কিভাবে খুঁজে পাচ্ছে ও চালিয়ে যাচ্ছে? এখানেই খুব ছোট একটা রহস্য লুকিয়ে আছে, ড: মনিরুজ্জমান মিয়াকে ওখানে বসায়েছিলেন বেগম জিয়া শুধুমাত্র অন্যদের বিচার করতে; এবার বুঝেছেন? এখন যারা দুদকে আছেন, তারা কি বেগম জিয়া থেকে নিযুক্তি পেয়েছেন? তবে, এটা সঠিক যে, বাংলাদেশে কোথায়ও "জিয়া এতিমখানা" বলতে কিছু নেই!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭